পাতা:শ্রীশ্রীহরি লীলামৃত.djvu/১৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বলিতে বলিতে মেঘ অমনি বধিল । দুই চারি ফোটা অল্প অল্প বৃষ্টি হ’ল । হইল পূর্বের মত নিৰ্ম্মল আকাশ। পাগলের মহিমা হইল সুপ্রকাশ ॥ নিৰ্ব্বিল্লেতে মহোৎসব হইল অমনি । দিবা নিশী ক্ষান্ত নাই শুধু হরিধ্বনি। বাড়ীর উপরে করিয়াছে একস্থান। সেখানে সকলে করে হরিনাম গান ॥ কেহ বসে কেহ উঠে নচিয়ে নাচিয়ে । কেহ কেহ ভূমে পড়ে অচৈতন্ত হ’য়ে ॥ কেহ প্রেমে ধরাধরি করে পড়াপড়ি । , কেহ কেহ কেঁদে কেঁদে যায় গড়াগড়ি ॥ তাহার উত্তর পার্শ্বে ভোজনের ঠাই । যখন যা’র য। ইচ্ছা খেতেছে সবাই ॥ লাবড় অম্বল ডা’ল ভাজা দধি চিনি। খেয়ে খেয়ে সকলে দিতেছে হরিধ্বনি ॥ কেহ ভীড় দেয় বলে সাধু সাবধান । ক্ষণে পিছাইয়া ক্ষণে হয় আগুয়ান ॥ বন্দন৷ | জয় জয় হরিচাদ জয় কৃষ্ণদাস । জয় শ্ৰীবৈষ্ণব দাস জয় গোরিদাস ॥ জয় শ্ৰীস্বরূপ দাস পঞ্চ সহোদর । পতিত পাবন হেতু হৈল অবতার ॥ জয় জয় গুরুচাদ জয় হীরামন । জয় শ্রীগোলোকচন্দ্র জয় শ্ৰীলোচন ॥ জয় জয় দশরথ জয় মৃত্যুঞ্জয় । জয় জয় মহানন্দ প্রেমানন্দ ময় ॥ জয় নাটু জয় ব্রজ জয় বিশ্বনাথ । নিজ দাস করি মোরে কর আত্মসাৎ ॥ পাগলের গঙ্গাচর্ণ গমন । - পয়ার । এই মহোৎসব পরে যত ভক্তগণ । গঙ্গাচর্ণ এসে করে হরি সংকীৰ্ত্তন ॥ | ساد ] মধ্য খণ্ড । ১৩৭ গৌর অবতারে প্রভুর কামনা রহিল। তেকারণে ওঢ়াকাদী অবতীর্ণ হ’ল ॥ . বলিতে বলিতে বলে মধুব্রস বাণী। কেহ তার পিছে পিছে দেয় হরিধ্বনি ॥ পাতা রাখি ভূমে কেহ এটে হাতে মুখে । । দাড়াইয়া বাবা হরিচাদ বলে ডাকে ॥ এই মত তিন দিন মহোৎসব হ’ল । মতুয়ারগণ সব একত্রিত ছিল । লোক পরিমাণ অনুমান করি সবে । দু'হাজার লোক সে মধ্যের দিন হ’বে ॥ শেষ দিন লোক হবে চারি পাঁচ শত । ভোজন করিল হরিভক্তগণ যত ॥ নায়েরীর পূর্ণ হ’ল মনের বাসনা । প্রেমে পুলকিত দেবী কাদিয়া বাচেন ॥ হরিচাদ গ্রীতে হরি বল সৰ্ব্বজনে । রসনা বাসনা নাম রস আস্বাদনে ॥

  • ষষ্ঠ তরঙ্গ | |

রামমোহনের ঘরে বসিয়া সকল । কেবল বলেছে হরিবল হরিবল ॥ তখন পাগল এসে কাৰ্ত্তিকের ঘরে । জয় হরি গৌর হরি বলে উচ্চৈঃস্বরে ॥ আসিল সকল ভক্ত সেই গৃহ দ্বারে । পাগল বলিল যে আসিবি এই ঘরে ॥ একজন এক শ্লোক, করিবি বক্তৃতে। ন। বলিলে শ্লোক, নাহি প্লারিবি আসিতে ॥ বক্তৃতা করিল শ্লোক যাহার যা আসে । স্বেদ পুলকাশ কারু হয় প্রেমাবেশে ॥ লেখা পড়া যে না জানে সেও শ্লোক কয়। শ্লোক না বলিলে ধেয়ে মারিবারে যায় ॥ কণুরু মারে লাথি কারু মারে মুণ্ঠ্যাঘাত । শোলক বলিতে অগ্নি লাগে অকস্মাৎ ॥ মহা ভাবে প্রেম বন্যা শুনিয়া শোলক । তার মধ্যে অম্বিকারে আনিল গোলোক । কীৰ্ত্তিক বৈরাগী স্বামী অম্বিকী গৃহিণী। ব্ৰজগণ কাৰ্ত্তিক সে অম্বিক গোপিনী ॥