পাতা:বেতালপঞ্চবিংশতি.pdf/১২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
১২৩
বেতালপঞ্চবিংশতি
১২৩

নিরীক্ষণ করিতে লাগিলেন। কিয়ৎ ক্ষণ পরে ঐ অদ্ভুত তরু প্রবাহমধ্যে বিলীন হইল।

এইরূপ অঘটনঘটনা সন্দর্শনে চমৎকৃত হইয়া সত্যপ্রকাশ ত্বরায় স্বদেশে প্রত্যাগমনপূর্ব্বক রাজসমীপে কৃতাঞ্জলি হইয়া আবেদন করিলেন মহারাজ আমি এক আশ্চর্য্য দর্শন করিয়াছি কিন্তু বর্ণনা করিলে তাহাতে কোন প্রকারেই অন্যের বিশ্বাস জন্মাইতে পারিব না। প্রাচীন পণ্ডিতেরা কহিয়াছেন যে বিষয় কাহারও বুদ্ধিগম্য ও বিশ্বাসযোগ্য না হয় তাহা কদাপি বর্ণন করিবেক না করিলে উপহাসাস্পদ হয়। কিন্তু মহারাজ আমি স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করিয়াছি এই নিমিত্ত নিবেদন করিতেছি যে স্থানে ত্রেতাবতার ভগবান্‌ রামচন্দ্র দশাননবংশধ্বংসবিধানোদ্যোগে মহাকায়মহাবলকপিবলযাহায্যে শতযোজনবিস্তীর্ণ অর্ণবোপরি লোকাতীতকীর্ত্তিহেতু সেতু সঙ্ঘটন করিয়াছিলেন তথায় উপস্থিত হইয়া দেখিলাম উত্তালতরঙ্গমালাসঙ্কুল কল্লোলিনীবল্লভপ্রবাহমধ্য হইতে অকস্মাৎ এক স্বর্ণময় বৃক্ষ নির্গত হইল। তদুপরি এক পরম সুন্দরী কন্যা বীনাবাদনপূর্ব্বক আমি আপনকার নিকট সংবাদ দিতে আসিয়াছি।