পাতা:বাঁশী - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বাঁশী।
৪৫

শুনিয়া, অতিশয় বিস্মিত হইলেন ও কহিলেন, “এরূপ অবস্থায় প্রাণকৃষ্ণ বাযুকে ধৃত করাই কর্তব্য। কারণ, এখন বেশ বোধ হইতেছে, সুধার ভগ্নী সপভ্রষ্ট হইয়াই ইহজীবন পরিত্যাগ করিয়াছে ও তাহার মৃত্যুর কারণই প্রাণকৃষ্ণ। যাহাতে তাহার ঘরের অর্থ বাহির হইয়া না যায়, এই নিমিত্তই তিনি তাহাকে হত্যা করিয়াছেন। এখন যদিও বেশ বুঝিতে পারা যাইতেছে যে, প্রাণকৃষ্ণই তাহাকে হত্যা করিয়াছে, কিন্তু এত দিবস পরে ঐ হত্যা প্রমাণ করা সহজ না হইলেও, তাহাকে কিন্তু ধৃত করিয়া আর একবার অনুসন্ধান করিয়া দেখা কর্তব্য।”

 আমার প্রধান কর্মচারী আমাকে এইরূপ বলিয়া নিজেই আমার সহিত সেইস্থানে যাইতে প্রস্তুত হইলেন ও উপযুক্তরূপ আরও কয়েকজন কর্মচারী ও প্রহরী সঙ্গে লইয়া আমার সহিত প্রাণকৃষ্ণ বাবুর বাড়ীতে উপস্থিত হইলেন। যখন আমরা সেইস্থানে উপস্থিত হইলাম, তখন ৬টা বাজিয়াছে, ভোলাকে জিজ্ঞাসা করিয়া জানিতে পারিলাম যে, প্রাণকৃষ্ণ বাবু এখনও গাতোত্থান করেন নাই; ও বাড়ীর অনেকেই এখনও পর্যন্ত নিদ্রার।

 আমরা সকলে একেবারে প্রাণকৃষ্ণ বাবুর বাটীর ভিতর প্রবেশ করিলাম। আমি বাড়ীর অবস্থা সমস্তই জানিতাম, সুতরাং প্রাণকৃষ্ণ বাবুর গৃহে গমন করিতে আমাদিগের কোন রূপ কষ্ট হইল না, আমরা সকলে একেবারে তাহার গৃহদ্বারে উপনীত হইলাম। |

 তাঁহার কক্ষ তখনও পর্যন্ত রুদ্ধ ছিল। আমার প্রধান কর্ম্মচারী তাহার দ্বারে দণ্ডায়মান হইয়া তাহাকে বার বার ডাকিতে