পাতা:খুনী কে - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।

তৃতীয় পরিচ্ছেদ।

 ভবানীপ্রসাদ প্রস্থান করিলে পর, লালমোহন আমার দিকে চাহিয়া ঈষৎ হাস্য করিলেন। বলিলেন, “এমন করিয়া লোককে বৃথা আশা দেওয়া আপনার ন্যায় জ্ঞানবান্ ব্যক্তির উচিত হয় নাই। আপনি যখন স্পষ্টই দেখিতেছেন যে, যতীন্দ্রনাথই দোষী, এবং তাঁহার আর অব্যাহতির উপায় নাই, তখন তাঁহার একজন প্রিয় বন্ধু ও আত্মীয়কে সান্ত্বনা দিবার জন্য মিথ্যা বলা ভাল হইয়াছে কি?”

 লালমোহনের কথা শুনিয়া আমার বড় রাগ হইল। কিন্তু তাহা প্রকাশ না করিয়া হাসিতে হাসিতে জিজ্ঞাসা করিলাম, “কে বলিল, আমি যতীন্দ্রনাথকে দোষী বলিয়া সাব্যস্ত করিয়াছি? যদি তাহাই করিব, তবে আর এতদূরে কি করিতে আসিয়াছি? আমি তাঁহার মুক্তির উপায় দেখিতে পাইয়াছি এবং আশা করি, শীঘ্রই তাঁহাকে মুক্ত করিব। এখন আমাকে একবার তাঁহার সহিত দেখা করাইয়া দিউন।”

 যতীন্দ্রনাথ থানাতেই ছিলেন, তাঁহাকেও ঐ অফিসের মধ্যে আনাইয়া অনেক কথা জিজ্ঞাসা করিলাম। তখন লালমোহন বাবু অফিসঘরে ছিলেন না। তাঁহার অসাক্ষাতে যদি কোন নূতন কথা আমাকে বলে, এই বিবেচনা করিয়া, লালমোহন বাবুকে সেই সময় একটু বাহিরে থাকিতে বলিয়াছিলাম, কিন্তু তাঁহার নিকট হইতে আর অধিক কিছু শুনিতে পাই নাই। তিনি যেরূপ পূর্ব্বে