পাতা:বিভূতি রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড).djvu/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ক্লার্কওয়েল মেমসাহেবের দিকে চাহিয়া বলিলেন, এই স্কুলে দুজন টীচার আছে, যারা টীচার নামের উপযুক্ত—নারাণবাবু আর মি: আলম। ইনি এসেছেন ললিতকে কী করে 'দি'র ব্যবহার শেখানো যায়, তাই নিয়ে। আর কজন আছে আমাদের স্কুলের মধ্যে, ধারা এ সব নিয়ে মাথা ঘামান ? মেমসাহেব হাসিয়া বলিল, ইউ ডিজার্ত এ স্নাইস্ অফ মাই হোম-মেড কেক্‌ নারাণবাবু, ইউ ডু। একটা কেকের খানিকট কাটিয়া প্লেটে নারাণবাবুর সামনে রাখিয়া মেমসাহে । दलिज, झेछे झेहे ब्राi७ 6थछ झेप्ले । নারাণবাবু বিনয়ে বাকিয়৷ হুমড়াইয়ু হাত কচলাষ্টতে কচলাইতে বলিলেন, ধন্যবাদ ম্যাডাম, ধন্যবাদ । চমৎকার কেক্‌ ! বাঃ, বেশ– ক্লার্কওয়েল বলিলেন, আর কে কি রকম কাজ করে নারাণবাবু টীচারদের মধ্যে – নারাণবাবুর একটা গুণ, কাহ্লার ও নামে লাগানো-ভাঙানে অভ্যাস নাই তাহার। মিঃ আলম যে স্থলে অন্তত তিন জন টীচারকে ফাকিবাজ বলিয়া দেখাইত, সেখানে নারাণবাৰু বলিলেন, কাজ সবাই করে প্রাণপণে, আর সবাই বেশ খাটে। হেডমাস্টার হাসিয়া বলিলেন, ইউ আর য়্যান ওল্ড ম্যান নারাণবাবু। তুমি কারও দোষ দেখ না—ওই তোমার মস্ত দোষ । আমি জানি, কে কে আমার স্কুলে ফাকি দেয়। আমি জানি নে ভাব ? নাম আমি করছি নে—নাম করা অনাবশ্বক—কারণ, আমার দৃঢ় বিশ্বাস, তাদের নাম তোমার কাছেও অজ্ঞাত নয়। আচ্ছা, যাও— মেমসাহেব বলিল, ভাল কেক্‌ ? নারাণবাবু বলিলেন, চমৎকার কেক্‌ ম্যাডাম, অদ্ভুত কেক । মেমসাহেব বলিল, আমার বাপের বাড়ী শ্রপশায়ারে, শুধু সেইখানে এই কেক তৈরী হয় তোমায় বলছি। তাও দুখানা গায়ে—নরউড, আর বার্কলে-সেন্ট-জন—পাশাপাশি গী। কলকাতার দোকানে যে কেক্‌ বিক্রি হয়, ও আমি খাই নে ! নারাণবাৰু আর এক প্রস্থ বিনীত হান্ত বিস্তার করিম বিদায় লইলেন, আজ অংকুলবাবু নাই, কিন্তু সাহেব ও মেম আসাতে নারাণবাবু খুশীই আছেন। স্কুলের কি করিয়া উন্নতি করা যায় সে দিকে সাহেবের সর্বদা চেষ্টা, তবে দোষও আছে। টাকাকড়ি সম্বন্ধে সাহেব তেমন সুবিধার লোক নয়। মাস্টারদের মাহিন। দিতে বড় দেরি করে, নানা রকমে কষ্ট দেয়—তার একটা কারণ, স্কুলের ক্যাশ সাহেবের কাছে থাকে, সাহেবের বেঙ্গায় খরচের হাত—খরচ করিয়া ফেলে, অবতা স্কুলের বাবাই খরচ করে, শেষে মাস্টারদের মাঙ্গিনা দিতে পারে না সময়মত। মোটের উপর কিন্তু সাহেব স্কুলের পক্ষে ভালই। বড় কড়াপ্রকৃতির বটে, শিক্ষকদের বিষয়ে অনেক সময় অন্যায় অবিচার যথেষ্ট করিয়া থাকে, যমের মত ভয় করে সবু মাস্টার ; কিন্তু স্কুলের স্বার্থ ও ছেলেদের স্বার্থের দিকে নজর রাখিয়াই সে-সব করে সাহেব। নারাণবাৰু তাই চানঃস্থলের উন্নতি লইয়াই কথা ।