বিস্তর অন্বেষণ করিতে লাগিলেন কিন্তু কোন সন্ধান না পাইয়া সাতিশয় বিষণ্ণ ভাবে নিশা যাপন করিলেন। পর দিন প্রভাত হইবামাত্র তিনি অতিমাত্র ব্যগ্র ও চিন্তাকুল চিত্তে পুনরায় বিশেষ করিয়া অশেষপ্রকার অনুসন্ধান করিলেন। পরিশেষে নিতান্ত নিরাশ্বাস ও উন্মত্তপ্রায় হইয়া সংসারাশ্রম পরিত্যাগপূর্ব্বক সন্ন্যাসীর বেশে দেশে দেশে ভ্রমণ করিতে লাগিলেন।
এক দিবস দেবস্বামী দিবা দ্বিপ্রহরের সময় অতিশয় ক্ষুধার্ত্ত হইয়া এক ব্রাহ্মণের আলয়ে অতিথি হইলেন এবং কহিলেন আমি ক্ষুধায় অত্যন্ত কাতর হইয়াছি কিছু ভোজনীয় দ্রব্য দিয়া আমার প্রাণরক্ষা কর। গৃহস্থ ব্রাহ্মণ তৎক্ষণাৎ এক পাত্র দুগ্ধে পরিপূর্ণ করিয়া অতিথি ব্রাহ্মণের হস্তে ভক্ষণার্থে সমর্পণ করিলেন। গৃহস্থ ব্রাহ্মণের গ্রহবৈগুণ্য প্রযুক্ত পূর্ব্বে এক কৃঞ্চসর্প ঐ দুগ্ধে মুখার্পণ করাতে তাহা অত্যন্ত বিষাক্ত হইয়া ছিল। পান করিবামাত্র সেই বিষ সর্ব্বাঙ্গব্যাপী হইয়া অতিথি ব্রাহ্মণকে ক্রমে ক্রমে কাতর ও অচেতন করিতে লাগিল। তখন তিনি গৃহস্থ ব্রাহ্মণকে তুমি বিষভ ক্ষণ করাইয়া ব্রহ্মহত্যা করিলে ইহা কহিয়া ভূতলে পতিত ও পঞ্চত্ব প্রাপ্ত হইলেন। ব্রাহ্মণ অকস্মাৎ ব্রহ্মহত্যা দেখিয়া অত্যন্ত বিষণ্ণ হইলেন এবং বাটীর মধ্যে প্রবেশিয়া আপন পত্নীকে