উৎসর্গ/সংযোজন/৩
কত দিবা কত বিভাবরী
কত নদী নদে লক্ষ স্রোতের
মাঝখানে এক পথ ধরি ,
কত ঘাটে ঘাটে লাগায়ে ,
কত সারিগান জাগায়ে ,
কত অঘ্রানে নব নব ধানে
কতবার কত বোঝা ভরি
কর্ণধার হে কর্ণধার ,
বেচে কিনে কত স্বর্ণভার
কোন্ গ্রামে আজ সাধিতে কী কাজ
বাঁধিয়া ধরিলে তব তরী ।
হেথা বিকিকিনি কার হাটে ।
কেন এত ত্বরা লইয়া পসরা ,
ছুটে চলে এরা কোন্ বাটে ।
শুন গো থাকিয়া থাকিয়া
বোঝা লয়ে যায় হাঁকিয়া ,
সে করুণ স্বরে মন কী যে করে —
কী ভেবে আমার দিন কাটে ।
কর্ণধার হে কর্ণধার ,
বেচে কিনে লও স্বর্ণভার —
হেথা কারা রয় লহো পরিচয় ,
কারা আসে যায় এই ঘাটে ।
যেথা হতে যাই , যাই কেঁদে ।
এমনটি আর পাব কি আবার
সরে না যে মন সেই খেদে ।
সে - সব কাঁদন ভুলালে ,
কী দোলায় প্রাণ দুলালে ।
হোথা যারা তীরে আনমনে ফিরে
আমি তাহাদের মরি সেধে ।
কর্ণধার হে কর্ণধার ,
বেচে কিনে লও স্বর্ণভার ।
এই হাটে নামি দেখে লব আমি —
এক বেলা তরী রাখো বেঁধে ।
গান ধর তুমি কোন্ সুরে ।
মনে পড়ে যায় দূর হতে এনু ,
যেতে হবে পুন কোন্ দূরে ।
শুনে মনে পড়ে , দুজনে
খেলেছি সজনে বিজনে ,
সে যে কত দেশ নাহি তার শেষ —
সে যে কতকাল এনু ঘুরে ।
কর্ণধার হে কর্ণধার ,
বেচে কিনে লও স্বর্ণভার ।
বাজিয়াছে শাঁখ , পড়িয়াছে ডাক
সে কোন্ অচেনা রাজপুরে ।