পাতা:ঊর্ম্মিমুখর.djvu/২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেজায় শীত পড়লো শেষ রাত্রে। সকালে নদীর ঘাট থেকে ফিরচি, আমাদের ঘাটের পথে গাবতলায় সাত আটখানা বড় বড় মাকড়সার জাল পাতা। রোদ পড়ে বিচিত্র ইন্দ্রধমুর রংয়ের সৃষ্টি করেচে। আমগাছের এড়ালে ওডালে টানা বেঁধে উচুতে নীচুতে কেমন জাল বুনেচে। প্রত্যেক জালেতে গোটাকতক মশা মরে রয়েচে । একটা মাকড়সা জাল গুটিয়ে একটা মাত্র টানার স্বতোতে পর্য্যবসিত করলে—সেই স্বতোটা বেয়ে ছোট্ট মাকড়সাটা গাবগাছের সালে উঠে গেল ! বনে বনে এই সব দেখে বেড়ালেও কত শিক্ষা হয় । আমাদের দেশে কত ফুল ফল, দামী ঝোপঝাপ, কীট পতঙ্গ । এদের জীবনের ইতিহাস আলোচনা করলে যে আনন্দ পাওয়া যায়—একরাশ প্রাণীবিজ্ঞানের বই ঘাটলেও তা হয় না । - “We live too much in books and not enough in nature, and we are very like that simpleton of a Pliner the younger who went on studying a Greek author while before his very eyes Vesuvius was overwhelming fine cities beneath the ashes.” তারপর কতক্ষণ দুপুরে মামুদের বাড়ী ৷ দ্বিতীয়ার নিমন্ত্রণে গিয়ে ওদের সঙ্গে বসে গল্প করলুম। কে বলেছিল "অন্ধ নাচার বাবা ক্ষুদ্র খুব উৎসাহের সঙ্গে সে গল্প করলে । আমি বনপথ দিয়ে তালঘাট গেলাম। সেখানে নিরাপদদের বাড়ী চ খেয়ে কতক্ষণ গল্প করি । নিরাপদ এক অদ্ভুত লোক । সে বলে সে নাকি ভূত দেখে। মাঠে ঘাটে সৰ্ব্বদাই ভূত বেড়াচ্চে সরু স্থতোর মত । আমি বল্লুম—বলেন কি ? --হঁ, বিভূতি বাৰু ! ওরা আবার তারা ধরে নামে। আমি সকালে উঠে দেখেচি বনের ধারে সব তারা পড়ে আছে। সূৰ্য্য ও বার আগে তারার ঝাক আপনিই আকাশে উঠে যায়। কেবল যেগুলো শিশিরে খুব ভিজে যায়, সেগুলো ঝোপের তলায় খুব ভোরে পড়ে থাকে। ভিজে ভারি ইয়ে যায় কিনা, তাই আর উঠতে পারে না । আমি খুব অবাক মত মুখখান ক’রে নিরাপদর মুখের দিকে চেয়ে রইলাম |