অনুবাদ-চর্চ্চা

উইকিসংকলন থেকে
পরিভ্রমণে চলুন অনুসন্ধানে চলুন

অনুবাদ-চর্চ্চা

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

বিশ্বভারতী-গ্রন্থালয়
২১০ নং কর্ণওয়ালিস ষ্ট্রীট্‌, কলিকাতা



বিশ্বভারতী-গ্রন্থালয়

২১০ নং কর্ণওয়ালিস্ ষ্ট্রীট, কলিকাতা
প্রকাশক—শ্রীকিশোরীমোহন সাঁতরা




অনুবাদ-চর্চ্চা




প্রথম সংস্করণ—১৩২৪ সাল।
দ্বিতীয় সংস্করণ—অগ্রহায়ণ, ১৩৪০ সাল।




মূল্য—॥৵৹




শান্তিনিকেতন প্রেস, শান্তিনিকেতন, (বীরভূম)।
প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় কর্ত্তৃক মুদ্রিত।



ভূমিকা

 এই অনুবাদচর্চ্চা বইখানিতে বিবিধ বিষয় ঘটিত বিবিধ ইংরেজি রচনারীতির বাক্যাবলী সংগ্রহ করা হয়েছে। উদ্দেশ্য এই যে নানা রকমের প্রকাশভঙ্গীর সঙ্গে ছাত্রদের যেন পরিচয় ঘটে। আমার বিশ্বাস যদি যথোচিত অধ্যবসায়ের সঙ্গে অন্তত দুই বৎসর কাল এই অনুবাদ প্রত্যনুবাদের পন্থা ধরে ভাষাব্যবহারের অভ্যাস ঘটানো যায় তাহোলে ইংরেজি ও বাঙ্‌লা দুই ভাষাতেই দখল জন্মানো সহজ হবে।

 দুই সম্পূর্ণ বিভিন্ন ভাষার মধ্যে কথায় কথায় অনুবাদ চলতেই পারে না। ইংরেজি ও বাংলা দুই ভাষায় প্রকাশের প্রথা স্বতন্ত্র এবং পরস্পরের মধ্যে শব্দ ও প্রতিশব্দের অবিকল মিল পাওয়া অসম্ভব এই কথাটি তর্জ্জমা করতে গিয়ে যতই আমাদের কাছে ধরা পড়ে ততই উভয় ভাষার প্রকৃতি স্পষ্ট করে বুঝতে পারি। এই জন্যে অনুবাদের যোগে বিদেশী ভাষাশিক্ষার প্রণালীকে আমি প্রশস্ত বলে মনে করি।

 প্রতিদিন ছোটো একটি প্যারাগ্রাফ্‌ নিয়ে চর্চ্চাই যথেষ্ট। প্রথম দিন বাংলা থেকে ইংরেজি এবং পরদিন সেই ইংরেজি থেকেই বাংলা অনুবাদ করানো চাই। বলা বাহুল্য শিক্ষক যেন ক্লাসে প্রস্তুত হয়ে আসেন। ব্যাকরণের যে সকল বিশেষ নিয়ম ও বাক্যপ্রয়োগের যে সকল বিশেষ প্রথা সেদিনকার পাঠের পক্ষে আবশ্যক, প্রথমেই সেগুলি ছাত্রদের কাছে ভালো করে ব্যাখ্যা করে দিতে হবে। আরম্ভে একটি করে বাক্য নিয়ে সুরু করা ভালো। ছাত্রের ভুল করবে, কেন ভুল হোলো সে কথা বুঝিয়ে দিয়ে ক্রমে ক্রমে অগ্রসর হওয়া চাই। ভুল সংশোধন হোলে তার পরে মূল বাক্যটির আদর্শ তাদের কাছে ধরে দিতে হবে। সেটি তারা খাতায় লিখে রাখবে এবং সেই খাতার লেখা থেকেই পরের দিন প্রত্যনুবাদ করবে; ইংরেজি ও বাঙ্‌লা অনুবাদচর্চ্চার বই ছাত্রদের হাতে থাকলে উদ্দেশ্য সফল হবে না। এমনি করে ধীরে ধীরে চালনা করে নিলে কঠিন বাক্যও ছাত্রদের কাছে সহজ হয়ে আসবে।

পাঠের দৃষ্টান্ত

 “বহুকাল পূর্বে Rhodopis নামে একটি সুন্দরী বালিকা তাহার সঙ্গীদের সঙ্গে নীল নদীর জলে স্নান করিতেছিল; এমন সময় হঠাৎ একটি ঈগল্‌ আকাশ হইতে দ্রুত নামিয়া তাহার ছোটো চটি জুতাজোড়ার এক পাটি ছোঁ মারিয়া লইয়া মরুভূমির উপর দিয়া উড়িয়া গেল।”

 এই বাক্যটির যে সকল শব্দের ইংরেজি প্রতিশব্দ ছাত্রদের জানা নেই, তা বুঝিয়ে দিয়ে, বোর্ডে লিখে দেওয়া যাক্‌, ছাত্রেরা সেগুলি তাদের নোট বইয়ে টুঁকে নিক্‌। ছোঁ মারবার জন্যে চিল প্রভৃতি পাখী উপর থেকে দ্রুত নেমে আসে, তাকে ইংরেজিতে বলে to swoop down। ছিনিয়ে তুলে নেওয়াকে বলে to snatch up। take up এবং snatch up শব্দের পার্থক্য বুঝিয়ে দেওয়া যেতে পারে। সাধারণত চটি জুতোর ইংরেজি slippers, কিন্তু প্রাচীন গ্রীস প্রভৃতি দেশে যে জুতো প্রচলিত ছিল সেই রকমের কাটা কাটা চামড়ার জুতো আমাদের দেশেও আজকাল ব্যবহার হচ্চে, তাকে বলে sandals।—শিক্ষকরা মনে রাখবেন ইংরেজি প্রতিশব্দগুলি বলে দেবার পূর্ব্বে প্রশ্ন করে জানা চাই ছাত্রেরা জানে কিনা।

 মনে করা যাক্‌ নিম্নলিখিতরূপে ছাত্রেরা তর্জ্জমা করেছেঃ—

 Long ago, a beautiful girl named Rhodopis, with her companions, was bathing in the water of the Nile river; at that time an eagle swooping down from the sky snatching up one of a pair of small sandals flew away over the desert.

 বাক্য-রচনায় ইংরেজির সঙ্গে বাংলার প্রভেদ এই যে, বিশেষণ বাক্যাংশ[১] (Adjective clause) বাংলায় কর্ত্তৃপদের পূর্ব্বে বসে—ইংরেজিতে বিশেষণ সমেত কর্ত্তৃপদ প্রথমে আসে, তার পরে adjective clause।

 বাংলায় আছে Rhodopis নামে একটি সুন্দরী বালিকা তাহার সঙ্গীদের সঙ্গে নীল নদীর জলে স্নান করিতেছিল। এখানে সুন্দরী বালিকা কর্ত্তৃপদ। “Rhodopis নামে” তার পূর্ব্বে বসেছে, কিন্তু ইংরেজিতে বসে পরে। A beautiful girl named Rhodopis সমস্তটা মিলে কর্ত্তা। ইংরেজিতে কর্ত্তার অব্যবহিত পরেই কখনো বা পূর্ব্বে সাধারণত ক্রিয়াপদ বসে। বাংলায় ক্রিয়াপদের প্রয়োগ অধিকাংশ স্থলেই বাক্যের শেষে, এখানেও তাই। অতএব ইংরেজিতে “স্নান করিতেছিল” ক্রিয়াপদ কর্ত্তার অব্যবহিত পরেই বসবে। তাহোলে হবে A beautiful girl named Rhodopis was bathing। বহুকাল পূর্ব্বে, Long ago, ক্রিয়ার বিশেষণ বাংলায় যেমন ইংরাজিতেও তেমনি বাক্যের আরম্ভেই। Long ago, a beautiful girl, named Rhodopis was bathing। বাংলায় জলশব্দের বহুবচনে প্রয়োগ নেই—আমরা জলগুলি কখনোই বলিনে, ইংরেজিতে, এবং সংস্কৃতেও জল শব্দের বহুবচনে প্রয়োগ হোতে পারে, এখানে তাই হয়েছে।

 Long ago, a beautiful girl named Rhodopis was bathing in the waters of the Nile। river শব্দ না দিলে ভালোই হয়। ইংরেজিতে সমস্ত বাক্যটি এক, অতএব at that time না ব্যবহার করে “when” বল্‌লে বাক্যের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটে না। বাংলায় একসঙ্গে পরে পরে দুই বা ততোধিক অসমাপিকা ক্রিয়া বসানো চলে, ইংরেজিতে অসমাপিকা ক্রিয়ার বাহুল্য ভালো শোনায় না। এখানে মূলে একটাও অসমাপিকা ক্রিয়া নেই। নীচে সমগ্র বাক্যটি উদ্ধৃত করা গেল—ছাত্রেরা নিজের লেখার সঙ্গে মিলিয়ে দেখুক, যেখানে অনৈক্য সেখানে কী দোষ ঘটেছে বুঝিয়ে দেওয়া হোক।

 Long ago, a beautiful girl named Rhodopis was bathing in the waters of the Nile, when suddenly an eagle swooped down, snatched up one of her tiny sandals and flew away with it over the desert. বাংলায় এই with it নেই, ইংরেজিতে যদিচ আছে তবু না থাক্‌লেও চল্‌ত।

 মেয়েটি মনের খেদে বলিয়া উঠিল, “মাগো, আমার বিমাতা কী না জানি বলিবেন।” মূলে “মনের খেদে” শব্দের ইংরেজি আছে “in dismay”,—বলে দেবার আগে ছাত্রদের ভাবতে দেওয়া ভালো। যদি ইংরেজিতে কিছু দখল থাকে তবে হয়তো তারা বলবে, “with painful heart,” বা “with anxious mind” বা “in misery”। এগুলোও অশুদ্ধ নয়। কিন্তু মূলে যে শব্দটি আছে সেটা জানিয়ে দেওয়া যাক। “মাগো” বাক্যোচ্ছ্বাসের ইংরেজি “O dear,” এটা ছাত্রেরা সম্ভবত অনুমান করতে পারবে না। “আমার বিমাতা কী না জানি বলিবেন!” হয়তো কোনো ছাত্র এর তর্জ্জমা করতে পারে “I do not know what will my stepmother say.” এই তর্জ্জমায় দোষ নেই সে কথা স্বীকার করে নেওয়া যাক্‌। হয়তো কোনো ছাত্র সমস্তটার এই রকম তর্জ্জমা করবেঃ—

 The girl cried in dismay, “O dear, I do not know what will my stepmother say?” অশুদ্ধ হয় নি কিন্তু মূলের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা ভালো। “O dear,” she cried in dismay, “what will my stepmother say?” যে ব্যক্তি কথা বল্‌ছে, তার উক্তিকে বিভক্ত ক’রে সেই ব্যক্তির উল্লেখ ইংরেজি ভাষায় প্রচলিত রীতি। এখানে তাই হয়েছে। ইংরেজিতে he পুংলিঙ্গ শব্দ, স্ত্রীলিঙ্গে হয় she, বাংলায় স্ত্রীলিঙ্গ “তিনি” নেই সেই জন্যে বাংলায় লিখতে হোলো সেই মেয়েটি। ইংরেজিতে তার বদলে “she” বলেই চুকিয়ে দেওয়া হয়েছে।

 “সেই মুহূর্ত্তেই অত্যন্ত রুষ্ট মুখে তাহার বিমাতা স্বয়ং সেইখানে আসিলেন।”

 “সেই মুহূর্ত্তেই” যেমন বাংলায় তেমনি ইংরেজিতেও বাক্যের আরম্ভে। At that moment। কিন্তু এই বাক্যাংশটা পরে দিলেও ক্ষতি হয় না। পূর্ব্বেই বলা হয়েছে ইংরেজিতে কর্ত্তৃপক্ষ আগে, তার পরে তৎসম্পর্কীয় adjective clause—এই সাধারণ নিয়ম, কিন্তু কখনও অন্যথা হয় না তা নয়। তা ছাড়া এ কথাও ছাত্রেরা জানে যে, কর্ত্তৃপদের অব্যবহতি পরে বা পূর্ব্বে ক্রিয়া বসে। মূলে এখানে ক্রিয়াপদ কর্ত্তার পূর্ব্বে বসেছে। বলা বাহুল্য বিমাতা কর্ত্তা। সম্ভবত ছাত্রেরা তর্জ্জমা করবে “At that moment came the stepmother with very angry face.” এখানে এই বাক্যটির সঙ্গে ছাত্রেরা মূল বাক্যের তুলনা করে দেখুক ও মূল বাক্যটি খাতায় তুলে নিক্‌।

 “তিনি বলিলেন, চলিয়া এসো। তুমি Hui কুম্ভকারের কাছ হইতে যে কলসী কিনিয়াছিলে সেটা ফাটা; রাজার কাছে নালিশ করিতে যাইতে হইবে।”

 কলসী—jar। কুম্ভকার—potter। ছাত্রদের পূর্ব্বেই বলা হয়েছে ইংরেজি ভাষার রীতি অনুসারে কথোপকথনে কথকের উক্তিকে ভাগ করে তার মধ্যে কথকের উল্লেখ থাকে। এখানেও সেই নিয়ম মানতে হবে। ছাত্রেরা নিজ নিজ চেষ্টায় তর্জ্জমা শেষ করলে মূল ইংরেজি বাক্যটি তাদের সম্মুখে ধরতে হবে। “Come along,” she said, “That jar you bought from Hui the potter was cracked, and we must go and complain to the king.” তর্ক উঠতে পারে যে, যদিও that jar শব্দটি কর্ত্তৃপদ তবু ক্রিয়াপদ was cracked কেন তার সঙ্গে সংলগ্ন রইল না? জানা উচিত ‘That jar you bought from Hui the potter” সমস্তটা মিলে এখানে কর্ত্তা। বাংলায় আছে “রাজার কাছে নালিশ করিতে যাইতে হইবে” অবিকল তর্জ্জমা করতে গেলে হোতো, “We must go to complain to the king.” তাতেও দোষ হোতো না। কিন্তু মূলে যেটা আছে ইংরেজিমতে সেটাই কানে শোনায় ভালো। একটা কথা ছাত্রদের মনে রাখা দরকার—The jar was cracked and we must complain to the king—এখানে বাংলা ভাষায় এই “and” শব্দের সার্থকতা নেই তাই “এবং” “ও” “কিম্বা” “আর” শব্দ দিয়ে ঐ and এর তর্জ্জমা বাংলায় চলবে না। যে দুই বিশেষণ বা ক্রিয়া সমজাতীয়, বাংলায় তাদেরকেই “এবং” প্রভৃতি শব্দ-দ্বারা জোড়া যায়, যেমন, কলসীটা ফুটো এবং দাগী; কিম্বা আমি কাজ করি এবং গান গাই। কিন্তু কলসীটা ফুটো এবং আমি নালিশ করব, এ ইংরেজিতে হয় বাংলায় হয় না। আমি আপিসে যাব এবং আমার স্ত্রী যেন রাঁধে, এ বাংলা নয়, অথচ ইংরেজিতে বাধবে না যদি বলা যায়, I shall go to the office and my wife must cook.

 ঈজিপ্টের মহারাজ সে সময় মেম্ফিস্‌ নামক প্রাচীন নগরে তাঁহার দরবার করিতেছিলেন এবং সেখানে সকলেই বড়ো আমোদে ছিল, কারণ রাজা তখন যুদ্ধ হইতে সদ্য ফিরিয়া আসিয়াছেন।

 দরবার করা—holding court, আমোদে থাকা—to be gay।

 ছাত্রদের অনুবাদ শেষ হোলে পর মূল ইংরেজি বাক্যটি তাদের সামনে রেখে বিচার করতে হবে। The great king of Egypt was at that time holding his court in the ancient city of Memphis, and all were very gay; for the king had just come back from war.

 Was holding যদিও দুই শব্দে মিলিত একটি ইংরেজি ক্রিয়াপদ তবু তাকে বিভক্ত করে তার মাঝখানে কোনো বাক্যাংশ বসিয়ে দেওয়া চলে। এখানে আছে was at that time holding, তেমনি বলা যেতে পারত was when in the city of Memphis holding, কিম্বা was after the war holding। এখানে কোনো একটি বিশেষ যুদ্ধের কথা নির্দ্দেশ করা হয় নি, সাধারণভাবে যুদ্ধের কথা বলা হয়েছে, এই জন্যে war শব্দের পূর্বে the বসে নি।

 সুস্থির হয়ে বাস করা—settle down। শেষোক্ত ব্যক্তি—the latter।

 ছাত্রদের অনুবাদের পরে মূল ইংরেজি বাক্যের আলোচনাঃ—He was in his garden talking with an old priest, when the latter said, “Now that the war is over, you can settle down and take a wife.”

 পূর্ব্বে যে প্রথার কথা বলেছি তদনুসারে was talking ক্রিয়াপদের মাঝখানে “in his garden” বসেছে। ইচ্ছা করলে বলা যেতে পারত He was with an old priest talking in his garden। কোনো এক বাক্যে যেখানে দুজন ব্যক্তির উল্লেখ থাকে সেখানে প্রথমোক্ত ব্যক্তি the former এবং শেষোক্ত ব্যক্তি the latter বলে নির্দ্দিষ্ট হোতে পারে। এখানে take a wife-এর পরিবর্ত্তে marry বল্‌লে চলত। বাংলায় আছে “সুস্থির হইয়া বিবাহ করিতে পারো”—“সুস্থির হইয়া” শব্দকে অসমাপিকা ক্রিয়ারূপে যদি লেখা যেত “you can settling down marry” অথবা “you can marry settling down” ব্যাকরণবিরুদ্ধ হয় না কিন্তু ভাষারীতি অনুসারে ভালো শোনায় না।

 সবশেষে একটা কথা বলা আবশ্যক।

 Long ago, a beautiful girl was bathing ইত্যাদি। এখানে “long ago” শব্দ বাক্যের আরম্ভে বসেছে আর কোথাও বসতে পারে না। অথচ দেখা গেল at that time or at that moment বাক্যের অন্য অংশেও বস্‌তে পারে। তার কারণ এই Long ago শব্দের দ্বারা ঘটনার মধ্যবর্ত্তী কোনো একটি বিশেষ সময় সূচিত হচ্চে না, সমস্ত গল্পটির গোড়াতেই জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে যে এর সমস্ত ঘটনাই দীর্ঘকাল পূর্ব্বে ঘটেছিল। কিন্তু at that time or moment গল্পের মধ্যকার একটা বিশেষ সময়কে জ্ঞাপন করছে, সমস্ত আখ্যানটির পরে তার অধিকার নেই।

 পূর্ব্বেই বলা হয়েছে যে, আদর্শ অনুবাদের ইংরেজি বাক্যগুলি ছেলেরা তাদের খাতায় তুলে নেবে। আদর্শ পাবার আগে তারা নিজেরা যে রচনা করবে সেটা থাকবে খাতার একপাতায়, এবং আদর্শটা থাকবে আর এক পাতায়। প্রত্যনুবাদের দিনে ছেলেরা অপর একটি খাতা ব্যবহার করবে। সে খাতার এক পাতায় থাকবে তাদের স্বরচিত বাংলা, অপর পাতায় থাকবে আদর্শ। যে পাঠগুলি পূর্ব্বনির্দিষ্ট প্রথায় অনুবাদ করা হয়েছে, পরীক্ষার জন্য মাসে একবার ক’রে তার যে কোন একটা সম্পূর্ণ অনুবাদ করতে দেওয়া ভালো; তাতে শিক্ষক তাঁর কাজের ফল বিচার কর্‌বার সুযোগ পাবেন।

 প্রথমে চার পাঁচটির বেশি বাক্য এগোবে না, কিছু কাল ক্রমশই কাজ দ্রুত হতে থাকবে। ম্যাট্রিক ও তার নীচের তিনটি ক্লাসে এই নিয়মে অনুবাদ করালে ছাত্রদের উপকার হবে সন্দেহ নাই।

 যে পর্য্যায়ে অনুবাদগুলি ছাপা হয়েছে তাই যে মানতে হবে তা নয়। শিক্ষকেরা আবশ্যক বুঝলে তার উলটো পালটা করতে পারেন।

 ইংরেজি থেকে বাঙ্‌লা অনুবাদ অত্যন্ত দুঃসাধ্য। এই গ্রন্থে কোনো কোনো স্থলে নিশ্চয়ই ত্রুটি ঘটে থাকবে। ব্যবহার করবার কালে শিক্ষকদের যদি চোখে পড়ে এবং তাঁরা অসম্পূর্ণতা সংশোধন করে আমাদের জানান তবে কৃতজ্ঞ হব।


পরিচ্ছেদসমূহ (মূল গ্রন্থে নেই)

সূচীপত্র

পরিচ্ছেদ 
 পৃষ্ঠা
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 ১০
 ১১
 ১১
 ১২
 ১৩
 ১৪
 ১৫
 ১৫
 ১৬
 ১৭
 ১৮
 ১৮
 ১৯
 ২০
 ২১
 ২২
 ২২
 ২৩
 ২৪
 ২৫
 ২৫
 ২৬
 ২৭
 ২৮
 ২৮
 ২৯
 ৩০
 ৩১
 ৩১
 ৩২
 ৩৩
 ৩৩
 ৩৪
 ৩৪
 ৩৫
 ৩৬
 ৩৬
 ৩৭
 ৩৭
 ৩৮
 ৩৯
 ৪০
 ৪০
 ৪১
 ৪১
 ৪২
 ৪৩
 ৪৩
 ৪৪
 ৪৪
 ৪৫
 ৪৬
 ৪৬
 ৪৭
 ৪৮
 ৪৯
 ৪৯
 ৫০
 ৫১
 ৫১
 ৫২
 ৫৩
 ৫৪
 ৫৫
 ৫৫
 ৫৬
 ৫৭
 ৫৮
 ৫৯
 ৫৯
 ৬০
 ৬১
 ৬২
 ৬২
 ৬৩
 ৬৪
 ৬৪
 ৬৫
 ৬৬
 ৬৬
 ৬৭
 ৬৭
 ৬৮
 ৬৯
 ৬৯
 ৭০
 ৭০
 ৭১
 ৭২
 ৭২
 ৭৩
 ৭৪
 ৭৪
 ৭৫
 ৭৬
 ৭৬
 ৭৭
 ৭৮
 ৭৮
 ৭৯
 ৮০
 ৮১
 ৮১
 ৮২
 ৮৩
 ৮৩
 ৮৪
 ৮৫
 ৮৬
 ৮৭
 ৮৭
 ৮৮
 ৮৮
 ৮৯
 ৯০
 ৯০
 ৯১
 ৯২
 ৯২
 ৯৩
 ৯৩
 ৯৪
 ৯৫
 ৯৫
 ৯৬
 ৯৭
 ৯৭
 ৯৮
 ৯৯
 ৯৯
 ১০০
 ১০১
 ১০১
 ১০২
 ১০৩
 ১০৪
 ১০৪
 ১০৫
 ১০৬
 ১০৬
 ১০৭
 ১০৭
 ১০৮
 ১০৯
 ১১০
 ১১০
 ১১১
 ১১২
 ১১২
 ১১৩
 ১১৪
 ১১৪
 ১১৫
 ১১৬
 ১১৬
 ১১৭
 ১১৮
 ১১৯
 ১১৯
 ১২০
 ১২১
 ১২১
 ১২২
 ১২৩
 ১২৩
 ১২৪
 ১২৫
 ১২৫
 ১২৬
 ১২৭
 ১২৮
 ১২৮
 ১২৯
 ১৩০
 ১৩০
 ১৩১
 ১৩২
 ১৩৩
 ১৩৩
 ১৩৪
 ১৩৫
 ১৩৬
 ১৩৬
 ১৩৭
 ১৩৮
 ১৩৯
 ১৩৯
 ১৪০
 ১৪১
 ১৪২
 ১৪৩
 ১৪৪
 ১৪৫
 ১৪৬
 ১৪৭
 ১৪৮
 ১৪৮
 ১৪৯
 ১৫০
 ১৫১
 ১৫২
 ১৫২
 ১৫৩
 ১৫৩
 ১৫৪
 ১৫৫
 ১৫৫
 ১৫৬
 ১৫৭
 ১৫৮
 ১৫৯
 ১৫৯

এই লেখাটি বর্তমানে পাবলিক ডোমেইনের আওতাভুক্ত কারণ এটির উৎসস্থল ভারত এবং ভারতীয় কপিরাইট আইন, ১৯৫৭ অনুসারে এর কপিরাইট মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। লেখকের মৃত্যুর ৬০ বছর পর (স্বনামে ও জীবদ্দশায় প্রকাশিত) বা প্রথম প্রকাশের ৬০ বছর পর (বেনামে বা ছদ্মনামে এবং মরণোত্তর প্রকাশিত) পঞ্জিকাবর্ষের সূচনা থেকে তাঁর সকল রচনার কপিরাইটের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যায়। অর্থাৎ ২০২৪ সালে, ১ জানুয়ারি ১৯৬৪ সালের পূর্বে প্রকাশিত (বা পূর্বে মৃত লেখকের) সকল রচনা পাবলিক ডোমেইনের আওতাভুক্ত হবে।

  1. সংস্কৃতে এর কোনো পরিভাষা আছে কিনা জানিনে