পাতা:বিশ্বকোষ প্রথম খণ্ড.djvu/১৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অণু একটা আমজানের অণুতে এক ষোড়া করিয়া পরমাণু, তাহার এক একট পরমাণু এক একটা জলজানের অণুর সঙ্গে মিলিত হইয়া যায় । এখানে উদাহরণ স্বরূপ কেবল একশত পঞ্চাশটা অণুর কথা উল্লিখিত ছইল। নচেৎ অণু এত সুন্ন যে, কোটী কোটী একত্র মিশিলে শুধু চক্ষে দেখা যায় না। পণ্ডিতেরা অনুমান ۰۰ ه وهه ۰ وه هه و ۰۰۰ و ۰۰ ه و ۰۰۰ و ۰۰۰ وه ه با قFf tr গুলি জলজামের অণু ওজনে কেবল এক রতি মাত্র। এখনকার অতি উৎকৃষ্ট অণুবীক্ষণ দ্বারা দেখিলে, একটা বস্তুর সহজ আকারের চেয়ে আট হাজার গুণ বড় দেখায়। যদি এমন একটা যন্ত্র কেহ আবিষ্কার করিতে পারেন যে, তাহ চক্ষে দিয়া দেখিলে কোন বস্তুর সহজ আকারের চেয়ে ৬৪,০০০ চৌষট্টি হাজার গুণ বড় দেখায়, তাছা হইলে জলের এক একটি অণু দেখিতে পাইবার সম্ভাবনা। অণু এত স্বক্ষ বটে, কিন্তু ঠিক লোহার মত কঠিন। একটা শিশির অৰ্দ্ধেক জলে পুর্ণ করিয়া, খালি অৰ্দ্ধেক হইতে বায়ু চুম্বন করিয়া কাক বন্ধ করিলে, শিশির ভিতর জল বৈ আর কিছুই থাকিতে পায় না। তাহার পর সজোরে শিশি নাড়িলে ঠিক ছিটে গুলির মত ঝম্ ঝম্‌ করিয়া বাজিতে থাকে। বায়ু থাকিলে এরূপ শব্দ হয় না। বাম্পের, তরল দ্রব্যের কিম্ব কঠিন পদার্থের অণু একত্র যোড়া থাকে না। তাহারা পরস্পর পৃথক হইয়। থাকে। তবে কঠিন পদার্থের অণু অনেকটা কাছাকাছি হইয়া আছে। কিন্তু এক একট অণুর মধ্যবৰ্ত্তী স্থান খালি, সেখানে আকাশ ভিন্ন আর কিছুই নাই । বাষ্প ও তরল পদার্থের অণু সৰ্ব্বদাই চলিয়া বেড়াইতেছে। তাই ঘরের ভিতর কোন গন্ধ দ্রব্য আনিলে আমনি সমস্ত ঘর আমোদিত করিয়া ফেলে এক জালা জলে একটু কপূর ফেলিয়া দিলে সমস্ত জল মুবাসিত হয়। বাম্পের অণু পাতলা, পরস্পর বড় ঠেকাঠেকি হয় না, তাই ইহার সোজা পথে চলিতে পারে। কিন্তু যখন অণুতে অণুতে ঠেকাঠেকি হয় তৎক্ষণাৎ তাহারা পৃথক হইয়া পড়ে। পৃথক হইয়া পুনর্বায় আপনাদের সোজ। পথে চলিতে থাকে। তরল পদার্থের অণু ধন, সৰ্ব্বদাই গায়ে গায়ে লাগে, লাগিলেই পৃথক হইয়া পড়ে। এই রূপ সৰ্ব্বদাই ঠেকাঠেকি হইয়া পৃথক হইতেছে বলিয়া তাহাদের গৃতি বক্র হইয় পড়ে। কঠিন পদার্থের অণু এক প্রকার স্থির আছে। ইহারা পরস্পর এত কাছাকাছি থাকে যে, চলিয়া বেড়াইবার স্থান মাই। [ છૂર] [ ১২৫ ] לוי বাষ্পীয় অণু পরস্পরের গায়ে পড়িলে একত্র যুড়িয়া যায় না, সংঘর্ষ লাগিলে পর পুনৰ্ব্বার নিজ নিজ পথে চলিতে থাকে, এ বিষয়ের বেশ প্রমাণ আছে। অঙ্গারাম পুর্ণ বোতলের ছিপি খুলিয়া দিলে বাষ্প বাহির হইয়া সমস্ত ঘরে ব্যাপ্ত হইয়া পড়ে। আবার বোতলের মুখে । কৃষ্ণসীসের পাত ঢাকা দেওয়া থাকিলে, যেমন কাপড়ের ছিদ্র দিয়া জল নির্গত হয়, তদ্রুপ কৃষ্ণসীসের পাতের ভিতর দিয়া বাষ্প বাহির হইতে থাকে। বোতলের ভিতর কেবল অঙ্গণরায় না রাখিয়া যদ্যপি জলজান । ও অম্লজান এই দুই প্রকার বাষ্পও রাখা যায়, তাহা হইলে যে বাষ্প অধিক লঘু তাছাই আগে বাহির হইয়া আসে। জলজান, অঙ্গারামের চেরে লঘু, হুতরাং জল, জান আগে বাহির হইয়া পড়ে, তাহার পর অঙ্গারাম নির্গত হয়। কৃষ্ণসীসের পাত দিয়া একটা আধারকে দুই ভাগে বিভক্ত করিয়া তাহার নিম্নভাগে কেবল বিশুদ্ধ জলজান রাখিলে, সেই বাপ কৃষ্ণসীসের ভিতর দিয়া শীঘ্রই উপরে আসিয়া পড়ে। জলজানের কোন কোন অণু পরস্পর সংঘর্ষ দ্বার যুড়িয়া গেলে, সেই সংযুক্ত অণু অবশুই অসংযুক্ত অণু অপেক্ষ ভারি হইত। ভারি বলিয়া সংযুক্ত অণু কখনই আগে বোতলের উপর" উঠিতে পারিত না । আবার বোতলের তুই অংশের অণুকে যদ্যপি কৃষ্ণসীসের পাত দ্বারা ছাকিয় লওয়া যায়, তাহা হইলে উপরের অণু লঘু বলিয়া প্রথমে বাহির হইয়া আসিবে। কিন্তু কাৰ্য্যতঃ তাহ ঘটে না । বিশেষ পরীক্ষা দ্বারা সপ্রমাণ হইয়াছে যে, উপরের অণু বাহির হইতে যেমন সময় লাগে, নীচের অণুও ঠিক ততটুকু সময়ের মধ্যে বাহির হইয় আসে। তাই নিশ্চিত হইল, অণু আদেী পরস্পর সংযুক্ত নয়,—তাহারা পৃথক পৃথক হইয়া থাকে। এক এক দ্রব্যের প্রত্যেক অণুর আকায়, অবয়ব ও ভার ঠিক এক প্রকার। কিন্তু এক রকম পদার্থের অণুপ্তেম্ভ কোন রকম পদার্থের অণুর সদৃশ নয়। ইহার তাৎপৰ্য্য এই, জল একটা পদার্থ। मिर्षीण श्हेप्टज, cश ७धकाङ्ग स्त्रण इउँक मो cकन, जकल জলেরষ্ট অণু এক রকম। পুষ্করিণীর জল হউক, কি সমুদ্রের জল হউক,জন্তুর রক্তের জলভাগ কিম্বা গাছের রসের জলীয়াংশ হউক, পরিষ্কার করিয়া লইলে সকল জলের অণু সমান। কিন্তু জলের অণু লবণের অণুর তুল্য নহে। ভিন্ন ভিন্ন বস্তুর অণু বিভিন্ন প্রকার হইলেও তাছাদে আকারে কোন এলেনাই।া একটা স্বাধীরে