পাতা:বেতালপঞ্চবিংশতি.pdf/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
উপক্রমণিকা
১৫

সমাধিভঙ্গ করা অসাধ্য জানিয়া সেই আশ্রমের অনতিদূরে এক সুশোভন উপবন ও তন্মধ্যে পরম রমণীয় হর্ম্ম্য নির্মাণ করাইল এবং নানা উপায় চিন্তিয়া পরিশেষে যুক্তিপূর্ব্বক মোহনভোগ প্রস্তুত করিয়া ধূমপায়ী তপস্বীর আস্যদেশে প্রদান করিল। তপস্বী রসনাসংযোগ দ্বারা মিষ্ট বোধ হওয়াতে ক্রমে ক্রমে সমুদায় ভক্ষণ করিলেন। বারাঙ্গনা পুনর্বার দিল তিনিও তৎক্ষণাৎ ভক্ষণ করিলেন।

এই রূপে ক্রমাগত কতিপয় দিবস মোহনভোগ উপযোগ করিয়া কিঞ্চিৎ সামর্থ্য বোধ হইলে সন্ন্যাসী নেত্রদ্বয় উন্মীলিত করিয়া তৰু হইতে অবতীর্ণ হইলেন এবং বারনারীকে জিজ্ঞাসিলেন তুমি কে কি অভিপ্রায়ে একাকিনী এই নির্জন বনস্থানে আগমন করিয়াছ। সে কহিল আমি দেবকন্যা দেবলোকে তপস্যা করি। সম্প্রতি মর্ত্ত্যলোকীয় তীর্থপর্য্যটন প্রসঙ্গে পরম পবিত্র কর্ম্মক্ষেত্র ভারতবর্ষে আসিয়া যোগানুষ্ঠানবাসনায় এক আশ্রম নির্মাণ করিয়াছি। নিয়ত তথায় অবস্থিত করি। অদ্য সৌভাগ্যক্রমে এই আশ্রমে প্রবেশ করিয়া আপনকার সন্দর্শন ও সম্ভাষণানুগ্রহ লাভ দ্বারা চরিতার্থতা প্রাপ্ত হইলাম। তপস্বী কহিলেন আমি তোমার সৌজন্য ও সুশীলতা দেখিয়া পরম পরিতোষ প্রাপ্ত হইয়াছি এবং তোমার সন্দর্শনে আত্মাকে চরিতার্থ বোধ করিতেছি। যে হেতু জন্মান্তরীণপুণ্য-