পাতা:বেতালপঞ্চবিংশতি.pdf/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
২২
বেতালপঞ্চবিংশতি।

লাগিলেন হে যোগীশ্বর আপনি আমাকে এত রত্ন দিলেন কিন্তু এক দিনও আমার আলয়ে ভোজন বা জলগ্রহণ করিলেন না, ইহাতে আমি আপনকার নিকট অত্যন্ত লজ্জিত হইতেছি। যদি আপনকার কোন অভিপ্রায় থাকে ব্যক্ত কৰুন আমি প্রাণান্তেও তৎসম্পাদনে পরাঙ্মুখ হইব না। সন্ন্যাসী কহিলেন মহারাজ গোদাবরীতীরস্থিত শ্মশানে মন্ত্র সিদ্ধ করিবার বাসনা করিয়াছি তাহাতে অষ্টসিদ্ধি লাভ হইবেক। অতএব তোমার নিকট এই প্রার্থনা করিতেছি তুমি এক দিন সন্ধ্যা অবধি প্রভাত পর্য্যন্ত আমার সন্নিহিত থাকিবে। তুমি সন্নিহিত থাকিলেই আমার মন্ত্র সিদ্ধ হইবেক। রাজা কহিলেন আমি নিঃসন্দেহ যাইব আপনি দিন নির্ণয় করিয়া বলুন। সন্ন্যাসী কহিলেন তুমি আগামী ভাদ্র কৃষ্ণচতুর্দশীতে সন্ধ্যাকালে একাকী আমার নিকটে যাইবে। রাজা কহিলেন আপনি নিশ্চিন্ত থাকিবেন আমি অবশ্য যাইব। এই রূপে রাজাকে বচনবদ্ধ করিয়া বিদায় লইয়া সন্ন্যাসী আপন আশ্রমে প্রস্থান করিলেন।

নির্দ্ধারিত কৃষ্ণ চতুর্দশী উপস্থিত হইল। সন্ন্যাসী সায়ং সময়ে সমুদয় সংগ্রহপূর্ব্বক শ্মশানে যোগাসনে বসিলেন। রাজা বিক্রমাদিত্যও প্রতিশ্রুত সময় সমুপস্থিত জানিয়া সাহসে নির্ভর করিয়া করে তরবারি ধারণপূর্ব্বক