বিষয়বস্তুতে চলুন

কারাকাহিনী

উইকিসংকলন থেকে

মহাত্মা গান্ধীর—

কারাকাহিনী

অনুবাদক— শ্রীঅনাথ নাথ বসু

হুগলী বিদ্যামন্দির

প্রকাশক—

শ্রীপ্রিয়রঞ্জন সেনগুপ্ত
বিচিত্রা প্রেস লিমিটেড

৪৯এ, মেছুয়াবাজার ষ্ট্রীট, কলিকাতা

আট আনা

প্রিণ্টার—

শ্রীক্ষীরোদ চন্দ্র সেনগুপ্ত
বিচিত্রা প্রেস লিমিটেড

৪৯এ, মেছুয়াবাজার ষ্ট্রীট, কলিকাতা


নিবেদন

 যে মনীষির চিন্তার ধারা বর্ত্তমান ভারতকে সত্য আদর্শে পরিচালিত করিতেছে, তাঁহার বিচিত্র জীবনটীকে বুঝিতে হইলে নানা দিক দিয়া বুঝিতে হয়। সেই একটী দিক তাঁহার লিখিত এই কাহিনীর মধ্যে পাওয়া যায়। জীবনের বিভিন্ন অবস্থার মধ্য দিয়া কারাজীবনের ভিতরেও কি ভাবে তাঁহার শান্ত প্রতিরোধের আদর্শ ক্রমবিকশিত হইয়াছে তাহার একটুকু ছবি এইখানে আমরা দেখিতে পাই।

 এই স্বচ্ছ সরল কাহিনী বর্ত্তমান জীবনের কয়েকটা সমস্যার কিছু সমাধান করিতে পারে মনে করিয়াই এই দীন অনুবাদটী বাঙ্গালী পাঠকের সম্মুখে আনিতে সাহস পাইয়াছি। মূল পুস্তকটী গুজরাতী ভাষায় লিখিত, পরে গান্ধিজী তাহা হিন্দীতে লেখেন। সেই হিন্দী সংস্করণ হইতেই অনুবাদ করিয়াছি। পুস্তকখানির প্রকাশক কানপুরের ‘প্রতাপ’ পত্রের সত্বাধিকারী আমাকে বাঙ্গালা ভাষায় অনুবাদ করিবার অনুমতি দিয়া উপকৃত করিয়াছেন।

 এই পুস্তকটীর জন্মের সহিত অগ্রজপ্রতিম শ্রদ্ধেয় প্রিয়রঞ্জন সেন মহাশয়ের স্নেহ ও চেষ্টা একান্ত ভাবে জড়িত। তিনি পাণ্ডুলিপি পাঠ করিয়া যেখানে সংস্কারের প্রয়োজন হইয়াছে তাহা করিয়াছেন; প্রুফ দেখার ভারও তিনিই গ্রহণ করিয়াছেন এবং তাঁহারই অর্থ ব্যয়ে পুস্তকটী মুদ্রিত হইয়াছে। তাঁহার চেষ্টা ভিন্ন এ কার্য্য আমার পক্ষে সম্ভবপর ছিল না। তাঁহাকে ধন্যবাদ দিবার সামর্থ্য আমার নাই।

 পরিশেষে, অনুবাদে মূলের সৌন্দর্য্য রক্ষা করা সম্ভব নয়, তবুও ভাব-অনুবাদের চেয়ে ভাষা-অনুবাদের দিকে দৃষ্টি অধিক রাখিতে হইয়াছে। ভাষার সরল স্বচ্ছ গতি গান্ধিজীর লেখার একটী বিশেষত্ব, সেইটী পাঠক এইখানে পাইবেন না; তবুও যদি এই অনুবাদ পাঠকের নিকট তাঁহার বক্তব্যের কিছুও প্রকাশ করিতে পারে তাহা হইলেই শ্রম সার্থক মনে করিব। ইতি

বিদ্যামন্দির
হুগলী
২৫শে অগ্রহায়ণ, ১৩২৯

বিনীত
শ্রীঅনাথ নাথ বসু

পরিচ্ছেদসমূহ (মূল গ্রন্থে নেই)

সূচীপত্র