পাতা:বেতালপঞ্চবিংশতি.pdf/২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
উপক্রমণিকা।
১৯

প্রভাতে তিনি সিংহাসনোপবিষ্ট হইলে ভৃত্যবর্গ ও প্রজাগণ বহু দিনের পর রাজসন্দর্শন লাভ করিয়া আনন্দপ্রবাহে মগ্ন হইল। রাজা বিক্রমাদিত্য রাজনীতির অনুবর্ত্তী হইয়া রাজ্যশাসন ও প্রজাপালন করিতে লাগিলেন।

কিয়ৎ দিন পরে শান্তশীল নামে এক সন্ন্যাসী শ্রীফল হস্তে রাজসভায় উপস্থিত হইলেন এবং ফল প্রদানপূর্ব্বক রাজাকে আশীর্বাদ করিয়া কক্ষস্থিত আসন পাতিয়া তদুপরি উপবেশন করিলেন। কিয়ৎ ক্ষণ কথোপকথন করিয়া রাজার নিকট বিদায় লইয়া সন্ন্যাসী সভা হইতে প্রস্থান করিলে পর নরপতি অন্তঃকরণে এই বিতর্ক করিতে লাগিলেন যক্ষ যে সন্ন্যাসীর কথা কহিয়াছিল এ সেই ব্যক্তিই বা হয়। যাহা হউক সহসা এই ফল ভক্ষণ করা উচিত নহে। মনে মনে এইরূপ স্থির করিয়া কোষাধ্যক্ষের হস্তে প্রদান করিয়া কহিলেন তুমি এই ফল যত্নপূর্ব্বক রাখিবে। সন্ন্যাসী প্রত্যহ গমনাগমন ও ফলপ্রদান করিতে লাগিলেন।

এক দিবস রাজা বয়স্যবর্গসমভিব্যাহারে মন্দুরাসন্দর্শনার্থ গমন করিয়াছিলেন। সেই সময়ে সন্ন্যাসীও তথায় উপস্থিত হইয়া পূর্ব্ববৎ ফল প্রদানপূর্ব্বক আশীর্বাদ করিলেন। দৈবযোগে ঐ ফল ভুপতির করতল হইতে ভূতলে পতিত ও ভগ্ন হওয়াতে তন্মধ্য হইতে এক অপূর্ব্ব রত্ন নির্গত হইল। রাজা