পাতা:বিশ্বকোষ প্রথম খণ্ড.djvu/৫১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- অমৃতসর ধনাঢ্য লোকের অট্টালিক । - অমৃতসরের এই মন্দিরের নাম ‘দরবার সাহেব’ | ইহা শ্বেত পাথরে নিৰ্ম্মিত, দেখিতে অধিক বড় নয়। মন্দিরের গুম্বজ তামার পাতে মোড়া ; তাহাতে সোণ৷ দিয়া হলকর । তাই লোকে ইহাকে সুবর্ণমন্দির বলিয়া থাকে। সোণ দিয়া হল করিবার জন্ত মহারাজ রণঞ্জিৎ সিংহ বিস্তর অর্থ ব্যয় করিয়াছিলেন । তদ্ভিন্ন শিখর, জাহাঙ্গির প্রভৃতি বাদশাদের কবর হইতে বহুমূল্য প্রস্তরাদি আনিয়া ভিতর দিকে লাগাইয়া দিয়াছেন। সরোবরের ধারে ধারে শ্বেত পাথর বসান । ঘাট হইতে মন্দিরে আসিবার জন্য শ্বেত পাথরের প্রশস্ত বাধান পথ। মন্দিরের চতুর্দিকে, চকৃবন্দী বারাও । এার পাঁচ শত অকালী পুরোহিত এই দেবালয়ের পরি চর্য্যায় নিযুক্ত আছেন। সিংহদ্বার দিয়া প্রবেশ করিলে সম্মুখে অকালীদের “ভূঙ্গ প্রাসাদ। এখানে শিখ গুরুদের অন্ত্ৰ শস্ত্র আছে। এইখানে অনেক গায়ক এবং বাদ্যকরও বসিয়া থাকে। প্রত্যহ ধৰ্ম্মবিষয়ে সঙ্গীত করিবার নিমিত্ত তাহার নিযুক্ত আছে। মন্দিরের ভিতরে প্রসিদ্ধ গ্রন্থসাহেব। পুরোহিতের পুষ্পাদি দিয়া প্রত্যহ সেই গ্রন্থসাহেবের পূজা করেন। শিখদের সর্বসমেত দশজন গুরু,—নানক, অঙ্গদ, অমরদাস, রামদাস, অর্জুন, হরগোবিন্দ, হররায়, হরকৃষ্ণ, তেজ বাহাদুর এবং গোবিন্দ সিংহ। গ্রন্থ সাহেব বা আদি গ্রন্থ নানকের রচিত। দর্শকেরা দেবালয়ে আসিয়া ভক্তিভাবে গ্ৰন্থ সাহেবকে প্রণাম করিলে পুরোহিতেরা তাহাদের হাতে এক একটা আশীৰ্ব্বাদী ফুল দেন । মন্দিরের চারিদিকে কোথাও যাত্রীরা আসিয়৷ স্নান করিতেছে ; কোন খানে সাধু সন্ন্যাসীরা বসিয়৷ আছেন ; কোন স্থানে বা শিখরা ভক্তিভাবে বসিয়া ধৰ্ম্মপুস্তকের নকল করিতেছেন। কোন স্থানে ব্যব, সায়ীরা কাপড়, চিরুণী, লৌহ অলঙ্কার প্রভৃতি নানা প্রকার দ্রব্য বিক্রয় করিতেছে। সরোবরের পূৰ্ব্বধারে ছুইটী বৃহৎ স্তম্ভ আছে। তাহার উপর উঠিলে চতুৰ্দিকের দৃপ্ত অতি মনোহর বোধ হয়। বাবা অতল" নামে একটা সমাজ আছে, তাহার গঠন প্রণালী অতি চমৎকার। বাবা অতলের পাশে কৌলসর। গুরু গোবিনা जिशाश्न्न ौम्न मध cकोण। ठिनि दशा श्रिजन । ‘কোললয় তাহারই নামে প্রতিষ্ঠিত। যাত্রীরা মন্দিরে [૬] অমৃতসার 《。 যাইবার পূৰ্ব্বে প্রথমে এই সরোবরে স্বান করিয়া থাকেন। সরোবরের ধারে সুরম্য বৃক্ষ জলের উপয় শাখা মেলিয়া আছে। ডালে শত শত পক্ষবান কাঠবিড়ালী (fying fox) বুলিতেছে । একটী বৃক্ষতলে সোণার হলকরা তাম্র ফলক আছে । গুরু গোবিন্দ সিংহ, কিরূপে তাহার পত্নী কৌলকে লাহোর হইতে আনিয়াছিলেন, ঐ তাম্রফলকে সেই সময়ের দুগু খোদিত করা রহিয়াছে। অমৃতসরেয় সন্তোষসরও অতি মনোহর স্থান । অমৃতসরের সাত ক্রোশ দক্ষিণে ‘তারণ-তারণ’ আর একট প্রসিদ্ধ স্থান। এখানেও একটা পুণ্য সরোবর আছে। ইহা প্রায় ৫৯sহাত লম্ব এবং ৪৮•হাত প্রন্থে। ইহার চারি দিক পাথরে বঁাধান। মহারাজ রণজিৎ সিংহের পৌত্র নবনিহাল সিংহ, ঐ সরোবরের ঈশান কোণে একটা স্তম্ভ নিৰ্ম্মাণ করাইয়া দিয়াছিলেন। তাহ এখনও বিদ্যমান আছে। ইহার কূলে কুষ্ঠরোগীরা বাস করে এবং নিত্য পুণ্য সলিলে স্নান করিয়া থাকে। গুরু অৰ্জ্জুন সিংহের নাকি কুষ্ঠরোগ ছিল। তিনি এই সরোবর প্রতিষ্ঠিত করিয়া গিয়াছেন। কথিত আছে, ব্যাধিগ্রস্ত লোক ঐ সরোবর সাতার দিয়া পার হইতে পারিলে সে নীরোগ হর। প্রতি মাসের কৃষ্ণ পক্ষেব ত্রয়োদশীতে এই খানে অমাবস্তা নামে একটা করিয়া মেলা হয়। মেলার দিন যাত্রীরা মাসিয়া তারণ-তারণের জলে স্নান করিয়া সরোবরের চতুর্দিকে প্রদক্ষিণ করে । মেলায় দ্রব্যাদিরও ক্রয় বিক্রয় হইরা থাকে । অমৃতসরের নিকটবর্তী ভূমি বিলক্ষণ উৰ্ব্বর। কৃষকের বড় দোয়াবের খাল, বিয়া এবং রাবি নদী হইতে । জল তুলিয়া ভূমিতে দেয়। গম, যব প্রভৃতি নানা প্রকার শস্ত, কার্পাস, ইক্ষু, পাট, কুঙ্কুম, তামাক, আফিম এবং অন্যান্ত অনেক দ্রব্য এখানে জন্মে । তিব্বং প্রভৃতি স্থানের ছাগলের লোম দ্বারা এখানে উত্তম সালও প্রস্তুত হয়। অমৃতসরে অনুন ৫,০০০ তাত আছে | কৰ্ম্মীরের দরিদ্র লোকেরা এখানকার মহাজনের কাছে আসিয়া সেই সকল তাতে সাল প্রস্তুত করে। এতদ্ভিন্ন অমৃতসরে উত্তম রেশমও উৎপন্ন হইয়া থাকে। এখানে নানা স্থানের ব্যবসায়ীরা আসিয়া বহুবিধ দ্রব্যের ক্রয় বিক্রয় করে। কথিত আছে, বৎসর বৎসর প্রায় চারি কোটি টাকার দ্রব্যের আমদানী রপ্তানি হয় । अभङनांङ्ग (शू९) अभूउछ शुश्श मांब्रः ।। ७-ठ९ । वृष्ठ ।