পাতা:বেতালপঞ্চবিংশতি.pdf/৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
৪৪
বেতালপঞ্চবিংশতি
৪৪

শ্মশানে ডাকিনীমন্ত্র সিদ্ধ করিয়াছিলাম। মন্ত্রপ্রভাবে ডাকিনী স্বয়ং উপস্থিত হইয়া প্রসাদস্বরূপ স্বীয় অলঙ্কার উন্মোচন করিয়া দিয়াছেন এবং আমিও তাঁহার বাম জঙ্ঘাতে যোগসিদ্ধির প্রমাণস্বরূপ এক ত্রিশূলের চিহ্ন দিয়াছি। এ সমুদায় সেই অলঙ্কার। রাজা শুনিয়া বিস্ময়াপন্ন হইয়া অবিলম্বে অন্তঃপুরে প্রবেশ করিলেন এবং নিজ মহিষীকে কহিলেন দেখ দেখি পদ্মাবতীর বাম জঙ্ঘাতে কোন চিহ্ন আছে কি না। রাজ্ঞী সবিশেষ অবগত হইয়া রাজার নিকটে আসিয়া কহিলেন এক ত্রিশূলের চিহ্ন আছে।

রাজা এইপ্রকার অঘটনঘটনা শ্রবণে হতবুদ্ধি ও লজ্জায় অধোমুখ হইয়া ভাবিতে লাগিলেন এপ্রকার স্বৈরিণীকে গৃহে রাখা উচিত কর্ম্ম নহে ইহাতে অধর্ম্ম আছে। অতএব এখন কি কর্ত্তব্য। অথবা পণ্ডিতমণ্ডলী একত্র করিয়া সবিশেষ কহিয়া জিজ্ঞাসা করি তাঁহারা ধর্ম্মশাস্ত্র অনুসারে যেরূপ ব্যবস্থা দিবেন তদনুরূপ কার্য্য করিব। কিন্তু গৃহচ্ছিদ্র প্রকাশ করিতে শাস্ত্রে নিষেধ আছে। পণ্ডিতমণ্ডলী সংগ্রহ করিয়া ব্যবস্থা জিজ্ঞাসিলে আমার এই অপযশ ক্রমে ক্রমে দেশে বিদেশে প্রচার হইবেক। তদপেক্ষা উত্তম কল্প এই সেই সন্ন্যাসীকেই ইহার পরামর্শ জিজ্ঞাসা করি। সন্ন্যাসী সবিশেষ অবগত আছেন শাস্ত্রজ্ঞও বটেন ধর্ম্মতঃ প্রশ্ন করিলে অবশ্যই