গীতিগুঞ্জ/১৪১

উইকিসংকলন থেকে

১৪১

যতই গড়ি সাধের তরী, যতই করি আশা,
এক তুফানে ডুবায় তারে, এমন সর্বনাশা!—
সে এমন সর্বনাশা।

আবার যখন আঁধার রাতে কূলের পাই না দিশা,
হালটি আমার লয় গো কেড়ে, এমন ভালোবাসা;—
তার এমন ভালোবাসা।

সাগর-মাঝে প্রলয় নাচে হুহুংকারে ধায়;
অন্তরের অগ্নি ক্রোধে বিশ্বেরে নাচায়।
সে বিশ্বেরে নাচায়—

আবার ভোরের পুবে নিশির নভে এমন চাওয়া চায়।
তরুর ডালে শিশুর গলে এমন গাওয়া গায়—
সে এমন গাওয়া গায়।

কখনো কাঁদায়, কখনো হাসায়, কখনো যে গো মারে।
এই পাগলের লীলা বলে বুঝতে কে-বা পারে?
তারে বুঝতে কেবা পারে?


যখন থাকি ঘুমের ঘোরে আমার সকল বিভব হরে;
তবু আমার পরান পাগল ওই পাগলের তরে—
হায়, ওই পাগলের তরে।

রামায়ণী