পাতা:জোড়া পাপী - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
জোড়া পাপী।
৩৫

দড়ি দেখিতে পাইয়া তাহার সাহায্যে কেশবকে উত্তমরূপে বন্ধন করিলাম। পরে জিজ্ঞাসা করিলাম, “এখন আপনার বন্ধু কোথায় বলুন। কেন না তিনিও আমার জীবন সংহার করিতে চেষ্টা করিয়াছিলেন। বিশেষতঃ তাহার উদ্যানে যে মানুষ মারা কল আছে, তাহা ভাঙ্গিয়া না ফেলিলে আমার উদ্দেশ্য সিদ্ধ হইবে না।

 দেখিতে দেখিতে সেইস্থানে লোকে লোকারণ্য হইল। সমাগত সকলেই কেশবের বিপক্ষ বলিয়া বোধ হইল। তাহারা সকলে ই কেশবকে নানাপ্রকার গালি দিতে লাগিল।

 কেশব কোনমতেই তাঁহার বন্ধুর কথা বলিলেন না। কিন্তু তাহা জানিতে আমার বিশেষ কষ্ট হইল না। উপস্থিত লোক দিগের মধ্যে একজন আমায় সাহায্য করিতে স্বীকৃত হইলেন। তিনি তখনই থানা হইতে কয়েকজন কনষ্টেবল লইয়া একেবারে সারদাচরণের উদ্যান-বাটিকায় গমন করিলেন এবং সহসা তাহাকে ধৃত করিয়া বন্দী করতঃ আমার নিকটে আনয়ন করিলেন।

 তখন দুই বন্দী লইয়া আমি থানার দারোগার সহিত সাক্ষাৎ করলাম এবং বন্দীদ্বয়কে তাহার জিম্মায় রাখিয়া ও তাঁহাকে সমস্ত ঘটনা বলিয়া তাহার নিকট বিদায় লইলাম।

 দারোগা সাহেব অতি ভদ্রলোক। তিনি সত্বর বন্দীদ্বয়কে কলিকাতায় প্রেরণ করিতে প্রতিশ্রুত হইলেন।

 সময়মত দারোগাবাবু উভয়কেই কলিকাতায় আনয়ন করিলেন ও এখানকার প্রধান কর্মচারীর সহিত পরামর্শ করিয়া সারদাচরণের নামে হত্যা করিবার উৎযোগ এই অভিযোগ উপস্থিত কলেন। পরে অনুসন্ধানে দারোগাবাবু সারদাচরণের সমস্ত লীলা প্রকাশ করিয়া দিলেন। তাঁহার স্ত্রী পুত্র কেহই ছিল না,