কল্লুর জগৎ - ঘোর প্যাঁচ আর গণ্ডগোল

উইকিসংকলন থেকে

কল্লু'র জগত

ঘোর প্যাঁচ আর গণ্ডগোল

স্তর  

লেখন: সুভদ্রা সেনগুপ্ত
চিত্রাঙ্কন: তাপস গুহ



Original Story in English ‘Kallu's World—In Big Trouble Again!’ by Subhadra Sen Gupta

Illustrations:Tapas Guha

‘Kallur Jagot—Ghor Pyanch Ar Gondogol’
Bengali Translation by Swagata Sen Pillai

© Pratham Books, 2011. Some rights reserved. CC-BY 4.0

First Bengali Edition: 2014

ISBN: 978-93-5022-242-3

Typesetting and layout by:
Pratham Books, New Delhi

Printed by:
Rave India, New Delhi

Published by:
Pratham Books
www.prathambooks.org

Registered Office:
PRATHAM BOOKS
# 621, 2nd Floor, 5th Main, OMBR Layout
Banaswadi, Bengaluru 560 043
T:+91 80 42052574/41159009

Regional Office:
New Delhi
T:+91 11 41042483

PRATHAM BOOKS Some rights reserved. The story text and the illustrations are CC-BY 4.0 licensed which means you can download this book, remix illustrations and even make a new story - all for free! To know more about this and the full terms of use and attribution visit http:/prathambooks.org/cc.

ঘোর প্যাঁচ আর গণ্ডগোল

{{center|

লেখন: সুভদ্রা সেনগুপ্ত
চিত্রাঙ্কন: তাপস গুহ
বাংলা অনুবাদ: স্বাগতা সেন পিল্লই

“কল্লু এই কল্লু ওঠ। ইস্কুলের দেরি হয়ে যাবে। কল্লুঊঊঊঊ।”

ব্যস্ত আওয়াজটা কল্লুর মিষ্টি স্বপ্ন ভেদ করে বন্ধুদের সাথে বিরাট বড়ো মাছ ধরার আনন্দটাই ভেস্তে দিলো– আর ঠিক যখন মাছটা কেমন ওদের দিকে তাকিয়ে হাঁসছিলো।

লেপের তলা থেকে ঘুমে ভরা মুখটা বার করে আধো ঘুমেই কল্লু প্রতিবাদ করলো, “শব্বো এখন তো সবে ভোর হয়েছে— আমি প্রায় ঘুমাই-ই নি!”

শব্বো বললো– “না মোটেও এখন ভোর নয়! কখন রোদ উঠেছে। অম্মী মহিষের দুধ দুইয়ে নিয়েছেন, আর আমাদের সকলের সকালের খাওয়াও শেষ।”

কল্লু কাঁপতে কাঁপতে উঠে বসে জালনা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে ঘুমে মিনমিন স্বরে বললো, “কিন্তু সূর্য্য? আমি তো সূর্যের কোনো হুদিশ পাচ্ছি না।”

“এই বোকাটা! ওটা তো কুয়াশা! অব্বু তরকারির চাষে কখন মাঠে বেরিয়ে গিয়েছেন আর আমাদের পাড়ার যত ছাত্র কখন আমাদের এই পথ হয়ে বেরিয়ে গিয়েছে।”

“সব্বাই চলে গেছে?” হাঁই তুলতে গিয়ে কল্লু আতঙ্কে ঢোক গিলে ফেললো। “মুনিয়াও?”

শব্বো মাথা নেড়ে “হ্যাঁ” বুঝালো। “ও রে বাবারে” কল্লু লেপ ফেলে দিয়ে কোনমতে উঠে পড়লো। ইস্কুলে আবার দেরিতে তো পৌঁছানো যাবে না। কিছুতেই না। এইতো দুদিন আগের কথা। মাস্টারমশাই রেগে শাসিয়েছেন কল্লুকে–এর পর আর একবারও দেরী হলে শুধু মাত্র চরম শাস্তি পাবে তাই না–তা ছাড়া উনি ওকে পরের ক্লাসে যেতে দেবেন কি না আদৌ-ভাই সন্দেহ। ভাও কল্লুকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কান ধরে দাঁড়িয়ে রাখার পর!

“আমায় এক্ষুনি একটা গপ্পো ভেবে ফেলতে হবে!” কল্লু মরিয়া হয়ে খাটের তলায় চটি খুঁজতে খুঁজতে ভাবলো। “একটা দারুন, বুক ফাটিয়ে দেওয়া ভীষণ ভাবে প্রভাবশালী জোরদার একটা গপ্পো...”

রোজকার মত একেবারে তীরের বেগে তৈরী হতে লাগলো।

তাড়াতাড়ি চোখে মুখে ঠাণ্ডা জল ছিটালো, চোখের থেকে ঘুম তাড়াবে বলে –অবশ্যই স্নানের প্রশ্নই ওঠে না! কী ভাগ্যিস শীতকাল– না হলে মা স্নান করিয়েই ছাড়তেন। একটা শার্ট, প্যাণ্ট আর সোয়েটার তুলে এদিক-ওদিক লাফিয়ে সেগুলোকে পরা শুরু করলো। চটিতে পা ঢুকাতে-ঢুকাতে ছোট ভাইয়ের দিকে চেয়ে হাঁপাতে হাঁপাতে বললো, “তোর কী ভাগ্য রে শব্বো! এক মাসের জন্য কোনো স্কুল নাই।”

ডান পায়ে প্লাস্টার লাগানো শব্বো জালনার ধারে বসে গোমড়া মুখে বললো, “হ্যাঁ রে! পা ভাঙ্গা যে কী মজার ব্যাপার। আমার সারা দিন এইখানে বসে থাকতে কী ভালই না লাগে, এত বোর হয়ে যাই যে মাথার চুল ছিঁড়তে ইচ্ছে করে, আর তুই চলে যাস দামুর সাথে ফুটবল খেলতে। বটে, আমার কী মজাই না হচ্ছে!”

ওর কথা শেষ হওয়ার আগেই কল্লু বাড়ি থেকে বেরিয়ে মাঝপথে পৌঁছে গিয়েছিলো। শব্বো জালনা দিয়ে ঝুঁকে ওকে হনহনিয়ে কুয়াশার ভেতর হারিয়ে যেতে দেখলো। ওর চেহারায় আনন্দের হাঁসি ফুটে উঠলো।

“দাদা চলে গেছে!” শব্বো গেয়েই যেন বললো। “তুই বেরিয়ে আসতে পারিস মুনিয়া!”

ওর ছোটো বোন মুনিয়া যে আলমাড়ির পিছনে লুকিয়ে ছিলো, তার চাইতেও বড়ো হাঁসি মুখে নিয়ে বেরিয়ে এলো। দুইজনে এমন হাঁসতে লাগলো যে মুনিয়ার হিচকি ধরে গেলো।

বাইরে যেতে যেতে রান্নাঘর থেকে একটা শুকনো রুটি হাতে তুলে নিয়েছিলো কল্লু, এখন সেটা চিবোতে চিবোতে নিজের
মনেই গজ গজ করে বলতে লাগলো, “একটা গপ্পো চাই কল্লন মীয়া! একটা বিশ্বাস্য এক্কেবারে নতুন গপ্পো, নইলে তুমি আবার ক্লাসের কোনে দাঁড়িয়ে!”

 কল্লু ঠিক জীবনকে ঠাওর করে উঠতে পারে না। ওর স্কুলে যেতে ভালো লাগে, সত্যিই। ওর অঙ্ক করতে আর বিজ্ঞান শিখতে ভালো লাগে, ফুটবল খেলতে আর স্কুলের অনুষ্ঠানে গান গাইতেও ভালো লাগে। কিন্তু, কেনো, ওহ! ওর স্কুলে সময়মত পৌঁছতে এত অসুবিধে হয় কেনো? মাস্টারমশাইও ব্যাপারটা বুঝতে পারেন না। উনি তো ব্যাঙ্গ করে বলেই ছিলেন-কল্লুর নাকি রাতে স্কুলের বারান্দায় শোয়া উচিত, আর ক্লাসের অন্য সকলে কল্লুর উপর খুব হেঁসেছিলো।

 গণ্ডগোলে ব্যাপারটা হলো যে এবার সব কিছু বেশ গুরুগম্ভীর হয়ে চলেছে। যদি মাস্টারমশাই সত্যিই ওকে ক্লাস নাইন এ পাঠান তাহলে অব্বু ওকে স্কুল থেকে বের করে দিয়ে তরকারী’র চাষে লাগিয়ে দেবেন। আর স্কুলে যাওয়ার বদলে শাক টানতে আর মটর আর গাজর তুলতে কেই বা চায়? স্কুলে তো হাজার গুন বেশি মজা আর ও এক্কেবারে ঠিক ঠিক জানে যে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করলে ও একটা ভালো চাকরি পেতে পারে—হয়তো বা কলেজেও যেতে পারে! কলেজ যাওয়া....আহা!! কল্লুর সব চাইতে বড়ো আর প্রিয় স্বপ্ন।

 কল্লু আসলে চায় উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করে কম্প্যুটার সম্বন্ধে পড়তে। মাস্টারমশাই বলেন ওর তার জন্য যথেষ্ট বুদ্ধি আছে। গত’ মাসে উনি ওদের ক্লাসের ছেলে মেয়েদের কাছের শহরে একটা কম্প্যুটার মেলাতে নিয়ে গিয়েছিলেন আর ওদের সকলেরই মনে হয়েছিলো যন্ত্রগুলো একেবারে দারুন! ঐখানে মেলার দোকানদার ওকে ঠিক ভাবে মাউস ধরা, চালানো আর ইণ্টারনেট এ যাওয়ার কায়দা শিখিয়েছিলেন। একেবারে জাদুই কারবার! এখন কল্লু আর দামুর ইচ্ছা ওরাও মাউস নিয়ে জাদুকর হবে আর কম্প্যুটার স্ক্রীনের উপর সাঁই সাঁই করে উড়ে বেড়াবে।

ফেরার পথে বাসে বসে ও আর দামু মিলে একটা চমত্কার প্ল্যান বানিয়েছিলো। নতুন বড়ো রাস্তাটা যেহেতু খজুরিয়া গ্রামের পাশ দিয়ে যায়, ওরা ঠিক তার ধারে একটা থাবার দোকানের সাথে STD বুথের সাথে কম্প্যুটারের দোকান খুলবে। দামু– যে দিনরাত্রি খাবারের স্বপ্ন দ্যাখে– খাবারের দোকানটা চালাবে আর কল্লু সামলাবে STD বুথটাকে। ট্রাক ড্রাইভাররা ঐখানে বসে খাবে, বাড়িতে STD করে কথা বলবে আর আশেপাশের গ্রামগুলো থেকে বড়ো বাজারে যারা তরকারী, গম, আঁখ পাঠায়, তারা সেই দিনকার বাজারে দর ইণ্টারনেটে জেনে নিতে পারবে।

“ফাটাফাটি কাণ্ড! দামোদর ঢাবা আর কল্লন কম্প্যুটার সেণ্টার।” দামু একটু হাঁসলো আর তারপর একটু চিন্তিত হয়েই কল্লুর দিকে চেয়ে বললো, “একটু যদি তুই সময় মতো স্কুলে পৌঁছতে পারতি।”

চায়ের দোকানের পাশ দিয়ে রুটি চিবোতে চিবোতে দৌড়ে বেরিয়ে যেতে যেতে কল্লু ডেকে বললো, “সালাম ধরম কাকা!”

চায়ের দোকানের মালিক ধরমপাল ফুটন্ত কেতলির থেকে চোখ তুলে আশ্চর্য্য হয়ে তাকালেন, “আরে, কল্লু দেখি!” তারপর ওনার হাঁসিটা আরো চওড়া হয়ে গেলো আর ভুরুদুটো যেন
মাথায় চড়লো, “কী ব্যাপার? আজ সুয্যি পশ্চিমে উঠলো নাকি? সকাল সকাল কোথায় চললে হে?”

“স্কূঊঊঊঊঊঊউল!”

“আরে একটা তেলেভাজা খেয়ে যা আগে!” আর উনি হাঁসলেন। “ধরমের গরম গরম তেলেভাজা!”

তাড়াহুড়ো করে হেঁটে যেতে যেতে কল্লুর আর উত্তর দেওয়ার সময় ছিলো না। ধরমপাল কাকার সব কিছুতেই ঠাট্টা, নিজের মনে গজগজ করে বললো কল্লু। এই কত বিপদে পড়েছে সে আর উনি নাকি বোকা বোকা তেলেভাজা নিয়ে কথা বলছেন! আর কল্লুর স্কুলে দেরী হওয়াতে এমন কী মজার ব্যাপার শুনি? প্রতি সপ্তাহেই তো হয়ে থাকে এমন!

অবশ্য সবচেয়ে সর্বনাশ হয়েছিলো পরশুদিন যখন ও দেরী করে পৌঁছেছিলো। ২৬শে জানুয়ারির অনুষ্ঠানের জন্য রিহার্সাল চলছে আর ও যখন গুটিপায়ে স্কুলের মাঠে ঢুকেছে তখন রাষ্ট্রগানের শেষে ‘জয় হে’ গাওয়া হচ্ছে। আর কল্লুর ত’ সামনে দামু, মুনিয়া আর সারুর সাথে দাঁড়িয়ে গাইবার কথা।

তাই ও পিছনে দাঁড়িয়ে “জয় হে” গেয়ে আবার ফসকে পরার ধান্দায় ছিলো, এমন সময় কেউ ওর ঘাড় ধরে ফেরত টেনে আনলো। মাস্টারমশাইয়ের গম্ভীর চেহারার দিকে চোখ তুলতেই যেন কল্লুর বুকে নিশ্বাস বন্ধ হয়ে গেলো প্রায়।

“তুমি আবার রিহার্সালে দেরী করে পৌঁছেছো, তাই তোমায় আর অনুষ্ঠানে রাখা হবে না।” মাস্টারমশাইয়ের গলার স্বর যেন বরফে ঘোলা।

“না না মাস্টারমশাই! দোহাই আপনার!” কল্লুর চোখ ভরে জল-সত্যিকারের কান্নার - সেই মিছামিছি লোক দেখানো চোখের জল নয় যেটা ও যখন তখন বের করতে পারে। ও সত্যিই এই অনুষ্ঠানে ভাগ নিতে চায়।

“দোহাই...দোহাই ...” ও মরিয়া হয়ে অনুরোধ করে উঠলো। “আমি কথা দিচ্ছি আর দেরী করে আসবো না।”

“ঠিক আছে” মাস্টারমশাইয়ের গলার স্বর একটু নিমো হলো। “এইবারের মতো ছেড়ে দিলাম, কিন্তু আর একবার দেরী করে এলেই তুমি আর নাই! বুঝেছো?” কল্লু ফঁচ ফঁচ করতে করতে মাথা ঝাঁকালো। ততক্ষণে ওঁরা কল্লুর ক্লাসে পৌঁছে গেছেন আর যেই কল্লু নিজের জায়গায় যাওয়ার উপক্রম করলো উনি ডেকে বললেন, “কোথায় চললে হে? যাও কোনায় কান ধরে দাঁড়িয়ে থাকো!” ওর বন্ধুবান্ধবরা খিক খিক করতে শুরু করেই দিয়েছিলো যখন উনি শেষ ভয়ংকর ধমকটা দিলেন, “হয়ত এবার আমি আর তোমায় পাশই করাবো না। কল্লন — ক্লাস এইটে লেট বলে ফেল!”

আর আজ ও আবার লেট!!! শেষ-ওর জীবন শেষ!

একটা ভালো গল্প..ভাবলো কল্লু...একটা সত্যিই বিশ্বাস্য অজুহাত। এতগুলো তো তৈরী করেছে ও এতো বছরে, আজ কেনো একটাও মাথায় আসছে না?

মনে মনে ও দেখতে পাচ্ছে মাস্টারমশাইযের সন্দেহে ভরা চোখ—আমতা আমতা করে কল্লনের গল্প শুনছেন তিনি। গল্প তৈরিতে এমন মনোযোগ—কল্লু প্রায় এক সার মহিষের দলের সাথে ধাক্কা খায় আরকী!

এই আমার ভাগ্য, ও বিতৃষ্ণায় ভাবলো, হাম্বা-ডাকা পশুগুলোর পাশ কাটিয়ে যেতে যেতে। জীবন-মরণের ব্যাপার আর আমি করি কী? বদ্রীদার মোটা মোষের ভেতর গোঁতা গুঁতি!! হাঁপাতে হাঁপাতে, কাদায় আলুথালু হয়ে, ও কোনমতে এগোতে থাকলো। পাগলা বদ্রী, মোষচালক, পাগড়িবাঁধা, বড়ো বড়ো গোঁফের তলায় মুচকি হাঁসা মুখে ওর দিকে তাকিয়ে লাঠি তুলে অভিনন্দন জানালো।

“তুমি আজ তাড়াতাড়ি বেরিয়ে পড়েছো না কল্লু? আমায় এই মোষগুলোকে স্নান করাতে একটু সাহায্য করে দিয়ে যাও না স্কুলের পথে।”

“ইয়ার্কি নাকি?”

“না না, পাঁচ টাকা দেবো। সময় আছে এখনো। তুমি আজ তাড়াতাড়িই বেরিয়ে পড়েছো।”

“হাঁ, খূঊঊব তাড়াতাড়ি এসে গেছি,” কল্লু কটমটিয়ে বললো। “এত তাড়াতাড়ি যে এখনও আজ হয়ই নি, গতকালই চলছে। আর আমি তোমার মোষকে খাইয়েও দেবো আর ওদের সাথে নেচেও নেবো অনে!”

“হে! হে!” বদ্রী হাঁসতে হাঁসতে মোষটাকে এক চাপড় লাগালো। “বেশ মজার লোক তুমি কল্লন।”

কল্লু দৌড়তে থাকলো। সারা গ্রাম আমার বিরুদ্ধে, গোমড়া মুখে ভাবলো ও, এমন কী পাগলা বদ্রীও। আমার মতো বেচারা একটাকে না ক্ষেপিয়ে বা জ্বালাতন করে শান্তি নাই ওদের? আর তার পর ও আবার ওই অজুহাত বনাম গল্পের সমস্যা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লো মনে মনে।

অম্মি'র শরীর খারাপ আর ওকে থাবার বানাতে হয়েছে? নাহ! আগে অন্তত পক্ষে দুবার এইটা চালিয়েছে-এবার আর চলবে না।

ছাগলটা পালিয়ে গিয়েছিলো? উঁহু-গত' বারও কাজে দেয় নি।

কেউ কলম চুরি করে নিয়েছে? কলমটা ত' বসে আছে ব্যাগের ভেতর।

চটি ছিঁড়ে গিয়েছিলো সারাতে হয়েছে? কোনমতেই না! এক্কেবারে নতুন জোড়া।

দামুর বাড়ির পাশ দিয়ে যেতে যেতে ও দেখলো ওর সবচাইতে ভালো বন্ধু আর তার বোন সরু উঠানে খাটের উপর বসে জলখাবার খাচ্ছে। এই যে! ওরাও তাহলে আজ লেট, মনে মনে বিজয় গুনলো কল্লু, আর ওরা এখনো খাচ্ছে, কাজেই ওরা আমার পরেই ঢুকবে, আর আশা করা যায় যে মাস্টারমশাই ওদের বকা-ঝকা করতে এত ব্যস্ত থাকবেন যে আমায় ভুলেই যাবেন।

দামু আশ্চর্য্যে চোখ টান-টান করে তাকিয়ে দেখলো। “এই কল্লু! আমার জন্য একটু দাঁড়া না বাবা!”

“কল্লুদা-পরোটা,” সরু ডাক দিলো। “কপির পরোটা!”

“সময় নাই!” কল্লু হাঁপাতে হাঁপাতে পার হলো বেদম বেগে। “স্কুলে দেখা হবে।”

“ঠিক আছে। পরে দেখা হবে তাহলে।” দামু বগল ঝাঁকিয়ে আবার খেতে লাগলো।

দামু আর সরুর কী মজা, ভাবলো কল্লু। একেবারে স্কুলের পাশে থাকে। ঘণ্টা পড়ার পরও বাড়ি থেকে বেরোতে পারে। স্কুলের গেটের কাছে পৌঁছে কল্লুর বুক ধড়ফড় করতে লাগলো। ভেবে দ্যাখো একবার কে ওখানে দাঁড়িয়ে, মুখে পান ঠুসছেন-মাস্টারমশাই!! দুর্ভাগ্যের শেষ নাই!

কল্লু সোঁ করে এসে থামলো আর এক নিশ্বাসে বলতে শুরু করলো, “দুঃক্ষিত যে আমি দেরী করে এসেছি মাস্টারমশাই, কিন্তু আজ একেবারেই আমার দোষ নেই! আমায় শব্বোকে স্নান করাতে হয়েছিলো যে। আপনি তো জানেন ও পা ভেঙ্গেছে আর...” বলতে বলতে একেবারে অদ্ভূত এক দৃশ্য দেখে ও চুপ হয়ে গেলো, পৃথিবীর সবচাইতে ভয়াবহ মানুষ, মাস্টারমশাই, হাঁসছেন!

“দাঁড়াও!” মাস্টারমশাই হাত তুললেন, আর ঢোক গিলে পানের রসে বিষম খাওয়ার থেকে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা করলেন। “আজকে আবার আমায় নতুন কাহিনী শুনাচ্ছ কেনো হে?”

“কী কাহিনী?” কল্লু জোর চেষ্টা করলো হতচকিত চেহারা বানাবার। “আমি কক্ষনো গল্প বলি না...মানে...কিন্তু...” ব্যাপার-স্যাপার কেমন যেন গুলিয়ে যাচ্ছে এখানে, কল্লুর মনে হলো। “প্রতিটি কথা একেবারে শত প্রতিশত খাঁটি মাস্টারমশাই!”

“তুমি তো প্রায় ১৫ মিনিট আগেই পৌঁছে গিয়েছো কল্লন” মাস্টারমশাইয়ের হাঁসি তখন উঁকি দিচ্ছে।

“আগে!!!?” কল্লু তটস্থ হয়ে গেলো। “মানে আগেই মানে কী বলছেন আপনি?”

মাস্টারমশাই ঘড়ির দিকে ইঙ্গিত করলেন, “দেখছো? পৌনে আটটা।”

“মুনিয়া নেই এখানে?”

“কেউ নেই এখন পর্য্যন্ত।” আর মাস্টারমশাই আবার হাঁসলেন, মুখের থেকে একটু পানের পীক ছিঁটিয়ে। “তুমি ছাড়া কেউ না!”

কল্লু ঠায় দাঁড়িয়ে রইলো, “মানে আমি আরো ঘুমাতে পারতাম? জলখাবার খাওয়ার সময় ছিলো?” নিজের মনে মাথা নাড়লো কল্লু। “বুঝেছি। সব ওই শব্বো আর মুনিয়ার কাজ। ওদের আমি মেরেই ফেলবো। এক্কেবারে শেষ। শব্বোর একঘেয়ে লাগছে বলে আমার উপর এই কৌতুক চালিয়েছে।”

“আহা, আর তুমি একটা ভালো গল্প মিছিমিছি নষ্ট করলে,” মাস্টারমশাই সহানুভূতির স্বরে বললেন। “যাই হোক, এবার ভেতরে চলেই এসো।”

“আমি শব্বোকে এর ফল খাওয়াবই,” কল্লু দাঁতে দাঁত চেপে বললো। “আমি সত্যিই এবার দেখে নেবো ওকে।”

“কী করবে তুমি?”

“আমি ওর অন্য পাটাও ভেঙ্গে দেবো!!” কটমট করে তাকিয়ে বলে উঠলো কল্লু।

* * * *

畿 Read India প্রথম বুক্স শুরু হয়। ২০০৪ সালের জাতীয় রিড ইন্ডিয়া’ অভিযানের অংশ হিসাবে। যার উদ্দেশ্য ছিল শিশুদের মধ্যে বই পড়ার উৎসাহ জাগিয়ে তােলা। প্রথম বুক্স একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান যার নিজের উদ্দেশ্য বিভিন্ন ভারতীয় ভাষায় উচ্চ স্তরের শিশুপাঠ্য বই প্রকাশ করা। “প্রতিটি শিশুর হাতে একটি বই।’ দেখতে পাওয়া ও সকল শিশুদের জন্য পড়ার আনন্দ সমানভাবে উপলব্ধ করাই আমাদের একান্ত প্ৰয়াস। যাঁরা এই প্রচেষ্টায় আমাদের সাহায্য করতে উৎসুক তীরা এই ই-মেলে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন: infoCoprathambooks.org اگر سمي সুভদ্রা সেনগুপ্ত ছোটদের জন্য অনেক छानन &श् बाष्प्नद्ध विभिी शिन(ब बष्क्ष (ब लिथ(६०ा। ७ाँव प्रबऽांश७ विश्वाएछ। ऐछनेि अवSश७ ७l(लावाI(म०ा एछाला ला(का शछिशIGाङ्क 5ाध्न लिथ(एछ। कठिक वशे उप्त **$(प्त 5द्धत ओळ घ्ट्रवि DD DBBD DBD DBDD BB D S DBBDBD BDBDBD DBD Du DBDBDBDS BBD মানুষদের নিয়েও লিখতে ভালবাসেন। বুক্স, স্কলাস্টিক, রূপা এবং অক্সফোর্ড DD DDDBD BDBD DDBD DDD DDD S DDBDB BBBDD DB DBBBBL ऊाला ऊाला थाबाबत धऊि ऊाँत्र প্রাচুৰ্য্যে দেখা যায়। पूर्वल७ा उाष्।

থতবিমাম আপনাদের স্বাগত জানাই – যে গ্রামে কালু আর তার দল প্রাম নিয়ে প্রশ্ন তোলে, কখনো উত্পীড়ক ছেলেদের সামলে উঠে দাঁড়ায় বা iDD D DDDLDBB BBLBBB BDBB BD DDBDSDB DB BDBDB BBB DB সবকিছুর অন্য তৈরী। ওদের সাথে থেকে দেখুন ওরা কেমন বড়ো হয়, বুদ্ধি গতাম, আর আলান্দে গ্রামে ঘুরে বেড়ায় নতুন কর্মের খোঁতে, আর দেখুন अवा की की पूँजी नाप। কলু আবার ইস্কুলের তল্য লেট হয়ে গোচ্ছে। ছাগলটাকে এবার কোথাম পালাতে বলেছে? কার শরীর খারাপ হলো এবার? অন্ময়ী না ওর ভাই? ওরা ভীষণ ভাবে একটা গল্পের দরকার.একটা ভালো গাল্লা..বিশ্বাস্য গল্প.ওর কাছে আছে। নাকি এমন একটা? পড়তে শেখা - ধাপে ধাপে। এই বইটি ৪ শুরের অন্তৰ্গত। পড়ার শুরু/পড়ে শোনানো OVAO GIR খুব ছােট শিশুদের জন্য - যারা সেই সব শিশুদের জন্য পড়তে শুরু করতে চায় আর যারা কিছু জানা শব্দ গল্প শুনতে ভালবাসে। চিনতে পারে। আর ailངས་ ༦ ༦: N་བ། PRAHAM|BOOKS - NA is প্রথম বুক্স একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান যা V শিশুপাঠ্য পুস্তক প্রকাশ 0. করে, যাতে শিশুরা বই PROS \S \SekIOS (SGR স্বচ্ছন্দে পাড়া ܝܠ( একটু বড় শিশুদের জন্য www.prathambooks.org যারা নিজেরাই স্বচ্ছন্দে ____________--༤ In Big Trouble Again পড়তে পারে। (Bengal) নিজে পড়া MRP: R 35.00 সেই সব শিশুদের জন্য তৈরী হয়ে উঠেছে। 7 8 9 3 5 0l2 22 եւ 25 ISBN 978-93-5022-242-3 9

এই লেখাটি ক্রিয়েটিভ কমন্স অ্যাট্রিবিউশন ৪.০ আন্তর্জাতিক লাইসেন্সের আওতায় প্রকাশ করা হয়েছে, যা বিনামূল্যে ব্যবহার, বিতরণ ও অভিযোজন করার অনুমতি দেয়, যতক্ষণ পর্যন্ত লাইসেন্সটি অপরিবর্তিত ও পরিষ্কার ভাবে বলা থাকে এবং মূল লেখককে কৃতিত্ব দেওয়া হয়।