পাতা:শ্রীশ্রীহরি লীলামৃত.djvu/৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

N আদি খণ্ড । ᎿᏉᎼ 쓰: ثیه ཨཱན་ : ’ , শুন-بی. বেথুড়িয়া ঘৃতকাদি বিল খাল যত । . কতক হাটিয়া পার সাতারেতে কত ॥ . জপিতে গাইতে হরে কৃষ্ণরাম নাম। উপনীত ওঢ়াকাদি প্রভুর শ্ৰীধাম ॥ বীররসে রাগাত্মিক ভাবের উদয় । দেখি প্রভু হীরামনে ক্রোড়েতে বসায় ॥ হীরামনে পুকুরের ঘাটে ল’য়ে পরে। ঐকরেতে ঐনাথ শ্ৰীঅঙ্গ ধৌত করে ॥ কর্দম শৈবাল অঙ্গে লেগে রহিয়াছে । কমল কণ্টক অঙ্গ ক্ষত করিয়াছে ॥ ধৌত করি হস্ত ধরি গৃহেতে লুইল। কপূর মিশ্রিত তৈল অঙ্গে মাখাইল । ঠাকুর জিজ্ঞাস করে ওরে হীরামন । কেমনে করিলি সহ্য যবন পীড়ন ॥ এত কষ্ট দিল দুষ্ট পাপিষ্ঠ যবন । এত মানা নেড়েরে মানিলি-কি কারণ ॥ ঘৃণা কি হ’ল না কিছু ওরে বাছাধন। – কচ্ছপের কাচা মাংস করিতে ভোজন । হীরামন বলে মন সকলই ত জান। জেনে শুনে তবে আর জিজ্ঞাসিলে কেন ৷ সকলে কেবল কহে ফকির ফকির । , হক আল্লা ব’লে নেড়ে ছাড়িল জিগীর ॥ আমি ভাবী হক আল্লা বলিল মুখেতে। হক ছাড়া না হ’ক সে করিবে কি মতে ॥ পোড়াইয়। দিল অঙ্গ তাহা করি সহ্য । তবু ভাবি এই বুঝি করে হক কাৰ্য্য। পোড়া অস্ত্র ধরে গ্রীবা মেরুদণ্ডপর । তবু আমি ভাবি এত আল্লার নফর ॥ আল্লার ফকির ব’লে আগে মানিলাম। " ঠগ মানিলাম শুনে হকৃ আল্লা নাম ॥ আল্লারূপ রাধ। আল্লা কৃষ্ণ আহলাদিনী । , প্রণয় বিকৃতি রাধা কৃষ্ণপ্রণয়িনী ॥ -- “কণমবীজ কৃষ্ণ” “কাম গায়ত্রী রাধিক।। কৃষ্ণমন্ত্র বীজ রাধাপ্রধান নায়িকা ॥ কৃষ্ণবীজ কলিম, রহিম বীজ শক্তি। “ক”কারে “ল” কারণই” কার চন্দ্রবিন্দু যুক্তি ৷ “ক” “ল” “ই” বিন্দু বিসর্গ অকুস্বার। ’ “ম” কারে অমুস্বার ইহা কৈলে একতর ॥ তাতে হয় কৃষ্ণবীজ বীজরুপ রাধা। করিম শক্তির বীজ শ্ৰীকৃষ্ণ আরাধা ॥ [ >२ ] ~ শ্লোক । y রাধাকৃষ্ণপ্রণয়বিকৃতিহাদিনী শক্তিত্বস্বদেকাত্মনিবপি ভুবি পুরা দেহভেদে গতে তে, চৈতন্যাখ্যং প্রকটমধুন, রাধাভাবছতিমুবলিতং নমি কৃষ্ণস্বরূপম্। পয়ার। . সেই ত হলাদিনী শক্তি সবাকার হক। সেই হক তুমি হরি সবার জনক ॥ যার মনে যেই মত সেই পথ ধায়। । যে ভাবে যে ভাবে ডাকে ডাকে হে তোমায় ৷ তাহাতেই মানিলাম তুমি আল্লা হকৃ। তোমাকে ডাকিল ভাবি তোমায় সেবক ॥ তাই ভাবি মানিয়া অমান্য কিসে করি। যাহা কহে তাহা করি থাকি ধৈর্য্য ধরি ॥ এ বুঝি হকের কার্য্য হয় ফকিরের। । “তাই ভেবে কাচা মাংস খাই কচ্ছপের ॥ প্রভু কহে তবে কেন মারিলিরে বাপ। মানিয়ান মানিলে ত হ’তে পারে পাপ ॥ হীরামন বলে পাপপুণ্য নাহি জানি। আমি জানি তুমি হৰ্ত্ত কৰ্ত্তা রঘুমণি ॥ সে বলে যে পাগলারে খাওরে হারাম। তার বাক্য শুনৈ মনে জাগে সীতারাম ॥ হারাম শুনিয়া রসনায় বাড়ে ক্ষুধা। ’ দিল মাংস খাইলাম সুধাধিক সুধা ॥ পিটমোড়া দিয়া টেনে বঁধে দুই কর। এ সময় তোমাকে দেখিয় গদাধর। বাধিয়া মারিল গোঙ্গ নখের ভিতঃ ॥ এই মত শাস্তি দিল যবনের বেটী । নর্থতলে বিধাইল খেজুরের কাটা ॥ তৰাপি ভাবিকু যেই বলে আহিল হক। সে মেরেছে এতে নয় খ’সে যাবে নখ ॥ বেকী দ৷ পোড়ায়ে যবে আনে পুনৰ্বার। এ দেহে তখনে সহ্য ন হইল আর ॥ গদা হাতে দাড়াইলা মস্তক উপর ॥ " ক্রোধে কাপে ওষ্ঠাধর আজ্ঞা দিলে মোরে। । মার ফকিরেরে মার চৈতন্য বার্লারে ॥ তব শ্ৰীমুখের আজ্ঞা যদি পায় হীরে । ব্ৰহ্মাণ্ড ডুবা'তে পারে গোপদের নীরে। /