পাতা:বিদায় ভোজ - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৮
দারােগার দপ্তর, ২০৩ সংখ্যা।

 আমি বলিলাম, “না বাপু! এমন ঘড়ীবসান আংটী আমি ইতিপূর্ব্বে আর কখনও দৃষ্টিগোচর করি নাই। আংটীটার দাম কত?”

 দো। আমার বোধ হয় হাজার টাকা।

 আ। এ রকম জিনিষ বোধ আর কখনও আপনাদের হাতে আইসে নাই?

 দোকানদার হাসিয়া বলিলেন, “কেন আসিবে না? আপনি দেখেন নাই, বলিয়া যে আর কোন লোক দেখে নাই, এরূপ মনে করিবেন না। আরও পাঁচ-ছয়বার এইরূপ আংটী আমাদের হাতে আসিয়াছিল। সেগুলির দাম আরও বেশী, কেন না, সেই ঘড়ীগুলিতে অনেকগুলি করিয়া দামী প্রস্তর ছিল।”

 পোদ্দারের কথা শুনিয়া আমি আমার পরিচয় প্রদান করিলাম। কহিলাম, আপনি যাহার নিকট হইতে এই আংটী পাইয়াছেন সে ভিতরে, এখন চলুন, আমি তাহাকে গ্রেপ্তার করিব।

 এই আংটী দেখিয়া আমার বোধ হইতেছে, ইহা চোরাদ্রব্য, আমি ইহারই অনুসন্ধান করিয়া বেড়াইতেছি। এই বলিয়া আমি সেই দোকানদারের সহিত তাহার দোকানের ভিতর গমন করিলাম এবং তখনই তাহাকে ধৃত করিয়া নিকটবর্ত্তী একজন প্রহরীকে ডাকাইয়া তাহার জিম্মা করিয়া দিলাম। অনন্তর সে কোথায় থাকে তাহা জানিবার নিমিত্ত তাহাকে লইয়া তাহার বাসা অভিমুখে গমন করিলাম। লোকটী ক্রমে জোড়াবাগানের একটী ক্ষুদ্র মাঠ গুদামে প্রবেশ করিল।