পাতা:শ্রীশ্রীহরি লীলামৃত.djvu/১৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>88 পাগলের দৈব তামাক সেবন । . • পয়ার । একদা গোলোকচন্দ্র নিশীথে নিদ্রায় । , জাগরিত রাত্রি দুই যামের সময় ॥ হরিচাদ রূপ চিন্তা করেছেন বসে । ওঢ়াকাদি বাট ঝাড়ু, দিতেছে মানসে। এমন সময় হ’ল তামাক পিয়াস । ব{ঞ্জাকল্পতরু হরি জগতে প্রকাশ ॥ হুকায় পুরিয়৷ জল তামাক সাঞ্জিয়।। গোস্বামীকে মহানন্দ হুকালি লিয়। ॥ তামাক সেবন করি ছক দেওয়৷ ছলে । ডাকিলেন মহানন্দ মহানন্দ বলে ॥ " নিদ্রাগত মহানন্দ নাহি শুনে ডাক । মহানন্দে না দেখিয়৷ গোস্বামী অবাক ॥ গাতুলে গোস্বামী যান মহানন্দ দ্বারে। ডাকিলেন মহানন্দ অtছ নাকি ঘরে - . মহানন্দ বলে মোরে ডাক কি কারণ । গোস্বামী বলেন কেন এত অচেতন ॥ আমাকে তামাক খেতে হুক। ধ’রে দিলে । আশামাত্র এত ঘুম কেমনে ঘুমালে । মহানন্দ বলে আমি হুক দেই নাই । রাত্রির মধোতে আমি বাহিরে না যাই ॥ নাগরে জিজ্ঞাস করে হুকা দিলে নাকি । নাগর বঢ়িল আমি করে দিয়া থাকি ৷ গোস্বামী গোলোক মনে মানি ল অশচর্য । রচিল তারক এত ঠাকুরের কার্য্য। গোস্বামী হরিচরণ অধিকারীর রথযাত্ৰা । পয়ার । পলিত। গ্রাসেতে অধিকারী উপাধ্যায়। নাম শ্ৰীহরিচরণ সাধু অতিশয় ॥ পাগল গোলোক চাদ মঞ্জশিষ্য তার । করিবেন রথযাত্রা শুনি সমাচার ॥ গোস্বামী গোলোক চলিলেন গুরু পাট । গিয়া দেখিলেন রথে মিলিয়াছে টাট ; পাগলের ভ্রাতা, ভ্রাতুপুত্র মহানন্দ । তিনজনে চলিলেন হ’য়ে প্রেমানন্দ ॥ ঐশ্ৰীহরিলীলামৃত । রথের বাজারে বহুতর লোক ভীড় । তিনজন ভ্ৰমিতেছে দিতেছেন ভীড় ॥ টাট মধ্যে পেয়ে সাধু মাধবের সঙ্গ । দোহে করে কোলাকোলি পুলকিত অঙ্গ ॥ মাধবে লইয়া গেল গুরীর গোচরে । ভূমে পড়ি অষ্টঅঙ্গে দণ্ডবৎ করে ॥ পদ ধূলী নিল তুলী দণ্ডবৎ হ’য়ে। ঠাকুর নিকটে ক্ষণে রহে দাড়াইয়ে ॥ পাগল কহেন ওহে দয়াল ঠাকুর । , লোকারণ্য সম্বারোহ করেছে প্রচুর। অধিকারী ঠাকুর কহেন যুড়িকর । আমি নহে কৰ্ম্মকৰ্ত্ত জগৎ ঈশ্বর ॥ জ্ঞান কাণ্ড কৰ্ম্ম কাণ্ড ঐশ্বৰ্য্যের যোগ । আমার কর্তৃত্ব এ সকল পাপ ভোগ । গোলোক কহিছে সব ঈশ্বরের খেলা । ঠিক যেন মিলিয়াছে ঐক্ষেত্রের মেলা ॥ লোকের সংঘটু এতে বৃষ্টি যদি হয়। আষাঢ় মাসের দিন কি হবে উপায় ॥ অধিকারী মহাশয় কহেন পাগলে । বৃষ্টি নাহি হইবে মাধব দিছে বলে ॥ রথতলে পড়ি অদ্য ত্যজিবে জীবন। তাহাতে আমার আরো ভয়াকুল মন ॥ শুনিয়া পাগল চাদ উঠিল গর্জিয় । সত্য কি মাধব ইহা বলেছে আসিয়া ॥ আপনার প্রিয় শিষ্য মাধব সদৃজ্ঞানি। ভক্ত শিরোমণি সে বৈষ্ণব চূড়ামণি ॥ রজতের খড়ম দিয়াছে তব পায় । গুরু পাটে থাকে প্রায় সকল সময় ॥ মাসমধ্যে চাfর পাচ দিন থাকে বাটী। গুরুকার্য্য সদাকরে অতি পরিপাটী ॥ যে কিছু সময় নিজ বাট গিয়া রয়। কৃষি কাৰ্য্য করে মাত্র সেটুকু সময় ॥ ছয় পাখী জমি এক মাত্র চাষ দেয় । বীজ বুমাইয়। অার কাছে নাহি যায় ॥ আবাদাদি নিগড়ান কিছুই না করে । মাত্র পৌষ মাসে ধান্য কেটে আনে ঘরে ॥ পরিমাণ ধান্য যাহা নিজ বাটী ব্যয় । উদ্বন্ত ধান্যাদি গুরু পাটেতে পাঠায় ॥ হেন কালে সম্মুখেতে আইল মাধব । বলিতে লাগিণ কথা লোকে অসন্তব ॥