পাতা:বেতালপঞ্চবিংশতি.pdf/৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
৮৪
বেতালপঞ্চবিংশতি
৮৪

নাই এক্ষণে অনায়সে মিথ্যাপবাদ দিতেছে। এই নিমিত্তই নীতিজ্ঞেরা কহিয়াছেন যে মনুষ্যের কথা দূরে থাকুক দেবতারাও স্ত্রীলোকের চরিত্র ও পুরুষের ভাগ্যের কথা বুঝিতে পারেন না। জানি না পরিশেষে কি বিপদ্‌ ঘটিবেক। ইত্যাদি নানাবিধ চিন্তা করিয়া মৌনাবলম্বনপূর্ব্বক অধোমুখ হইয়া রহিল।

পর দিন প্রভাত হইবামাত্র জয়শ্রীর পিতা রাজদ্বারে সংবাদ দিয়া জামাতাকে বিচারালয়ে নীত করিল। রাজ। বাদী ও প্রতিবাদী উভয় পক্ষকে পরস্পর সম্মুখবর্ত্তী করিয়া প্রথমতঃ জয়শ্রীকে জিজ্ঞাসিলেন কে তোমার এ দুর্দশা করিয়াছে বল আমি তাহার সমুচিত দণ্ডবিধান করিতেছি। তখন জয়শ্রী পতি প্রতি দৃষ্টিপাত করিয়া কহিল মহারাজ ইনি আমার স্বামী ইহাঁ হইতেই আমার এই দুর্দশা ঘটিয়াছে। অনন্তর রাজা শ্রীদত্তকে জিজ্ঞাসা করিলেন তুমি কি নিমিত্ত এমন দুষ্কর্ম্ম করিলে। সে কহিল মহারাজ আমি এ বিষয়ের বিন্দু বিসর্গও জানি না ইহাতে আপনকার বিচারে যেরূপ ব্যবস্থা হয় করুন। এই বলিয়া কৃতাঞ্জলি হইয়া অধোমুখে দণ্ডায়মান রহিল।

রাজা বাদী প্রতিবাদীর বাক্য পর্যালোচনা করিয়া পরিশেষে ঘাতকদিগকে ডাকাইয়া শ্রীদত্তকে শূলে দিতে আদেশ