পাতা:শ্রীশ্রীহরি লীলামৃত.djvu/১২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমাদের অধিকারে হেন লোক আছে। এ ঠাকুরে দেখিলে মনের দুঃখ ঘুচে ] সাহেব কহিছে তন্তু ঠাকুরকে আন। নিকটে আসুন উনি দুরে রান কেন। মাদার চিনেছে ভাব ভঙ্গিতে নিশ্চিতে । আমিও ঠাকুরে চিনে লই ভালমতে ॥ ঠাকুর বুঝিয়া সাহেবের অভিপ্রায় । , আগু হ’য়ে সাহেবের নিকটে দাড়ায় । সাহেবের মাতা দেখে হয়ে অনিমিখ । সাহাবেরে বলে তোম দেখ দেখ ডিক্ ॥ হিন্দু বলে শ্ৰীহরি যবনে বলে আল্লা । দরবেশ ফকিরে যারে বলে যে হেলাল্লা। বৌদ্ধ যারে বুদ্ধ কহে খ্ৰীষ্টে বলে যীশু। এই তিনি নররূপে উদ্ধারিতে বসু ॥ সাহেব আনিয়া দিল চেয়ার পতিয় । , ঠাকুরকে বলিলেন বৈঠহ আসিয়া । ঠাকুর কহেন একি কহ অসম্ভব। চেয়ারে কি বৈসে কভু ঠাকুর বৈষ্ণব ॥ সাহেব কহে ঠাকুর যে ইচ্ছাতোমার। যথা ইচ্ছ। তথা বৈঠ হাম পরিহার। , গান ক্ষান্ত দেহ কেন গাও গাও গাও। নাচিয়। গাহিয়া সব.মের পাছ আও ৷ কামরার বাহিরেতে সকলে বসিয়া। পদ ধরি কেহ কেহ উঠেছে নাচিয়া ॥ নাচিয়া নাচিয়া করে হরি সংকীৰ্ত্তন। কেহ কেহ শিবনেত্র ধরায় পতন ॥ নাচে গায় দশরথ দিতেছে চিৎকার। শিঙ্গাস্বরে বার বার কৃরে হুহুঙ্কার । , লোমকূপ কণ্ডু লোম কণ্টক আকার। মস্তকে চৈতন্ত্যশিখা উদ্ধ হয় তার ॥ ক্ষণে ক্ষণে ধরাতলে পড়ে দশা হ’য়ে। গোবিন্দ মতুয়া উঠে ফিকিয়ে ফিকিয়ে ॥ শয়নে স্বপনে কিম্বা মল মূত্র ত্যাগে। উচ্চৈঃস্বরে হরিনাম যার মুখে জাগে ॥ সে বদন হরি হরি হরি বলে মুখে। . বিকারের রোগী যেন উঠে কালহিন্ধে। কঁদে আর নাচে মাথা স্কন্ধে ঘুরাইয়ে। ফিরিয়া ঘুরিয়া নাচে বিমুখ হইয়ে। উলটিয়ে মাথা নিয়ে পায়ের নিকটে। সেই ভাবে হরিবলি পালুটিয়া উঠে ॥ " মধ্য খণ্ড । S AAAAAASLSS AAAAAA AAAA AA AAAAAS S ১১৫ নাচিতে নাচিতে যায় কামরা ভিতর । শতধারে চক্ষে ধারা সাহেবের মার ॥ কুবের বৈরাগী নাচে মুখ ফুলাইয়া। অলাবুর পাত্রদেয় পেটে ঠেকাইয়া ॥ গোপীযন্ত্র পরে আমি মারিয়া থাবড়। নাচিতে নাচিতে যায় কামরা ভিতর ॥ গোসাই গোলোক যেন বাণ বেড়াপাক । ফিরে ঘুরে নাচে যেন কুস্তকার চাক । দরবেশ বিশ্বনাথ চুল ছেড়ে দিয়ে। - উগ্ৰচণ্ড নাচে যেন হাতে খাণ্ড ল’য়ে। নাচিতে নাচিতে যায় পুলকে পূর্ণিত। অনিমিষু রক্ত চক্ষু কৰ্বয় ঘূর্ণিত ॥ . নেচে নেচে যায় সাহেবের মার ঠাই । ফিরে ঘুরে নাচে যেন দিল্লীর সুবাই ॥ নেচে নেচে লেংটা খসে হইল উলঙ্গ 1 : - ' মেম আছে কাছে তাতে নাহি ভুরুভঙ্গ । “অশ্রুপূর্ণ নেত্র সাহেবের মা, দেখিয়া। " সাহেবের স্কন্ধ পরে বাহুখান দিয়া ॥: /বাম হস্ত সাহেবের গলায় গ্রন্থিক। " - ডান হাত তুলে বলে চেয়ে দেখ ডিক ॥. ইহারা নাচিছে সবে হয়ে জ্ঞানশূন্ত। ' বাহ জ্ঞান নাহি এর রহিত চৈতন্য । , একে রাজবংশ তুমি তাতে জমিদার। রাজা প্রজা এই ভয় থাকেত প্রজার। আরো আমি বাম লোক আছি সম্মুখেতে । উলঙ্গ হইতে নারে বিকার থাকিতে। -- নিৰ্ব্বিকার দেহ ঈশ্বরেতে প্রাণ দান। লজ্জা ঘৃণা মরা বাচা একই সমান । বেলা অপরাহ্ল হ’ল যেত্বে কহ দেশে। এই সব সাধুদিকে পাষণ্ডীরা দোষে ॥

অধিনস্থ মধ্যগাতী তুমি হও রাজা । „ - পাযণ্ডী প্রজাকে এনে তুমি দেও সাজ ॥ । • অগ্রভাগে-ডেকে এনে করহ বারণ । , আর যেন সাধু হিংস না করে কখন । সাহেবের মাত বলে ওরে ডিক আয় । সেলাম করহসেবে ঠাকুরের পায় ॥ সেলাম করিল যদি সাহেবের মাতা : , পরিবার সহ ডিক নোয়াইল মাথা । ঠাকুরের সম্মুখেতে সাহেব দাড়ায় l, সেলাম করিয়া সবে করিল বিদায়। 6.