পাতা:বেতালপঞ্চবিংশতি.pdf/১৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
১৬৮
বেতালপঞ্চবিংশতি
১৬৮

পায় হইয়া প্রণাম করিয়া বিদায় লইল। কিন্তু উন্মাদিনীচিন্তা কালস্বরূপিণী হইয়া দশম দিবসে রাজার প্রাণসংহার করিল।

প্রভুভক্ত বলভদ্র এবংবিধ ধর্ম্মশীল স্বামীর প্রাণবিনাশসংবাদ শ্রবণে অতিশয় শোক ও পরিতাপ প্রাপ্ত হইয়া মনে মনে বিবেচনা করিল এতাদৃশ প্রভুর লোকান্তরগমনের পর আর প্রাণধারণের প্রয়োজন কি। বিবেচনা করিলে আমার নিমিত্তই স্বামীর এই অকালমৃত্যু হইল। জানি না জন্মান্তরে এই পাপে আমাকে কত যন্ত্রণা ভোগ করিতে হইবেক। অতএব এক্ষণে প্রাণত্যাগরূপ প্রায়শ্চিত্ত করিয়া আত্মাকে বিশুদ্ধ করি। এইরূপ অধ্যবসায়ারূঢ় হইয়া প্রেতভূমিতে উপস্থিত হইল এবং চিতা প্রস্তুত করিতে আদেশ দিয়া সূর্য্যাভিমুখে প্রার্থনা করিতে লাগিল ভগবন্‌ ভাস্কর আমি কৃতাঞ্জলি হইয়া একান্তচিত্তে প্রার্থনা করিতেছি যেন জন্মে জন্মে এইরূপ ধর্ম্মপরায়ণ প্রভু পাই।

এই বলিয়া বলভদ্র প্রজ্বলিত চিতায় আরোহণ করিলে তাহার পত্নী উন্মাদিনী মনে মনে বিবেচনা করিল আমার আর জীবনধারণ বৃথা বরং সহগমনপথ অবলম্বন করি পরকালে সদ্গতি পাইব। ধর্ম্মশাস্ত্রপ্রবর্ত্তকেরা কহিয়াছেন সহগমন স্ত্রীলোকের পরম ধর্ম্ম। নারী চির কাল দুশ্চরিত্রা