পাতা:বেতালপঞ্চবিংশতি.pdf/১১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
১০৫
বেতালপঞ্চবিংশতি
১০৫

দিয়া অরণ্যে গিয়া জগদীশ্বরের আরাধনায় প্রবৃত্ত হইব। এই নিশ্চয় করিয়া চিরঞ্জীব মিথিলা পরিত্যাগপূর্ব্বক অরণ্য প্রবেশ করিল।

কিয়ৎ দিন পরে রাজা গুণাধিপ অন্তঃপুর হইতে বহির্গত হইয়া পুনর্বার রাজকার্য্যে নিবিষ্টমনা হইলেন এবং কতিপয় দিবসের পর কিয়দংশ সৈন্য সামন্ত সমভিব্যাহারে করিয়া মৃগয়ায় গমন করিলেন। ইতস্ততঃ নানা বনে ভ্রমণ করিয়া পরিশেষে তিনি এক মৃগের অনুসরণক্রমে অশ্বারোহণে একাকী অরণ্যের নিবিড়তর প্রদেশে প্রবিষ্ট হইলেন। তৎকালে সকলভুবনপ্রকাশক ভগবান্‌ কমলিনীনায়ক অস্তাচলচূড়াবলম্বী হইলে চারি দিক্‌ অন্ধকারে আচ্ছন্ন হইতে লাগিল এবং সে মৃগও দৃষ্টিপথের বহির্ভূত হইল।

তখন রাজা যৎপরোনাস্তি ভীত ও ক্ষুৎপিপাসায় পীড়িত হইয়া অত্যন্ত বিষণ্ণ ও চিন্তাকুল হইলেন। কিন্তু ভয়ক্ষোভ অপেক্ষা বুভুক্ষা ও পিপাসার পীড়া ক্রমে ক্রমে অধিক প্রবল হইয়া উঠিল। তিনি একান্ত অধৈর্য্য হইয়া ইতস্ততঃ জলান্বেষণ করিতে লাগিলেন। পরিশেষে সেই নিবিড় অরণ্যমধ্যে অসম্ভাবিত কুটীর দর্শন করিয়া হৃষ্টমনা হইলেন। রজঃপূত চিরঞ্জীব বিষয়বিরক্ত হইয়া ঐ কুটীর নির্মাণ করিয়া তপস্যা করিতেছিলেন। রাজা তথায় উপস্থিত

১৪