পাতা:প্রতাপাদিত্য-নিখিল নাথ রায়.djvu/৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१७ রামচন্দ্রের পুত্র কীৰ্ত্তিনারায়ণও অত্যন্ত বীর ছিলেন। তিনি নৌযুদ্ধে সুপ্রসিদ্ধ ও সুদক্ষ ছিলেন, এবং মেঘনার উপকুল হইতে ফিরিঙ্গীগণকে বিতাড়িত করিয়া দেন। ঢাকার নবাব তাহার সহিত মিত্রতা স্থাপন করিয়াছিলেন । * চন্দ্রদ্বীপের রাজবংশীরের বাহুবলের জন্ত বঙ্গদেশে প্রতিষ্ঠালাভ করিয়াছিল। বংশামুক্রমে তাহারা বীরত্বের পরিচয় প্রদান করিয়াছেন । কচুয়া নামক স্থানে প্রথমে র্তাহীদের রাজধানী ছিল। পরে কন্দপ রায় মাধবপাশার রাজধানী স্থাপিত করেন। বাকলা নামে কোন নগর ছিল কি না, জান৷ যায় না ; থাকিলে ১৫৮৪ খৃষ্টাব্দের প্লাবনে তাহ বিধৌত হইয়া গিয়াছে। অস্তান্ত কথা । উহাকে বন্দী করিয়া আনেন। ত্রযুক্ত আনন্দনাথ রায় ভুলুয়া হইতে এইরূপ প্রবাদ জ্ঞাত হইয়াছেন যে, রামচন্দ্র যুদ্ধঘোষণা করিয়া ভুলুয়ায় উপস্থিত হইলে, লক্ষ্মণমাণিকা উহাকে ধৃত করিবার জন্য তাহার রণতরীতে লম্ফ প্রদান করিয়া পতিত হইলে, তিনিই অবশেষে ধৃত হন। সিংহ মহাশয় উক্ত প্রবাদ কোথা হইতে সংগ্ৰহ করিলেন, বলিতে পারি না । কিন্তু ঘটককারিকায় দেখা যায় যে, রামচন্দ্র লক্ষ্মণকে পরাস্ত করিয়াই বন্দি-অবস্থায় আনয়ন করেন। প্রাচীন ঘটককারিক অপেক্ষ বর্তমান প্রবাদের অধিক মূল্য আছে বলিয়া আমরা মনে কবি না।

  • “কীৰ্ত্তিনারায়ণে বীরে মহামানী তদঙ্গজঃ ।

জগদেকশূরঃ সোপি নৌযুদ্ধে স্বপ্রসিদ্ধকঃ ॥ মেঘনাদোপকুলে স ফুেরঙ্গসৈনিকৈঃ সহ । অদ্ভুতং সমরং কৃত্ব তীবৎ সর্বনিতাড়য়ৎ ॥২ জাহাঙ্গীরপুরাধীশে নবাবে যবনস্ততঃ। স্থাপয়ামাম মিত্রত্বং সাৰ্দ্ধং তেন প্রযত্নতঃ ॥”-ঘটককারিকা । + “স্থাপয়ামাস পুরঞ্চ বাস্থরিকাটিসংজ্ঞকং। তথা মাধবপাশাঞ্চ ক্ষুদ্রকাটিং তথৈব চ।” মাধবপাশা সম্বন্ধে ভবিষ্যপুরাণে এইরূপ লিখিত আছে,— “চতুবৰ্ষসহস্রাণি প্রথমং কলিযুগস্য চ । গমিষ্যস্তি যদা ধিপ্রাশ্চন্দ্রদ্বীপে তদা মহৎ । পত্তনঞ্চ নদীপাশ্বে মাধবপাশং ভবিষ্যতি | , মাধবপাশপত্তনস্থ লোক ধৰ্ম্মকৃত ধদা। স্থাসাতি গ্রামপাশ্বে চ তদা মাধবদেবকঃ ॥”