পাতা:বেতালপঞ্চবিংশতি.pdf/১৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
বেতালপঞ্চবিংশতি
১৮১

হইতেছে উন্নত ললাট বিস্তৃত বক্ষঃস্থল ও দীর্ঘ অকার। পরে শাস্ত্রানুসারে পরীক্ষা করিয়া কহিলেন সামুদ্রিক শাস্ত্রে পুরুষের দ্বাত্রিংশৎ শুভ লক্ষণ নির্দিষ্ট আছে মহারাজ সেই সমুদায় এই একাধারে লক্ষিত হইতেছে। অতএব এই বালক সমস্ত পৃথিবীর সম্রাট হইবেন সন্দেহ নাই।

রাজা পরম পরিতোষ প্রাপ্ত হইয়া পারিতোষিক প্রদানপূর্ব্বক ব্রাহ্মণদিগকে বিদায় করিয়া দীন দরিদ্র অনাথ প্রভৃতিকে প্রার্থনাধিক অর্থদান করিলেন। ষষ্ঠ মাসে অন্নপ্রাশন দিয়া বালকের নাম হরদত্ত রাখিলেন। বালক অল্পকালমধ্যে চতুর্দশ বিদ্যায় পারদর্শী হইলেন এবং রাজার লোকান্তরপ্রাপ্তি হইলে তদীয় সিংহাসনে আরোহণ করিয়া ক্রমে ক্রমে সমস্ত ভূমণ্ডলে আপন আধিপত্য স্থাপন করিলেন।

কিয়ং কাল পরে হরদত্ত তীর্থযাত্রায় নির্গত হইয়া প্রথমতঃ পিতৃকৃত্যসম্পাদনার্থে গয়াধামে উপস্থিত হইলেন। ফল্গুতীরে যথাবিধি শ্রাদ্ধ করিয়া রাজা পিতৃপিণ্ডপ্রদানে উদ্যত হইলে নদীমধ্য হইতে পিণ্ডগ্রহণার্থে তিন জনের তিন দক্ষিণ হস্ত যুগপৎ নির্গত হইল এক ক্ষেত্রিক চোরের দ্বিতীয় বীজী ব্রাহ্মণের তৃতীয় প্রতিপালক রাজার।

ইহা কহিয়া বেতাল জিজ্ঞাসা করিল মহারাজ এক্ষণে ইহাদিগের মধ্যে কোন্‌ ব্যক্তি শাস্ত্র ও যুক্তি অনুসারে হরদত্ত-