পাতা:বিশ্বকোষ প্রথম খণ্ড.djvu/১৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অণুবীক্ষণ ( eye piece ) কহে। ঘ ঙ আর একটা বাহু। ইহার ঙ প্রাস্তে খাজ কাটা । ঐ খাজের ভিতর দুইখানি কাচ বসানো যাইতে পারে। যে দ্রব্যকে দেখিতে হইবে उाश भै कांफ़ छूहेशांनिग्न भएषा ज्ञांशिाङ इग्न । ५ १ অবষ্ঠক মত উচ্চ বা নীচ করিয়া অক্ষিদর্পণ দ্বারা দেখিলে ঐ দ্রব্য অনেক বড় বা সুক্ষ্ম দেখায়। যে দ্রব্য দেখিতে হইবে তাহার উপর যথেষ্ট আলো না পড়িলে ভাল দেখা যায় না। তজ্জন্ত দ্রব্যটর উপর যাহাতে যথেষ্ট আলো পড়ে, তাহার ব্যবস্থা করা আছে। চ ছ বাহুর ছ প্রান্তে একখানি কোর-কাট কাচ ( Concave mirror ) বসানো আছে। এই দৰ্পণখানি এরূপ ভাবে বসানো যে, তাহাকে ইচ্ছামত ঘুরানো যায়। ঐ কাচ খানি যে ভাবে রাখিলে পরীক্ষা করিবার দ্রব্যের উপর যথেষ্ট আলে। গিয়া পড়িতে পারে, কাচথানি প্রথমে সেই রূপে বসাইয়ু লইবে । তাহা হইলে আলো প্রতিফলিত হইয়া পরীক্ষার দ্রব্যের উপর পড়িবে। [ দর্পণ দেখ ]। তখন সেই আলোকে বস্তুট বেশ স্পষ্ট দেখা যাইবে । চক্ষুর অতিশয় নিকটে কিম্বা দূরে কোন বস্তু রাখিলে ভাল দেখা যায় না, এ কথা সকলেই জানেন । চক্ষু হইতে ১০ । ১২ ইঞ্চ দূরে কোন দ্রব্য রাগ্নিলে বেশ দেখা যায়। কিন্তু সকলের দৃষ্টিশক্তি সমান নয়, তজ্জন্ত চক্ষুর অবস্থা বুঝিয়া ঐ দূরত। কম বেশী করিয়া লইতে হয়। অর্থাৎ কগ সরাইয়া কোথাও ও দিকে লইয়া যাওয়া চাই, কোথাও উপর দিকে তুলিয়া আন চাই। সাধারণতঃ, গ এবং ঙ এত দূরে রাখা আবশ্বক, যেন দ্রব্যটর বৰ্দ্ধিত প্রতিবিম্ব চক্ষু হইতে ১৮। ১২ ইঞ্চ দূরে গিয়া পড়ে। * সামান্ত অণুবীক্ষণ দিয়া দেখিলে কোন বস্তু যত বড় ও যে রূপ স্পষ্ট দেখায়, তদপেক্ষা আরও স্পষ্ট ও বড় দেখাইবার জন্ত {rototo (compound mycroscope) স্বষ্টি হইয়াছে। সামান্ত অণুবীক্ষণ দিয়া দেখিলে কেন দ্রব্যাদি বড় দেখায়, ইহা বুঝিলে বৃহদণুবীক্ষণের কৌশল অনায়াসে বুঝিতে পারা যাইবে। সামান্ত অণুবীক্ষণে কেবল একখানি কাচ আছে । বৃহদণুবীক্ষণে দুষ্টখানি কাচ থাকে। যে কাচখানি চক্ষুর নিকটে থাকে এবং যাহার উপর চক্ষু রাখিয়া দেখিতে হয় তাহাকে অক্ষিদর্পণ ( eye piece) কহে । অক্ষিদর্পণ এবং বে বক্স দেখিতে হইবে এই উভয়ের মধ্যে আর একখানি কাচ থাকে। তাহার নাম আধার মুকুর (object gas)। [ ১২৮ ] অণুবীক্ষণ ঐ আধর মুকুর ( object glass ) এবং তাছার প্রধান অক্ষ প্রদেশের (principal focus) মধ্যে দেখিবার বস্তুটী রাখিতে হয়। রাখিলে ঐ বস্তুর একটা বড় উণ্ট ছায়া কাচখানির অপর দিকে পড়ে। পরে অপর কাচখানি দিয়া দেখিলে ঐ প্রতিকৃতি বড় এবং চক্ষুর অত্যন্ত নিকটে দেখায়। শেষোক্ত প্রক্রিয় ঠিক সামান্ত অণুবীক্ষণের মত। প্রভেদ এই, সামান্য অণুবীক্ষণ স্বার একেবারে পরীক্ষা করিবার বস্তুট দেখ; যায়। আর বৃহদণুবীক্ষণে বস্তুটার বন্ধিত আকৃতি দৃষ্ট হয়। তজ্জন্ত, সামান্ত অণুবীক্ষণ অপেক্ষ। বৃহদণুবীক্ষণে সকল বস্তু অত্যন্ত বড় এবং চক্ষুর নিকটে দেখায়। কিন্তু অন্ত ব্যবস্থা না করিলে আকৃতিটা উন্ট দেখাইতে থাকে । তাই অণুৰীক্ষণের নলের ভিতর কতকগুলি ছোট ছোট কাচ সাজান আছে । উল্ট প্রতিবিম্ব ঐ সকল কাচের ভিতর দিয়া আসাতে পুনর্বার তাহ উণ্টিয়া যায়, কাজেই অবশেষে সোজা হইয়া পড়ে। সামান্ত অণুবীক্ষণের গড়ন অতি সহজ । কিন্তু বৃহদণুবীক্ষণের ভিতর অনেক কারিগরি ও কৌশল আছে। এই চিত্রখানিই তাহার প্রমাণ। ছ নলটা তিনটী পিতলের নল দিয়া গড় । উহার উপরের দুইটী নল ইচ্ছমত সরাইয়া নীচে দিকে প্রবেশ করানো যায়। নিম্নের নল, ইহার পশ্চাত্তাগে একটা লৌহদণ্ডে লাগান আছে । ঐ লৌহদণ্ডের ভিতর আর একটা লৌহদণ্ড আছে ; একটা পেচ দ্বারা এই লৌহদণ্ডকে ইচ্ছানুসারে উটাইতে ও নামাইতে পারা যায়। এই লৌহদণ্ডকে উঠাইলে ও নামাইলে সমস্ত যন্ত্ৰটী উঠিতে ও নামিতে থাকে। লৌহদও যে স্থান হইতে উঠিয়াছে ঠিক সেইখান হইতে