পাতা:ঊর্ম্মিমুখর.djvu/১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ওখান থেকে ফিরচি রুথামের মুদীর দোকানের সামনে সাঁওতালী নাচ হচ্চে মাদল বাজায় তালে তালে। আমাদের একটা কম্বল পেতে দিলে, আমরা অষ্টমীর চাদের নীচে পাহাড়ের সামনের ছোট গ্রামে গাটী সাওতালী নাচ দেখে বড় আনন্দ পেলুম। কবিরাজের সঙ্গে বসে একটু গল্প করা গেল। তার বাংলার সামনে কবে রাত্রে চিতাবাঘ এসে দাড়িয়েছিল । সাওতালদের গোরস্থানে সেবারে ভূত দেখেছিল, ইত্যাদি কত গল্প। মহুলিয়াতে আজ সারা দুপুর ঘুরে বেড়িয়েচি। বাদলবাবুর বাংলো থেকে কালাঝোরের দৃশ্বট বেশ লাগল। বলরাম সায়রের ধারে সেই গাছট, নানারকমের পটভূমিতে দুপুরের পরিপূর্ণ স্বৰ্য্যালোকে কি অদ্ভুত যে দেখাচ্ছিল । তিনটের টেনে গেলাম টটানগর। বাসে কাশিটি নেমে আশুর বাসা গেঁজি করে বর করি । সে একটা গন্ধরাজ ফুলগাছের তলায় চেয়ার পেতে বসে আছে । দু’জনে সন্ধ্যার পরে নিউ এলু টাউনে প্রতিমা দেখে এলাম। লোক জনের ভিড়, মেয়েদের ভিড়, তারপর ওল্ড এলু টাউনের প্রাইমারি স্কুলে ঠাকুর দেখি। একবার আশু বাড়ী এল মোটর লরি দেখতে-পাওয়া গেল না, তারা সৃদ্ধ ধৰ্ম্ম জিঙ্কে ঠাকুর দেখতে যাচ্চে। হেঁটে বৰ্ম্ম জিঙ্ক যাবার পথে ডুপ্নে প্ল্যান্ট ও slug ঢালার সময়কার রক্ত আভা থেকে মনে হ’ল আগ্নেয়গিরি কখন দেখিনি, বোধ হয় এই ধরণের জিনিষ হবে । ওই সাদ আগুনের সেতের মতই তার উষ্ণ লাভ স্রোত। বৰ্ম্ম মাইনসের ঠাকুর সাজিয়েচে খুব ভাল, আবার তার সামনেষ্ট একটা কৃষ্ণলীলার ছধি সাজিয়েচে । বাসে স্টেশন জুসল্লাই ও বিষ্ণুপুর ঘুরে কাশিডি এলাম। পথে বাস ইকিচে, টিল্পট, বৰ্ম্ম জিঙ্ক, যেমন কলকাতায় হাকে ভবানিপুর’ ‘আলিপু' । সকালে টাটানগর থেকে প্যাসেঞ্জারে বাসার মানলুম। শ্যামপুর গ্রামখানা পাহাড়ী নদীর ঠিক ওপারে, কাকুরে জমি, কাছেই এদেশের ধরণের বনজঙ্গল । পথে সিংহুমের প্রকৃত রূপ দেখলুম, অর্থাৎ উচ্চাবচ ভূমি, পাথরের চাই, শাল 'ও কেঁদ গাছ, রাঙা মাঠ। তিনটের ট্রেনে মহুলিয়া থেকে বাদলবাবু, বিশ্বনাথ বস্তু প্রভৃতি অনেকে এল। অশ্বথ তলায় বসে চা খাওয়া গল। বেল পড়ে