পাতা:বেতালপঞ্চবিংশতি.pdf/৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
৭৪
বেতালপঞ্চবিংশতি
৭৪

পতিপ্রাণা রত্নাবতী পতিকে সমাগত দেখিয়া অন্তঃকরণে চিন্তা করিল পতি অতিদুবাচার হইলেও নারীর পরম গুরু। তাঁহাকে সন্তুষ্ট রাখিতে পারিলেই নারী ইহলোকে ও পরলোকে চরিতার্থতা প্রাপ্ত হয়। আর যে নারী কুমতিপরতন্ত্র হইয়া পরমগুরু স্বামীর কাদাচিৎক কুব্যবহারকে অপরাধ গণ্য করিয়া তাঁহার প্রতি কোন প্রকারে অশ্রদ্ধা বা অনাদর প্রদর্শন করে সে আপন ঐহিক ও পারলৌকিক সকল সুখে জলাঞ্জলি দেয়। আর ইনি কেবল ভ্রান্তিক্রমেই সেরূপ ব্যবহার করিয়াছিলেন সন্দেহ নাই। অতএব আমি সেই সামান্য দোষ ধরিয়া অপরাধিনী হইব না। যাহা হউক ইনি এক্ষণে বিশেষ না জানিয়াই এখানে আসিয়াছেন আমাকে দেখিতে পাইলেই নিঃসন্দেহ পলায়ন করিবেন। অতএব অগ্রে ভয়ভঞ্জন করিয়া দেওয়া উচিত।

রত্নাবতী অন্তঃকরণে এই সকল আলোচনা করিয়া ত্বরায় নিকটবর্ত্তিনী হইয়া কহিল নাথ তুমি অন্তঃকরণমধ্যে কোন শঙ্কা করিও না। আমি পিতা মাতার নিকট কহিয়াছি চোরেরা অলঙ্কার গ্রহণপূর্ব্বক আমাকে কূপে নিক্ষিপ্ত করিয়া তোমাকে বন্ধন করিয়া লইয়া গিয়াছে। অতএব সে সকল কথা স্মরণ করিয়া ভীত হইবার আবশ্যকতা নাই। আমার পিতা মাতা তোমার নিমিত্ত অত্যন্ত উৎকণ্ঠিত আছেন