পাতা:ষোল আনি (জলধর সেন).djvu/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ষোল-আনি

মন্দাকিনীর পিতা মাতা আপত্তি করিতে পারিতেন না। এবার শাশুড়ীর পীড়ার সংবাদ পাইয়া কালাচাঁদ শ্বশুর-বাড়ীতে পত্র লিখিয়া দিয়াছিল যে, তাঁহাদের যখন ইচ্ছা, তখনই মন্দাকিনীকে লইয়া যাইতে পারেন; তাহার কোনই আপত্তি নাই। এই পত্র পাইয়াই মন্দাকিনীর পিতা কন্যাকে লইয়া যাইবার জন্য লোক প্রেরণ করিলেন। মানদা মন্দাকিনীকে বারবার বলিয়া দিলেন যে, মাকে একটু সুস্থ দেখিলেই সে; ষেন চলিয়া আসে– “দেখ্‌ছ ত ভাই, আমি একেলা মানুষ, কথা বল্‌বার লোকটী নেই। তুই না থাক্‌লে আমার বড়ই কষ্ট হবে। এতদিন তবুও তিনি বেঁচে ছিলেন। এখন যে আমার সব দিক্‌ অন্ধকার। তুই থাক্‌লে কথায়-বার্ত্তায় কাজে-কর্ম্মে দিনগুলো কেটে যায়। দেখিস্ ভাই, বেশী বিলম্ব করিস না।” মন্দাকিনী মানদার পদধূলি লইয়া বলিল “না দিদি, তোমাকে এমন একেলা ফেলে কি আমি সেখানে থাক্‌তে পারি; মাকে একটু ভাল দেখ্‌লেই আমি চলে আস্‌ব।”