পাতা:শ্রীশ্রীহরি লীলামৃত.djvu/১৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
সপ্তম তরঙ্গ ।
বন্দন ।


জয় জয় হরিচাদ জয় কৃষ্ণ দাস । জয় ঐবৈষ্ণবদাস জয় গোরিদাস ॥ জয় শ্রীস্বরূপদাস পঞ্চ সহোদর। পতিত পাবন হেতু হৈল অবতার। জয় জয় গুরুচাদ জয় হীরামন। জয় শ্ৰীগোলোক চন্দ্র জয় শ্ৰীলোচন ॥ জয় জয় দশরথ জয় মৃত্যুঞ্জয়। জয় জয় মহানন্দ প্রেমানন্দ ময় ॥ জয় নাটু জয় ব্রজ জয় বিশ্বনাথ । নিজ দাস করি মোরে কর আত্মসাৎ ৷
4.
পাগলের হনুমান মূৰ্ত্তিধারণ ও গঙ্গদর্শন ।
পয়ার । পুনৰ্ব্বার একদিন গঙ্গাচর্ণ যেতে। চলিলেন পাগলাই করিতে করিতে ॥ অকুরবিশ্বাস রামকুমার বিশ্বাস । দুই জন মিলে এল পাগলের পাশ । পাগল দেখিয়া বড় হৈল মনপ্রীত । উভয় উভয় পক্ষে প্রেমে পুলকিত। তিন জন এক সঙ্গে যাইবে বলিয়া । একত্রে হইল পীর পাটগাতি গিয়া ॥ পাগল নামিতে তীরে দেয় এক লম্ফ। নদী জল উথলিল যেন ভূমি কম্প ॥ কিনারে আসিতে বাকী দশ বারে নল । গভীর ভাগন কুল স্রোত পাক জল ॥ জল হ’তে চারি হাত উৰ্দ্ধেতে পাহাড়ি । পাড়ির উপরে পড়ে বায়ু ভরে উড়ি ॥ দেখিয়া সকল লোক মানিল বিস্ময় । মাবিক কহিছে ইনি মনুষ ত ময় ॥ গোস্বামী দৌড়িয়া গেল গঙ্গাচর্ণ গ্রামে । কীৰ্ত্তিকের গৃহেতে মাতিল হরিনামে ॥ অঙ্কুর রামকুমার আইল পশ্চাতে। শম্ভুনাথ ঘরে বসিলেন একেত্ৰেতে ।

বলে ওহে শম্ভুনাথ পাগল কোথায় । বাৰ্ত্তা শুনি শম্ভুনাথ অন্বেষণে যায় ॥ এ দিকে পাগল ভাবিছেন মনে মনে । ভাল হ’ত কাৰ্ত্তিক আনিলে সে দুজনে ॥ মন জানি ততক্ষণ কাৰ্ত্তিক চলিল । তাড়াতাড়ি করি দেহে ডাকিয়া আনিল । র্তাহার। আসিয়া রাইচরণের ঘরে । প্রেমানন্দে মেতে দোহে হরিনাম করে ॥ পাগল করেছে নাম তাহা শুনিতেছে । পাগলের সঙ্গে কাৰ্ত্তিকের ভাৰ্য্যা আছে ৷ মৃদুস্বরে হরি বলে পাগলের সঙ্গে । কাৰ্ত্তিক ভাসিয়া যায় প্রেমের তরঙ্গে ৷ ন৷ এল বিশ্বাসদ্বয় পাগল ছুটিল । গিয়া রাইচরণের ঘরেতে উঠিল। দুই বিশ্বাসের আনি মদনের ঘরে । পাগল বাহিরে গিয়া হরিনাম করে ॥ নিমাইর দুই পুত্র চাদ ধতুরাম । ধতুরামের পুত্রের ঠাকুরদাস নাম ॥ তার পুত্র রামনিধি ভকত সুজন । অতি শুদ্ধ মতি তার তিনটী নন্দন ॥ । জ্যেষ্ঠ পুত্র মোহন মধ্যম শ্ৰীমদন - সব ছোট বনমালী বৈষ্ণব লক্ষণ ॥ মদনের ঘরে বসি আর আর লোক । গৃহের বাহিরে ঘোরে গোস্বামী গোলোক ॥ মদনের ঘরে রাইচরণের ঘরে । বায়ুবেগে দুই বাড়ী যায় আসে ঘুরে ॥ ঘর ঘেরি বাড়ী ঘেরী দেয় ঘন পাক । চক্রাকার ঘুরে যেন কুস্তকার চাক ॥ তাহাতে লোকের ভীড় হইল অধিক । মাঝে মাঝে সঙ্গে সঙ্গে ঘুরেছে কাৰ্ত্তিক। " কীৰ্ত্তিকের বাড়ী বাল্য বৃদ্ধ যুবা যত । সবে নাম সংকীৰ্ত্তনে হয়েছে উন্মত্ত ॥ রাইচরণের বাড়ী যত লোক ছিল । দিসে হার মাতোয়ার। কীৰ্ত্তনে মাতিল ॥ রজনী মহিমা বনমালী প্রামাণিক । বৃন্দাবন নিবারণ প্রেমেতে প্রেমিক ৷ রাইচরণের ঘরে মদনের ঘরে । বহু লোক মিশামিণি ভাসে প্রেম-নীরে।