হাজার বছরের পুরাণ বাঙ্গালা ভাষায় বৌদ্ধগান ও দোহা (১৯৫১)/চর্য্যাচর্য্যবিনিশ্চয়/৩০
৩০
রাগ মল্লারী
ভুসুকুপাদানাম্। করুণ মেহ নিরন্তর ফরিআ
ভাবাভাব দ্বন্দল দলিয়া॥ ধ্রু॥
উইত্তা গঅণ মাঝেঁ অদভূআ
পেখরে ভুসুকু সহজ সরুআ॥ ধ্রু॥
জাসু সুনন্তে তুট্টই ইন্দিআল
নিহুরে ণিঅ মন ণ দে উলাস॥ ধ্রু॥
বিসঅ বিশুদ্ধিঁ মই বুঝ্ঝিঅ আনন্দে।
গঅণহ জিম উজোলি চান্দে॥ ধ্রু॥
এ তৈলোএ এত বিষারা
জোই ভুসুকু হেব্ভই অন্ধকারা॥ ধ্রু॥
তমেবার্থং মহাসুখানন্দপ্রমোদেন ভুসুকুপাদঃ প্রতিপাদয়তি—
করুণেত্যাদি। করুণমিতি ভাবাভাবং গ্রাহ্যাদিবিকল্পং দলিত্বা নিঃস্বভাবীকৃত্য পরিশুদ্ধসম্ভোগকায়ো যোগীন্দ্রস্য গুরুপ্রসাদপ্রস্ফুরিতং।
অতএব ধ্রুবপদেন তস্য প্রভাবং প্রতিপাদয়তি—
উইএ ইত্যাদি। অতএব[া]গমঃ
প্রভাস্ব[৪৫ক]রে অদ্ভুতযুগনদ্ধফলোদয়ো ভূতঃ।
তস্মাৎ ভো ভুসুকুপাদ গুরুসম্প্রদায়াৎ তৃতীয়ানন্দে সহজানন্দস্বরূপং পশ্য জানীহি। স্বয়মেব আত্মানং সম্বোধ্য বদতি।
দ্বিতীয়পদেন তস্য প্রভাবং দর্শয়তি—
জাসু ইত্যাদি। যস্য সহজানন্দস্য প্রতীক্ষণে ইন্দিআলমিতি ইন্দ্রিয়সমূহং ত্রুট্যতি পলায়তে।
তথাচ সরহপাদাঃ।
ইন্দিঅ জথু বিলীঅ গউ ইত্যাদি।
নিহএ[১] ইতি। নিভৃতেন নির্ব্বিকল্পাকারেণ নিজমনঃ বোধিচিত্তং বজ্রগুরোঃ প্রসাদাৎ সহজোল্লাসং দদাতীতি।
তথাচ সরহপাদাঃ।
চিন্তাচিন্ত পরিহর ইত্যাদি।
তৃতীয়পদেন মার্গস্যানুশংসামাহ—
বিষয়েত্যাদি। যথা চন্দ্রেণ গগনমুদ্যোতিতং তথা ময়া বিষয়াণাং বিশুদ্ধ্যা। আনন্দেতি বিরমানন্দে পরমানন্দমবগম্য তেন সহজানন্দচন্দ্রেণ মোহান্ধকারং নাশিতমিতি।
চতুর্থপদেন[৪৬] ফলপ্রাপ্তিত্বাৎ তস্য প্রভাবমাহ—
এতেলোএ[২] ইত্যাদি। এতস্মিন্ ত্রৈলো(ক)চতুর্থানন্দব্যতিরেকান্নান্যো[৩]পায়োঽস্তি। যস্যোদয়েন সিদ্ধাচার্য্যো ভুসুকুপাদঃ। ক্লেশান্ধকারং স্ফেটয়তি।
তথাচ সরহপাদাঃ—
তস্মৈ নমো যদুদয়েনেত্যাদি॥৩০॥
৩০
রাগ মল্লারী
ভুসুকুপাদানাম্— করুণা মেহ নিরন্তর ফরিআ।
ভাবাভাব দ্বন্দল দলিআ॥ ধ্রু॥
উইত্তা গঅণ মাঝেঁ অদভূআ।
পেখ রে ভুসুকু সহজসরুআ॥ ধ্রু॥
জাসু সুনন্তে তুট্টই ইন্দিআল।
নিহুরে ণিঅ মন দে উলাস॥ ধ্রু॥
বিসঅ বিশুদ্ধেঁ মই বুঝ্ঝিঅ আনন্দে।
গঅণহ জিম উজোলি চান্দে॥ ধ্রু॥
এ তৈলোএ এ ত বিসারা।
জোই ভুসুকু ফেটই অন্ধকারা॥ ধ্রু॥
ভাব ও অভাবরূপ (বিকল্প)দ্বয়কে দলিত করিয়া, (গুরুর প্রসাদে পরিশুদ্ধসম্ভোগকায়রূপ) করুণা [বর্ষণকারী] মেঘরূপে নিরন্তর স্ফুরিত হইতেছে। রে ভুসুকু! দেখ—(প্রভাস্বর) গগনের মধ্যে অদ্ভুত সহজস্বরূপ উদিত হইয়াছে; যাহার [কথা] শুনিতে শুনিতে ইন্দ্রিয়জাল ত্রুটিত হইয়া যায় এবং নিজের মন (বোধিচিত্ত) নিভৃত দেশে গিয়া (নির্ব্বিকল্পাকারে সহজ)-উল্লাস দান করে। বিষয়সকলের বিশুদ্ধি দ্বারা আমি (বিরমানন্দে পরম) আনন্দকে বুঝিয়া, চন্দ্র যেমন গগনকে উজ্জ্বল করে, (সেইপ্রকার সহজানন্দরূপ চন্দ্রের দ্বারা মোহান্ধকার নাশ করিয়াছি)। এই ত্রৈলোক্যে এই (চতুর্থানন্দই) ত বিসারিত [রহিয়াছে], যোগী ভুসুকু (যাহার উদয়ে ক্লেশরূপ) অন্ধকার বিনাশ করিয়াছেন।