পাতা:বিভূতি রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড).djvu/১৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অমুকৰ্ত্তন ১২৯ —না, খাব না, শরীরটা আজ তেমন ভাল নেই। —কী হয়েছে দাদা ? দেখি, হাত দেখি ? তাই তো, আপনার যে জয় হয়েছে। ছাদে ঠাও লাগিয়ে বেড়াবেন না, বেশ গা গরম। চলুন নীচে দিয়ে আসি। —বোল বোস। এ একটু-আধটু গা-গরমে কিছু আসবে-যাবে না। আকাশের নক্ষত্র চেন ? তুমি তো জ্যোতিষ নিয়ে ব্যবসা কর। য়্যাস্ট্রনমি জান ? ওই যে এক-একটা নক্ষত্র দেখছ—এক-একটা স্বৰ্য্য। আমি যদি বলি, এই পৃথিবীর মত বহু হাজার পৃথিবী ওই সব নক্ষত্রের মধ্যে আছে, তা হলে তুমি কি তার প্রতিবাদ করতে পার ? —আজ্ঞে না দাদা, প্রতিবাদ তো দূরের কথা—আমি কথাটি বলব না, আপনি যত ইচ্ছে বলে যান। যখন ও নিয়ে কখনও মাথা ঘামাইনি—আপনি যেমন জ্যোতিষ আলোচনা করেন নি কখনও—বলেন, ওসব মিথ্যে। —মিথ্যে বলি নে, আনসায়েন্টিফিক বলি। —ওই একই কথা দাদা। ছ পয়সা করে খাই, কাজেই বিশ্বাস করি। নারাণবাবু ঘরে আসিয়া শুইয়া পড়িলেন। রাত্রে ভয়ানক পিপাসা। সমস্ত গায়ে ব্যথা । ঘুমের ঘোরে আর জরের ঘোরে কত কী অস্পষ্ট স্বপ্ন দেখিলেন—চুনির মুখ, তাহার ছেলে নাই, কেহ কোথাও নাই। কেন ! এত ছাত্র আছে, চুনি আছে, শিয়রে চুনি বসিয়া তাহার সেবা করিতেছে। পরদিন নারাণবাৰু সকালে বিছানা ছাড়িয়া উঠিতে পারিলেন না। দুইচার দিন গেল, তবুও জর কমে না। ক্ষেত্রবাবু ও রামেন্দুবাৰু প্রায়ই আসিয়া বসিয়া থাকেন। হেডমাস্টার প্রথমে নিজের ঔষধের বাক্স হইতে বাইওকেমিক দিলেন, তারপর ডাক্তার ডাকাইলেন। জ্যোতিবিনোদ কোথা হইতে নিজের দেশের এক কবিরাজ আনিলেন। ছাত্রেরা কেহ কেছ দেখিয়া গেল। পালা করিয়া রাত জাগিতেও লাগিল । সকালে স্কুলের মাস্টারেরা দেখিতে আসিয়া খবরের কাগজে একটা খুনের সংবাদ শুনাইয়া গিয়াছিল। নারাণবাৰু শুইয়া ভাবিতেছিলেন, মাছবে কী করিয়া গন করে । একবার তিনি এই স্কুলের ঘরেই রাত্রে আলে জালিয়া পড়িতেছিলেন, ডেয়ো-পিপড়ের দল আসিয়া জুটিল লণ্ঠনের আশেপাশে–চাপড় মারিয়া গোটা তিনেক ভেয়ো-পিপড়ে মারিয়াছিলেন। তারপর সে কী দুঃখ তাহার মনে! একটা ডেয়ো-পিপড়ে আধমরা অবস্থায় ঠাং নাড়িয়া চিত হইয়া ছটফট করিতেছিল, সেটাকে র্যাচাইবার জন্য প্রাণপণে চেষ্টা করিতে লাগিলেন, কিন্তু শেষ পৰ্যন্ত কিছুতেই সেটাকে বাচানো গেল না। নারাণবাবুর মনে হইল, তিনি জীবহত্যা कब्रिब्रांश्न-इषe अश्उitभ निरजरक अडि नैौs बनिग्रा विश्वक्रना श्रेज। की जानि, মাছুষের বিচার করার ভার মানুষের উপর নাই। তিনি যে খুনী নহেন, তাহা কে বলিৰে । নারাণবাবুওইয়া যেন সমস্ত জীবনের একটা ছবি চোখের সামনে খেলিয়া বাইতে দেখিতে পান। তারাজোল গ্রামের উত্তরে প্রকাও তালদীঘি, তাহার পাড়ে ঘন তাঙ্গের বন, কোনকালে রাঢ় অঞ্চলের ঠ্যাঙাড়ে ডাকাতের সেই নীঘির পাড়ে মাস্থ্য মারিত। কাটবি. র. ৭-৯