পাতা:ঘর-পোড়া লোক (মধ্যম অংশ) - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৪
দারােগার দপ্তর, ৭৫ম সংখ্যা।

 স্থানে পড়িয়া গেলেন। প্রহরীগণ তাঁহার মুখে জল সিঞ্চন করাতে তাহার সংজ্ঞা হইলে, তাঁহার তাহাকে সেই স্থান হইতে বাহির করিয়া লইয়া গেল। ওসমান স্থিরভাবে এই দণ্ডাজ্ঞা সহ্য করিলেন, কোন কথা কহিলেন না; কেবল দায়োগা সাহেবের দিকে দৃষ্টিনিক্ষেপ করিলেন মাত্র।


তৃতীয় পরিচ্ছেদ।

 এই ভয়ানক দণ্ডাজ্ঞা শুনিয়া হোসেনের মুখ দিয়া আর কোন কথা বাহির হইল না। অশ্রুপূর্ণ-লোচনে তিনি আদালতের বাহিরে আসিলেন। যে সময় এই মোকদ্দমার বিচার শেষ হইয়া গেল, তখন অপরাহ্ন চারিটা। জজসাহেবের সঙ্গে একজন কো-ইনম্পেক্টার ছিলেন; যে আসামীদ্বয়ের উপর প্রাণদণ্ডের আদেশ হইয়াছে, তাহাদিগকে লইয়া তিনি বিষম বিপদে পড়িলেন। কিরূপে সেই আসামীদ্বয়কে তিনি জেলায় পাঠাইয়া দিবেন, তাহার কিছুই স্থির করিয়া উঠিতে পারিলেন না। সেই স্থান হইতে পদব্রজে আসামীগণকে পাঠাইয়া দিলে, তিন চারিদিবসের কম তাহারা সদরে গিয়া উপস্থিত হইতে পারিবে না। বিশেষতঃ গোফুর খাঁর আর চলিবার ক্ষমতা নাই; তাহার উপর পথে বিপদের সম্ভাবনাও আছে।

 কোর্ট-ইনস্পেক্টার সাহেব এইরূপ গোলযোগে পড়িয়া হোসেনকে ডাকাইয়া পাঠাইলেন ও কহিলেন, “আপনার মনিবদ্বয়ের অদৃষ্ট্রে