চৈতালি
চৈতালি
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

বিশ্বভারতী গ্রন্থালয়
২ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় স্ট্রীট। কলিকাতা
প্রথম প্রকাশ : কাব্যগ্রন্থাবলী : ১৩০৩ আশ্বিন
পুনমুদ্রণ : ১৩৫১ মাঘ, ১৩৫৩ পৌষ, ১৩৫৯ আশ্বিন
শক ১৮৭৯ ভাদ্র : ১৯৪৭ সেপ্টেম্বর
প্রকাশক পুলিনবিহারী সেন
বিশ্বভারতী। ৬/৩ কানাথ ঠাকুর লেন। কলিকাতা।
মুদ্রাকর নারায়ণ ভট্টাচার্য
তাপসী প্রেস। ৩০ কর্নওআলিস স্ট্রিট । কলিকাতা ॥
নদীর প্রবাহের এক ধারে সামান্য একটা ভাঙা ডাল আটকা পড়েছিল। সেইটেতে ঘােলা জল থেকে পলি ছেঁকে নিতে লাগল। সেইখানে ক্রমে একটা দ্বীপ জমিয়ে তুললে। ভেসে-আসা নানা-কিছু অবান্তর জিনিস দল বঁধল সেখানে, শৈবাল ঘন হয়ে সেখানে ঠেকল এসে, মাছ পেল আশ্রয়, একপায়ে বক রইল দাঁড়িয়ে শিকারের লােভে; খানিকটুকু সীমানা নিয়ে একটা অভাবিত দৃশ্য জেগে উঠল— তার সঙ্গে চার দিকের বিশেষ মিল নেই। চৈতালি তেমনি এক-টুকরো কাব্য যা অপ্রত্যাশিত। স্রোত চলছিল যে রূপ নিয়ে, অল্প কিছু বাইরের জিনিসের সঞ্চয় জ’মে ক্ষণকালের জন্যে তার মধ্যে আকস্মিকের আবির্ভাব হল।
পতিসরের নাগর-নদী নিতান্তই গ্রাম্য। অল্ তার পরিসর, মন্থর তার স্রোত। তার এক তীরে দরিদ্র লােকালয়, গােয়ালঘর, ধানের মরাই, বিচালির স্তূপ; অন্য তীরে বিস্তীর্ণ ফসল-কাটা শস্যখেত ধূ ধূ করছে। কোনাে-এক গ্রীষ্মকাল এইখানে আমি বােট বেঁধে কাটিয়েছি। দুঃসহ গরম। মন দিয়ে বই পড়বার মতাে অবস্থা নয়। বােটের জানলা বন্ধ ক’রে খড়খড়ি খুলে সেই ফাঁকে দেখছি বাইরের দিকে চেয়ে। মনটা আছে ক্যামেরার চোখ নিয়ে, ছােটো ছােটো ছবির ছায়া ছাপ দিচ্ছে অন্তরে। অল্প পরিধির মধ্যে দেখছি বলেই এত স্পষ্ট করে দেখছি। সেই স্পষ্ট দেখার স্মৃতিকে ভরে রাখছিলুম নিরলংকৃত ভাষায়। অলংকার-প্রয়ােগের চেষ্টা জাগে মনে যখন প্রত্যক্ষবােধের স্পষ্টতা সম্বন্ধে সংশয় থাকে। যেটা দেখছি, মন যখন বলে এটাই যথেষ্ট, তখন তার উপরে রঙ লাগাবার ইচ্ছাই থাকে না। চৈতালির ভাষা এত সহজ হয়েছে এইজন্যেই।
এর প্রথম কয়েকটি কবিতায় পূর্বতন কাব্যের ধারা চলে এসেছে। অর্থাৎ, সেগুলি যাকে বলে লিরিক।
আমার অল্পবয়সের লেখাগুলিকে একদিন ছবি ও গান এই দুই শ্রেণীতে ভাগ করেছিলেম। তখন আমার মনে ছিল, আমার কবিতার সহজ প্রবৃত্তিই— ওই দুটি শাখায় নিজেকে প্রকাশ করা। বাইরে আমার চোখে ছবি পড়ে, অন্তরে আমি গান গাই। চৈতালিতে অনেক কবিতা দেখতে পাই যাতে গানের বেদনা আছে, কিন্তু গানের রূপ নেই। কেননা, তখন যে আঙ্গিকে আমার লেখনীকে পেয়ে বসেছিল তাতে গানের রস যদি-বা নামে, গানের সুর জায়গা পায় না।
সূচীপত্র | ||
১৫ | ||
১৭ | ||
১৯ | ||
২১ | ||
২৩ | ||
২৪ | ||
২৫ | ||
২৬ | ||
২৭ | ||
২৯ | ||
৩০ | ||
৩১ | ||
৩২ | ||
৩৩ | ||
৩৪ | ||
৩৫ | ||
৩৬ | ||
৩৭ | ||
৩৮ | ||
৩৯ | ||
৪০ | ||
৪১ | ||
৪২ | ||
৪৩ | ||
৪৪ | ||
৪৫ | ||
৪৬ | ||
৪৭ | ||
৪৮ | ||
৪৯ | ||
৫০ | ||
৫১ | ||
৫২ | ||
৫৩ | ||
৫৪ | ||
৫৫ | ||
৫৭ | ||
৫৮ | ||
৫৯ | ||
৬০ | ||
৬১ | ||
৬২ | ||
৬৩ | ||
৬৪ | ||
৬৫ | ||
৬৬ | ||
৬৭ | ||
৬৮ | ||
৬৯ | ||
৭০ | ||
৭১ | ||
৭২ | ||
৭৫ | ||
৭৬ | ||
৭৭ | ||
৭৮ | ||
৭৯ | ||
৮০ | ||
৮১ | ||
৮২ | ||
৮৩ | ||
৮৪ | ||
৮৫ | ||
৮৬ | ||
৮৭ | ||
৮৮ | ||
৮৯ | ||
৯০ | ||
৯১ | ||
৯২ | ||
৯৩ | ||
৯৪ | ||
৯৫ | ||
৯৬ | ||
৯৭ | ||
৯৮ | ||
১০০ | ||
১০১ | ||
১০২ | ||
১০৩ |
প্রথম ছত্রের সূচী
৫। 09 ৫৪ ০ C c 28 ০ ৭৭ ০ ১৭ ৫ ৫ ৩২ ৩ . ৮৮ অ মােহব তব দাও মুক্ত করি অপরাঃে ধূচ্ছিন্ন নগরীর পথে অয়ি তথী ইছামতী, তব তীরে তীরে আজি কোন্ ধন হতে বিশে আমারে আজি তুমি কবি শুধু, নই আর কেহ আতি বর্ষশেষদিনে শুরুমহাশয় আজি মােৰ প্ৰাক্ষাবনে আরেক দিনের কথা পড়ি গেল মনে একদিন এই দেখা হয়ে যাবে শেষ একদিন দেখিলাম, উলঙ্গ সে ছেলে ওরে যাত্রী, যেতে হবে বহুদূরদেশে কহিল গভীর রায়ে সংসারে বিগ কারে দিব দোষ বন্ধু, কারে দিব দােষ কাল আমি তরী খুলি লোকালয় মাঝে কাল রাতে দেখি স্বপন কে তুমি ফিরিছ পরি প্রভুদের সাজ কে রে তুই, ওরে স্বার্থ, তুই কতটুক কূদ এই তৃণদল ব্রহ্মাণ্ডের মাঝে খেয়ানৌকা পারাপার করে নদীস্রোতে চলিয়াছি রণক্ষেত্রে সংগ্রামের পথে চলে গেছে মাের বীণাপাণি চলেছে তরণী মাের শান্ত বায়ুভরে ০ ২৬ ৫
০ ২১ ৬১ ও ও i ৫ ৩৩ ৩ ০ ৫ ৮১ a ০ 89 ০ ০ bo o ৭১ . ১৭ ০ ৬৭ ৭২ ০ ৩ ০ ৩১ o ৮৭ ৩ ২৪ চৈত্রের মধ্যাহ্নবেলা কাটিতে না চাহে ছােটো কথা, ছটো গীত, আজি মনে আসে ‘জননী জননী’ বলে ডাকি তােরে ভাসে অনলছি তােমার মাঝে ক্ষণিকের তরে তবু কি ছিল না তব সুখদুঃখ যত তুমি এ মনের সৃষ্টি, তাই মনােমাঝে তুমি পড়িতেছ হেসে তুমি যদি বক্ষোঝে থাক নিরবধি দাও ফিরে সে অরণ্য, লও এ নগর দিকে দিকে দেখা যায় বিদর্ভ, বিরাট দুর স্বর্গে বাজে যেন নীরব ভৈরবী দেবমন্দির-মাঝে ভকত প্রবীণ নদীতীরে মাটি কাটে সাজাইতে পাজা নিবিড়তিমির নিশা, অসীম কান্তার নিমেষে টুটিয়া গেল সে মহাপ্রতাপ নির্মল তরুণ উষা, শীতল সমীর নির্মল প্রত্যুষে আজি যত ছিল পাখি পরম আত্মীয় ব'লে যারে মনে মানি পরান কহিছে ধীরে- হে মৃত্যু মধুর পুণ্যে পাপে দুঃখে মুখে পতনে উখানে বয়স বিংশতি হবে, শীর্ণ তনু তার বাতায়নে বসি ওরে হেরি প্রতিদিন বৃথা চেষ্টা রাখি সাও। স্তব্ধ নীরবতা বেলা বিপ্রহর ০ ৪২ O ৪৬ O ৪১ ৩ ৩ ৭৬ ০ ৪৫ ০ bo ০ ৩ ০ 88 ৭১ ২৭ ১০ ১•১ ৩৪ Cb ০ ১৬ • • ৩ o ৩ ০ ৭০ ০ ব্যােক্ষত মাের প্রাণ নয়ে তব ঘরে ভৃত্যের না পাই দেখা প্রাতে মনশ্চকে হেরি ধবে ভারত প্রাচীন মাঝে মাঝে মনে হয়, শতকধারে মানসকৈলাসক্ষে নির্জন ভুবনে মূঢ় পত ভাষাহীন নির্বাহৃদয় যখন শুনালে কবি, দেবদম্পতির যত ভালােবাসি, ধত হেৰি বড়াে ক'রে যদিও বসন্ত গেছে তবু বারে বারে যার খুশি কুচক্ষে করে বসি ধ্যান যাহা-কিছু বলি আজি সব বৃথা হয় যে নদী হয়ে যেত চলিতে না পারে যেন তার আঁখিটি ননীল =াসে শতবার ধিক আঙ্গি আমারে সুন্দরী শুধু বিধাতার সৃষ্টি নহ তুমি নারী শুনিয়াছি নিম্নে তব হে বিশ্বপাথার শুনেছি, পুরাকালে মানবীর প্রেমে শ্যামল সুন্দর সৌম্য হে অৰণ্যভূমি সকল আকাশ, সকল বাতাস সতীলােকে বসি আছে কত পতিতা সন্ধ্যাবেলা লাঠি কাধে, বােক বহি শিরে সরল সরস মি তরুণ হৃদয় সাধু যবে স্বর্গে গেল, চিত্রগুপে ডাকি সারাদিন কাটাইয়া সিংহাসন-'পরে ০ ৬৮ O o ৬৪ Sb ৩ ৩ ৫ ৫২ ০ ৩০ ০ ৮১ ০ ২৫ ৫ ৩৫ ৮৪ ০ ০ ৪০ ৩ ৪ ০ ০ ১০৩ সে ছিল আরেক দিন এই তরী-'পরে স্তব্ধ হল দশ দিক নত করি আঁখি হৃদয় পাষাণভেদী নিৰ্ব্বরের প্রায় হে কবীন্দ্র কালিদাস, কল্পকুঞ্জবনে হে তটিনী, সে নগরে নাই কলম্বন হেথায় তাহারে পাই কাছে হে পদ্মা আমার হে প্রেয়সী, হে শ্রেয়সী, হে বীণাবাদিনী হে বন্ধু, প্রসন্ন হও, দূর করে ক্রোধ হেসাে না, হেসাে না তুমি বুদ্ধি-অভিমানী ৩ ২৯ ০ ০ ১২ ৩ ৮৯ ০ ৪৯ ১২ 2

এই লেখাটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাবলিক ডোমেইনের অন্তর্গত কারণ এই লেখাটি ১লা জানুয়ারি ১৯২৮ সালের আগে প্রকাশিত। এই লেখাটি আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে কপিরাইটেড হতে পারে। (বিস্তারিত জানার জন্য এই সাহায্য পাতা দেখুন)।


এই লেখাটি বর্তমানে পাবলিক ডোমেইনের আওতাভুক্ত কারণ এটির উৎসস্থল ভারত এবং ভারতীয় কপিরাইট আইন, ১৯৫৭ অনুসারে এর কপিরাইট মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। লেখকের মৃত্যুর ৬০ বছর পর (স্বনামে ও জীবদ্দশায় প্রকাশিত) বা প্রথম প্রকাশের ৬০ বছর পর (বেনামে বা ছদ্মনামে এবং মরণোত্তর প্রকাশিত) পঞ্জিকাবর্ষের সূচনা থেকে তাঁর সকল রচনার কপিরাইটের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যায়। অর্থাৎ ২০২৩ সালে, ১ জানুয়ারি ১৯৬৩ সালের পূর্বে প্রকাশিত (বা পূর্বে মৃত লেখকের) সকল রচনা পাবলিক ডোমেইনের আওতাভুক্ত হবে।
