পাতা:বিভূতি রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড).djvu/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রায়ই তাহার বন্ধুর বাড়ী পাচু যাইত, রণজিতের মা খাইতে দিতেন, তারপরে রণজিতের বোন স্বসি আর হিমির সঙ্গে তাহারা দুইজনে বসিয়া ক্যারম খেলিত। মুসির অদ্ভূত টিপ, সরু সরু ফরসা আঙুল দিয়া স্ট্রাইকার ছটকাইয়া সামনের কাঠে রিবাউও করাইয়া কেমন অদ্ভুত কৌশলে সে গুটি ফেলিত। পাচু স্বলির গুণে মুগ্ধ। অমন অদ্ভুত মেয়ে সে যদি আর কোথাও দেখিয়া থাকে ! হারিয়া গেলে স্থলি হালিয়া বলে, পারলে না পাচু, এইবার লালখানা ফেলেও হেরে গেলে । লাল ফেলিলে কী হইবে, পয়েণ্ট হইল কই ? বোর্ডে যখন সাতখানা গুটি মজুত, তখন ওদিকে স্বসির হাতের গুণে স্ট্রাইকার অসম্ভব সম্ভব করিয়া তুলিতেছে পাচুর বিক্ষিত ও মুগ্ধ দৃষ্টির সম্মুখে। দেখিতে দেখিতে বোর্ড ফাক, প্রতিপক্ষ সব গুটি পকেটে ফেলিয়াছে। কী মজার খেলা ! কী মজার দিন । o এখানে ভাল লাগে না। কী আছে এখানে ? কুমোরপাড়ার ছেলেদের সঙ্গে মিশিয়া গেয়ে খেলা যত সব ! কথা সব বাঙালে ধরনের, এখানে আর কিছুদিন থাকিলে পাচু বাঙাল হইয়া উঠিবে। নিভাননী বলে, আজ পচিশ দিন হল, না ? ক্ষেত্রবাবু হাসিয়া বলেন, দিন গুনছ নাকি ? —ভাল লাগছে না আর, সত্যি । —তা বটে। আমারও তেমন ভাল লাগছে না-বলে বসে আর দিনে ঘুষিয়ে শুরীর. মষ্ট হল। একটা কথা বলবার লোক নেই, আছে ওই ননী মশায় আর জগন্নাহরি ঘোষ-ওয়া খানচালের দর নিয়ে কথাবার্তা বলে কেবল। কাহাতক ওদের সঙ্গে বসে গল্প করি ? —আর কদিন আছে তোমার ? —ত এখনও আঠারো-উনিশ নি–কি তারও বেশী। লিভাননী বলিল, ছেলেমেয়েদেরও আর ভাল লাগচে না। কাহ আমায় বুলচে, মা, আমরা কলকাতা যাব কবে ? ক্ষেত্রবাৰুও নিজের মনের ভাব দেখিয়া নিজেই অবাক হইলেন। যে ক্লার্কওয়েল সাহেবের স্কুলের নাম শুনিলে গায়ের মধ্যে জাল ধরে, চাকুরির সময় যাহাকে কারাগার বলিয়া বোধ হইত, সেই স্কুলের কথা এখন যখন মনে হয় তখন যেন লে প্রশান্ত মহাসাগরের নারিকেলদ্বীপপুঞ্জ-ম্বের পাগো-পাগো দ্বীপ, চিরবসন্ত যেখানে বিরাজমান, পক্ষি-কাকলীতে যাহার খাম তীরভূমি মুখর—ইংরেজী টকি-ছবিতে বা দেখিয়াছেন কতবার। সেই সিড়ির ঘর, তেতলার ছাদে মাস্টারদের সেই বিপ্লামকক্ষ, হেডমাস্টারের আপিলের জন্টাধ্বনি, মথুরা চাকরের गांब्रईजाङ्ग-दहे जईग्रा क्लाइ कब्रिसांद्र cगहे शशब्रिश्ऊि वृत्र-७गव. कब्रब्रॉब्र विषघ्न श्रेज1 দাড়াইয়াছে। নী, জার ভাল লাগে না, স্কুল খুলিলেই বঁাচ যায়।