প্রহাসিনী/সালগম-সংবাদ
সালগম-সংবাদ
নাতিনীর পত্র
শ্রীচরণেষু
দাদামহাশয়
খেয়েছ যে সালগম না করিয়া কাল-গম
এই আমি বহুভাগ্য মানি।
তার পরে মিঠি মিঠি লিখেছ স্নেহের চিঠি,
তার মূল্য কী আছে কী জানি।
তুচ্ছ এই উপহার কে জানিত কমলার
পদ্মসরোবর দিবে নাড়া-
সালগম মটন রােষ্টে কবির অধর-ওষ্ঠে
খুলি দিবে কাব্যের ফোয়ারা।
কিন্তু বড়দাদা-ভাই বড় মনে দুঃখ পাই
এ খেদ যাবে না প্রাণ গেলে-
শুনিতে হইল এও ভাগ্যমান তােমারেও
নাচের দোসর নাহি মেলে!
নাহয় না হল বুড়ি তবুও তাে ঝুড়ি ঝুড়ি
নাতিমীতে ঘরটি বােঝাই-
ষারেই লইবে বাছি সেই তাে উঠিবে নাচি,
নাচিবার ভাবনা তো নাই।
এ কথা ভুলিলে যবে বুঝায়ে কী আর হবে-
ধিক্ তবে মাের সালগমে।
বুঝিলাম তরকারী যত হােক দরকারী,
তাহাতে কবিত্ব নাহি জমে।
আর না করিব ভুল- এবারে বসন্তে ফুল
তুলিয়া আনিব ভরি ডালা।
সালগম পেঁয়াজকলি জলে দিয়া জলাঞ্জলি
পাঠাইব বকুলের মালা।
প্র. ভাদ্র ১৩০৯
- ১ কবির ভাগিনের সত্যপ্রসাদের কন্যা শ্রীমতী শান্তা। পরিচয় দ্রষ্টব্য।
- প্র. অর্থাৎ সামরিক পত্রে প্রচার।