জীবনী কোষ/ভারতীয়-পৌরাণিক/দ্বাদশআদিত্য

উইকিসংকলন থেকে
পরিভ্রমণে চলুন অনুসন্ধানে চলুন


দ্বাদশআদিত্য

(১) ধাতা, অর্য্যমা, মিত্র, বরুণ, ইন্দ্র, বিবস্বান্, পূষা, পর্জ্জন্য, অংশ, ভগ, ত্বষ্টা ও বিষ্ণু ইঁহারা দ্বাদশআদিত্য। লি-পু-৫৫-৬৩।

(২) ধাতা, অর্য্যমা, মিত্র, বরুণ, শক্র, বিবস্বান্, পূষা, সবিতা, অংশ, ভগ, ত্বষ্টা ও বিষ্ণু ইঁহারা দ্বাদশআদিত্য। বিষ্ণু-১ম-১৫। বাম-২। (সূর্য্য (২৩) ও (৩৩) দেখ)। তাঁহারা কশ্যপ পত্নী অদিতির পুত্র বলিয়া আদিত্য নামে খ্যাত।

(৩) কাশীতে লোলার্ক, উত্তরার্ক, সাম্বাদিত্য, দৌপদাদিত্য, ময়ূখাদিত্য, অরুণাদিত্য, খখোল্বাদিত্য, বৃদ্ধাদিত্য, কেশবাদিত্য, বিমলাদিত্য, গঙ্গাদিত্য ও যমাদিত্য এই দ্বাদশআদিত্য, বর্ত্তমান থাকিয়া সর্ব্বদা কাশীকে রক্ষা করিতেছেন। স্কন্দ-কাশী-পূ ৪৬। (মিত্র দেখ)।

হইয়া তাঁহাকে “রায়” উপাধি প্রদান পূর্ব্বক তাঁহাকে শ্রীহট্টের কাননগু ও দস্তিদার পদে নিযুক্ত করেন। কবিবল্লভের সুবিদ রায় ও শ্যাম দাস রায় নামে দুই পুত্র জন্মে। তন্মধ্যে সুবিদ রায় পিতৃপদ প্রাপ্ত হন। সুবিদ রায়ের পুত্র সম্পদ রায়, সম্পদ রায়ের পুত্র যাদব রায়। ইহাঁরা উভয়েই শ্রীহট্টের কাননগু ও দস্তিদার ছিলেন। নিঃসন্তান যাদব রায়ের পরে, শ্যাম দাস রায়ের পৌত্র, লক্ষ্মী নারায়ের পুত্র হরকৃষ্ণ রায় শ্রীহট্টের শাসনকর্ত্তা হইয়াছিলেন। হরকৃষ্ণ রায়ের কৃষ্ণ রায় নামে এক জ্যেষ্ঠ সহোদরও ছিলেন।

কবিরত্ন সরস্বতী—তাঁহার পিতা চক্রপাণি কায়স্থ এবং আসামের কামরূপের রাজা দুর্লভ নারায়ণের একজন রাজস্ব আদায়কারী ছিলেন। কবিরঞ্জন সরস্বতী তাঁহার পুত্র রাজ ইন্দ্রনারায়ণের সমসাময়িক ছিলেন। তিনি আসামী ভাষায় ‘জয়দ্রথ বধ’ কাব্য রচনা করেন।

কবিরাজ—একজন অসমীয়া কবি। তিনি জয়ন্তিয়া-রাজ কামদেবের সভাপণ্ডিত ছিলেন। তৎরচিত গ্রন্থের নাম ‘রাঘব পাণ্ডবীয়’। তিনি খ্রীঃ একাদশ শতাব্দীতে বর্ত্তমান ছিলেন।

কবিরাজ চক্রবর্ত্তী—তিনি আসামের অন্তর্গত কামরূপের অধিবাসী। তাঁহার রচিত জ্যোতীষ সম্বন্ধীয় ‘ভাস্বতী’ নামে একখানা গ্রন্থ আছে।


কবিশূর—রাঢ়দেশের একজন রাজা। তিনি খুব সম্ভব খ্রীঃ সপ্তম শতাব্দীর শেষভাগে দক্ষিণাঞ্চল হইতে আসিয়া রাঢ়দেশে একটি রাজ্য স্থাপন করেন। কবিশূরের পুত্র মাধবশূর। তৎপুত্র আদিশূর। (ইনি বাঙ্গালার অন্যতম প্রসিদ্ধ নরপতি আদিশূর নহেন।) এই গ্রন্থের শ্লোক সমূহ দ্ব্যর্থ বোধক। এক অর্থে রাঘববংশীয়দিগের এবং অপর অর্থে পাণ্ডবদিগের গৌরব গৃহীত হয়।

কবীন্দ্র—‘গোরক্ষবিজয়’ অথবা ‘মীনকেতন’ নামক গ্রন্থের রচয়িতা একজন কবি। গোরক্ষনাথের মাহাত্ম্য প্রচার জন্যই উক্ত গ্রন্থ রচিত হয়। গোরক্ষনাথ দেখ।

কবীর—মধ্যযুগে মুসলমান রাজত্বের সময়ে ভারতে অনেক ধর্ম্ম-সংস্কারক জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন। তাঁহাদের মধ্যে রামনন্দের শিষ্য কবীর একজন প্রধান। তাঁহার পরবর্ত্তী ধর্ম্ম সংস্কারকদের উপরও তাঁহার প্রভাব বহুল পরিমাণে বিস্তার লাভ করিয়াছিল। কবীর ১৩৯৮ খ্রীঃ অব্দে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৫১৮ সালে (মতান্তরে ১৪৫০) পরলোক গমন করেন। তিনি মুসলমানজাতীয় জোলার (তাঁতির) ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁহার পিতার নাম নীরু ও মাতার নাম নীমা ছিল। মুসলমান আমলে অনেক হিন্দু তাঁতি মুসলমান হইয়া