পাতা:বিশ্বকোষ প্রথম খণ্ড.djvu/৩৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অন্ত্রমোড়। - [૭86. ] `याशङ्क्षष्टिं - অব পটাশ সেবন করাইলে উপকার দর্শিতে পারে। দ্বাদশাঙ্গুল্যন্ত্র-অন্ত্রের কেবল এই স্থানে প্রদাহ হইলে জীবদ্দশায় তাহ ঠিক বুঝিতে পারা যায় না। মৃত শরীর কাটিলে তখন উহাতে ক্ষতাদি দৃষ্ট হয়। অন্ত্রের এই স্থান কিঞ্চিৎ বিকৃত হইলে এক প্রকার অজীর্ণ রোগ জন্মে। তাহাকে দ্বাদশাহুল্যান্ত্রিক অজীর্ণতা (Duodenal dyspepsia ) FTP | Eztą orą sifs সামান্ত। ভোজনের পয় দক্ষিণ উপপশুকার উপর টিপিলে বেদন বোধ হয়। না টিপিলেও পাজয়ার নিয়ে শূল বেদনার মত কেমন এক প্রকার অসুখ হইতে থাকে। এই পীড়া জন্মিলে কাহারও পাণ্ডুরোগ হয় ; কাহারও গা বমি বমি করিতে থাকে এবং ভোজন করিলে সমস্ত ভুক্ত দ্রব্য বমন করিয়া ফেলে। স্বাদশাঙ্গুল্যন্ত্রে কখন কখন ক্ষতও হয়। পরে ঐ ক্ষতস্থানে ছিদ্র হইয়া গেলে রোগীর অকস্মাৎ মৃত্যু হইয়া থাকে। কোন কোন চিকিৎসক কহেন যে, দ্বাদশাঙ্গুল্যন্ত্রে কর্কট রোগও জন্মে। কিন্তু এ প্রকার ঘটনা প্রায় দেখা যায় না। ডাক্তার ট্যানার দ্বাদশাহুল্যন্ত্রের মধ্যে একটা বড় পিত্তশিল দেখিয়াছিলেন। ঐ পাথর অন্ত্রের পথ একেবারে রুদ্ধ করিয়াছিল। অস্ত্রমাংস ( ক্লী ) পক্কমাংস বিশেষ । *Cotig I (Helicteres Isora ) l of otos; ছোট গাছ । চলিত বাঙ্গালায় ইহাকে আঁতমোড়া কহে। ইহার সংস্কৃত নাম ‘আবৰ্ত্তনী” । অতিমোড়ার ফল পিপুলের চেয়ে কিছু বড়। অন্ত্রের মত ঐ ফলের গায়ে আবৰ্ত্তন অর্থাৎ পাক দেওয়া আছে, তাই ঐ ফল ও গাছকে সচরাচয় অতিমোড়া বলা যায়। এই গাছ, সিন্ধু ও হিমালয় প্রদেশে, বাঙ্গালাদেশে, দক্ষিণ ভারতৰর্ষে এবং ব্রহ্মদেশেও জন্মে । আমাদের দেশে স্থতিক ঘরে ছোট শিশুর উদরবেদন হইলে স্ত্রীলোকেরা উহার ফল তৈলের সঙ্গে পাথরের উপর ঘপিয়া সেই তৈল শিশুর পেটে মাখাইয়। দেন । ইউরোপীয় চিকিৎসকগণ অতিমোড়ার গুণাদি পরীক্ষা করিয়াছিলেন, কিন্তু কোন প্রকার রোগে ইহার কিছুই উপকার দেখিতে পান নাই। অতিমোড়ার গাছের ছালে পাট হয়। বেরার হইতে ইহার অাশ পারিস প্রদর্শনীতে প্রেরিত হইয়াছিল। অধিক পরিমাণে উৎপাদন করিতে পারিলে, ইহাতে উত্তম কাগজ প্রস্তুত হইতে পারে। অন্ত্ররদ্ধি (স্ত্রী) অন্ত্রস্ত প্রবেশজনিত বৃদ্ধি: পেটের নিয়ে অস্ত্র আছে। 'জোর করিয়া ভারী দ্রব্য তুলিতে গেলে উপরের ডায়েফ্রামের ও অন্তান্ত পেশীর চাপে অন্ত্র নিম্নদিকে ও সন্মুখ ভাগে ঠেলিয়া চলিয়া আসে। অন্ত্র আপনার স্থান ভ্ৰষ্ট হইয়া অন্যত্র ঠেলিয়া আসিলে, সেই স্থান ফুলিয়া উঠে। ইহাকেই আমরা অন্ত্রবৃদ্ধি বলি। প্রসবের পর পেটের অত্যন্ত কাছে নাড়ী কাটিলে নভির উপর ফুলিয়া উঠে । চলিত কথায় তাহাকে আমরা গোড় বলি। ঐ গোড় অস্ত্রবৃদ্ধি ভিন্ন আর কিছুই নহে। পেটের অত্যন্ত নিকটে নাড়ী কাটিলে ভিতরের অন্ত্র সন্মুখ দিকে ঠেলিয়া আসে, তাই নাভির উপর ফুলিয়া উঠে। নাভি হইতে একটু দূরে নাড়ী কাটিলে ঐ দোয ঘটে না । কুঁচকির উপরে (inguinal) এবং কুঁচকির নিয়েও (femoral) অস্ত্র ঠেলিয়। আসে; কিন্তু অনেক লোকের অণ্ডকোযের ভিতরেই অন্ত্র নামিয়া আসিতে দেখা যায়। কোন কোন শিশুর জন্ম কাল হইতে অস্ত্রবৃদ্ধি রোগ থাকে। কতক অস্ত্র, অণ্ডকোযের ভিতরে নামিয়া আসে, আবার কিঞ্চিৎ কাল পরেই আপনি উঠিয়া যায়। তাহাতে শিশুর কোন যন্ত্রণ হয় না । কিন্তু যৌবন কালে তাহারা ভারী দ্রব্য তুলিতে গেলে ঐ পীড়া বৃদ্ধি হয়। এরূপ দেখা গিয়াছে, কোন কোন ব্যক্তির অণ্ডকোষের ভিতরে পেটের অৰ্দ্ধেক অস্ত্র নামিয়া থাকে এবং হাত দিয়া অল্প টিপিলেই তাহ উপরে উঠিয়া বায়। এখানে গর্ভ হইতে জাত অস্ত্রবৃদ্ধির একটা চিত্র দেওয়া গেল। বাহিরের স্থল কৃষ্ণবর্ণ রেখা কোষের চৰ্ম্ম । ইহার ভিতরে অস্ত্র নামিয়া আসিয়াছে । যাহাঁদের অন্ত্রবৃদ্ধি রোগ আছে, অণ্ডকোষের ভিতরে অন্ত্র নামিলে তাহাদের যন্ত্রণার পরিসীমা থাকে না। পেটের বেদনায় রোগী ছটফট করিতে থাকে। মধ্যে মধ্যে বমন হয় । মলত্যাগের মত পুনঃ পুনঃ বেগ আসিতে থাকে, কিন্তু মল নির্গত হয় না । অন্ত্রবৃদ্ধি হইলে কোন কোন স্থলে অস্ত্রকে স্বস্থানে প্রবেশ করান যায় (reducible ) । কোন স্থলে অস্ত্রকে স্বস্থানে প্রবেশ করান যায় না (irreducible)। আবার কোথাও অস্ত্র বন্ধ হইয়া যায় (strangulated), কাজেই রক্ত সঞ্চালন হয় না ; তজ্জন্ত অন্ত্রের সেই স্থান পচিত্ত্বে [+o] 彎