পাতা:বিশ্বকোষ প্রথম খণ্ড.djvu/৩৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অন্ত্রাবরোধ চিকিৎসা---প্রথমাবস্থায় অস্ত্রাবরোধ পীড়া ঠিক চিনিয়া উঠা সুকঠিন। অনেক রোগের সঙ্গে ইহার গোল হইতে পারে। তজ্জন্ত কোন কোন চিকিৎসক কহেন যে, প্রথম প্রথম এরও তৈল প্রভৃতি মৃদ্ধবিরেচক ঔষধ প্রয়োগ করিলে ক্ষতি হয় না। কিন্তু অন্ত্রাবরোধ পীড়া নিশ্চিত হইলে আর বিরেচক ঔষধ সেবন করাইবে না । এই পরামর্শ কিছুতেই যুক্তিসঙ্গত নহে। রোগ চিনিতে সন্দেহ হইলেও কদাচ বিরেচক ঔষধ প্রয়োগ করিবে না। এই রোগে বিরেচক ঔষধ সেবন করাইলে বিশেষ অনিষ্ট ঘটে। অনেক সময়ে রোগীর জীবন রক্ষা করা দুষ্কর হইয়া উঠে। এরও তৈল এবং উষ্ণ জলের পিচুকারী দিলে কোন অনিষ্টের আশঙ্কা নাই। অতএব রোগের ঠিক প্রকৃতি বুঝিতে সন্দেহ হইলে অধিক পরিমাণে উষ্ণ জলের পিচকারী দেওয়াই কর্তব্য। ইহাতে আর একটা উপকার আছে। উদর জলে পরিপূর্ণ করিয়া বিবেচনা পূর্বক ধীরে ধীরে উপর দিকে চাপ দিতে পারিলে অবরুদ্ধ স্থান খুলিয়৷ যাইতে পারে। এই প্রক্রিয়ী অতি সহজেই সম্পন্ন করা যায়। প্র মে বড় পিচকারীর নল মলদ্বার দিয়া অন্ত্রের অনেক দূর পর্য্যন্ত প্রবেশ করাইয়া দিবে। তাহার পর মলদ্বারের কাছে নলের চারি দিক কাপড় দ্বারা চাপিয়া ধীরে ধীরে ভিতরে জল প্রবেশ করাইবে। উদর জলে পরিপূর্ণ হইলে ভখন গুজ্যদ্বার টিপিয়া পেটের নিম্ন দিক হইতে উপর দিকে মলিয়া দিবে। এ প্রকরণ দ্বার। অবরুদ্ধ স্থান খুলিয়া যাইতে পারে। অনেকে অৰ্দ্ধদের বা এক সের কাচা পারা, অথবা ছিটা গুলি পেটে প্রবেশ করাইতে পরামর্শ দেন। তাহারা কহেন যে, পারার কিম্বা সীসের ভারে অবরোধ খুলিতে পারে। অনেক বিজ্ঞ চিকিৎসক তামাকুর পিচকারী দিতেও ব্যবস্থা দেন। কিন্তু এই সকল চিকিৎসায় বিপদ ঘটিবার সম্ভাবনা । ঔষধের মধ্যে আফিমই শ্রেষ্ঠ। ১ গ্রেণ মাত্রায় আফিমের সার ৬। ৮ ঘণ্টা অন্তর সেবন করাইলে রোগী অনেকটা স্বস্থির হইতে পারে। বিশেষতঃ আফিম দ্বারা অস্ত্রের কুমিবৎ গতি কম হয়, তজ্জন্ত পেটের যন্ত্রণার কিছু শাস্তি হইয়া থাকে। এরোগে বমন একটা উৎকট লক্ষণ । পাতলা দ্রব্য খাইলেই তৎক্ষণাৎ তাঁহ উঠিয়া যায়। সেকারণ রোগীকে অধিক পথ্য দেওয়া নিষ্ফল। পিপাসা পাইলে পুনঃ পুন: { bv } ৩৪৯ ] অন্ধ শীতল জলে মুখ ধৌত করিলে কষ্টের লাঘব হয়। মধ্যে মধ্যে ছোট ছোট বরফের থগুও মুখে রাখিতে দিবে। মাংসের সার, যবের মণ্ড প্রভৃতি যৎসামান্ত খাওয়াইয়া য়োগীকে জীবিত রাখিতে চেষ্টা করিবে । কিন্তু পথ্যাদি পিচকারী দ্বারা প্রয়োগ করা উচিত। তাহাতে বমন কিম্বা আধান বৃদ্ধি হয় না। এই পীড়ায় পেট চিরিয়া অন্ত্রের অবরোধ খুলিয়া দিবার বিস্তর চেষ্টা করা হইয়াছিল। কিন্তু তাহাতে চিকিৎসকের প্রায় কৃতকাৰ্য্য হইতে পারেন নাই। কর্কট প্রভৃতি রোগে সরলান্ত্র অবরুদ্ধ হইলে অবয়োধের উপরে কৃত্রিম মলদ্বার করিয়া দিলে রোগী কিছু দিন জীবিত থাকিতে পারে। অন্দর ( পারসী )। মধ্য। ভিতর। অন্তঃপুর। মধ্যে, যথা— ‘এই জমির অন্দরে আরও অনেক জমি আছে । অর্থাৎ এই জমির মধ্যে ইত্যাদি। অন্তঃপুর যথা—অন্দরমহল। আন্দামান। দ্বীপপুঞ্জ বিশেষ। [ আন্দামান দেখ ] । অদিকা (স্ত্রী) অদি বন্ধনে-ধুন। নাট্যোক্ত জ্যেষ্ঠভগিনি। নাটকের অভিনয় কালে যাহাকে জ্যেষ্ঠা ভগিনী বলিয়া সম্বোধন করা যায়। অস্তিকা। চুল্পী। অদ্ভু (স্ত্রী) অদ্যতেহনেন আদি বন্ধনেকু। অমূ-স্থিজম্বু-কফেলু কর্কস্থ দিধিষ্ণু। উ- ১। ৯৩। এতে কুপ্রত্যয়াস্তা নিপাতন্তে। বন্ধন। নিগড়। ভূষণ। অদূঃ স্থিয়াং স্তান্নিগড়ে প্রভেদে ভূযণন্ত চ। (মে)। সংজ্ঞাবিষয়ে কন্‌ প্রত্যয় করিলে অন্দুক এই প্রকার রূপসিদ্ধি হইবে । * । , সংজ্ঞায়াং কন্‌। পা ৫। ৩। ৮৭। তাহার পর,— * । কেইণঃ । পা ৭। ৪ । ১৩ । ক প্রত্যয় পরে থাকিলে অণ হ্রস্ব হয়। তজ্জন্ত "অন্দুক’ ইহার উকায় হ্রস্ব হইয়াছে। অন্ধ। দৃষ্টর উপঘাত। উপসংহার। অদন্ত, চু প০ অক • সেট। অন্ধয়তি। অন্ধপয়তি । অন্ধ (ত্রি) অন্ধ-অচ অথবা, অবিদ্যমানং ধ্যানং দর্শনমস্মিন আলোকাভাবাৎ ইতি ধ্যায়তেনঞপূৰ্ব্ব । চক্ষুদ্বয়হীন। যে দুইটা চক্ষুতেই দেখিতে পায় না। এক চক্ষে দেখিতে ন পাইলে তাহাকে কাণ কহে । চলিত কথায় ইহাকে আমরা ‘কাণা বলি। দুই চক্ষে দেখিতে না পাইলে তাহকে অন্ধ কহে। কিন্তু চলিত বাঙ্গালাম এই দুই শব্দের অর্থ বিষয়ে কিছুই প্রভেদ করা হয় না । অন্ধ দুই প্রকার। কোন কোন লোক জন্মান্ধ ; মাতৃগর্ভ হইতে ভূমিষ্ঠ হওয়া অবধি তাহারা দুই চক্ষেই দেখিতে পায় না। বৈদ্যের বলেন, ঋতুর তিন দিনের