পাতা:জোড়া পাপী - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দারোগার দপ্তর, ২০৪ সংখ্যা।

আদেশ মাত্র সে ঐ সকল দ্রব্য লইয়া আমার নিকট আসিল এবং আমার সম্মুখে মাখিয়া প্রস্থান করিল।

 আমি তখন অতি মনোযোগের সহিত উহাদিগকে পরীক্ষা করিতে লাগিলাম। ট্রাঙ্কটীর চাবি বন্ধ ছিল। সুতরাং সহজে খুলতে পারিলাম না। অগ্রে অপর চাবি দিয়া খুলিতে চেষ্টা করিলাম, কিন্তু খোলা গেল না। অগত্যা উহাকে ভাঙ্গিয়া ফেলিবার আদেশ দিলাম। কথামত ট্রাঙ্কটী তখনই ভাঙ্গিয়া ফেলা হইল। ভিতরে খানকয়েক কাপড়, তিনটা জামা, একখানা শাল ও দুইখানা বিছানার চাদর ছিল। আমি প্রত্যেক জিনিষট তন্ন তন্ন করিয়া পরীক্ষা করিলাম। মনে করিয়াছিলাম, বাবুর নাম ও তাহার বাড়ীর সন্ধান পাওয়া যাইবে, কিন্তু ট্রাঙ্কের ভিতরে যে সকল দ্রব্য পাওয়া গেল, তাহাতে আমার অভিপ্রায় সিদ্ধ হইল না।

 ট্রাঙ্কটা বন্ধ করিয়া বিছানাটা পরীক্ষা করিলাম, বালিস, কম্বল, বালিসের ওয়াড় প্রভৃতি একে একে সকলগুলিই বিশেষ করিয়া দেখিলাম, কিন্তু তাহাতেও কোন ফল হইল না।

 বিছানার সঙ্গে একখানি পাখা ছিল। আর আর সকল দ্রব্য দেখিবার পর সেই পাখাখানি আমার নয়নগোচর হইল। আমি তখনই উহা গ্রহণ করিলাম, এবং বিশেষ সতর্কতার সহিত ইহার উভয় দিক লক্ষ্য করিতে লাগিলাম।

 কিছুক্ষণ দেখিবার পর আমার অভিপ্রায় সিদ্ধ হইল। পাখার একটী কোণে অতিক্ষুদ্র করিয়া “নরেন্দ্র নাথ মুখো, হাটখোলা” এই কয়টা কথা লেখা ছিল। আন্তরিক অনিন্দিত হইয়া আমি ঐ নাম ও ঠিকানা মনে করিয়া রাখিলাম এবং পাখাখানিও পুনরায় যথা