পাতা:বেতালপঞ্চবিংশতি.pdf/৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
বেতালপঞ্চবিংশতি
৩১

রাজপুত্ত্র কহিলেন যদি বুঝিয়া থাক সমুদায় বিশেষ করিয়া বর্ণন কর শুনিলেও আপাততঃ স্থির হইতে পারি। তিনি কহিলেন বয়স্য শ্রবণ কর পদ্মপুষ্প মস্তক হইতে নামাইয়া কর্ণে সংলগ্ন করিয়াছিল তদ্দ্বারা তোমাকে এই কহিয়াছে আমি কর্ণাটনগরনিবাসিনী। দন্ত দ্বারা খণ্ডন করিয়া ইহা ব্যক্ত করিয়াছে আমি দন্তবাট রাজার কন্যা। তৎপরে পদতলে নিক্ষিপ্ত করিয়া এই সঙ্কেত করিয়াছে আমার নাম পদ্মাবতী। আর হৃদয়ে স্থাপন করিয়া এই অভিপ্রায় প্রকাশ করিয়াছে তুমি আমার হৃদয়বল্লভ।

বয়স্যের এই বাক্য শ্রবণ করিয়া কুমার অপার আনন্দসাগরে মগ্ন হইলেন এবং ব্যগ্র হইয়া বারংবার কহিতে লাগিলেন বয়স্য ত্বরায় আমাকে কর্ণাট নগরে লইয়া চল। অনন্তর উভয়ে সমুচিত পরিচ্ছদ পরিধান ও অস্ত্র বন্ধনপূর্ব্বক অশ্বারোহণ করিলেন। কতিপয় দিবসের পরে কর্ণাট নগরে উপস্থিত হইয়া তাঁহারা রাজবাটীর নিকটে গিয়া দেখিলেন এক বৃদ্ধা আপন ভবনদ্বারে উপষিষ্টা আছে। উভয়ে অশ্ব হইতে অবতীর্ণ হইয়া তাহার নিকটে গিয়া কহিলেন মা আমরা বাণিজ্যব্যবসায়ী বিদেশীয় লোক। দ্রব্যসামগ্রী সমগ্র পশ্চাৎ আসিতেছে। বাসা অনুসন্ধান করিবার নিমিত্ত আমরা অগ্রসর হইয়াছি। যদি কৃপা করিয়া স্থান দাও তবে থাকিতে