নেপালে বঙ্গনারী/নেপালের পূজা, পার্ব্বণ ও জাতীয় উৎসব

উইকিসংকলন থেকে

নেপালের পূজা পার্ব্বণ ও জাতীয় উৎসব

 বাঙ্গালা দেশে আমরা বারমাসে তের পার্ব্বণ দেখিয়া আসিতেছি, এখানে ১২ মাসের পূজা পার্ব্বণের সংখ্যা করিয়া উঠাই এক কঠিন ব্যাপার। কি গুর্খা, কি নেওয়ার, নেপালীদিগের ভিতর চির উৎসব চলিয়াছে। এত পূজা পার্ব্বন, আমোদ আহ্লাদ করিয়া কখন যে তাহারা জীবিকা উপার্জ্জনের অবসর পায় তাহাই ত এক সমস্যা। গুর্খাগণ হিন্দু, নেওয়ারগণ পূর্ব্বে বৌদ্ধ ছিল। এই উভয় সম্প্রদায়ের উৎসব এখন নেপালের জাতীয় উৎসব হইয়া দাঁড়াইয়াছে। এই কারণেই নেপালে পূজা পার্ব্বণের এত বাহুল্য দেখা যায়। বৌদ্ধদিগের দেবমন্দির হিন্দুদিগেরও দেবমন্দির হইয়া দাঁড়াইয়াছে। বৌদ্ধদিগের উৎসব হিন্দুদিগেরও উৎসব হইয়া দাঁড়াইয়াছে। বিজয়াদশমী, হিন্দুর উৎসব হইলেও নেপালের আপামর সাধারণের তাহাই এখন প্রধান জাতীয় উৎসব।

 ১। ১লা বৈশাখ হইতে নেপালীদিগের উৎসব আরম্ভ। সেই দিন ভোগমতিগ্রামে নেপালের অধিষ্ঠাত্রী দেবতা মৎসেন্দ্রনাথের অভিষেকক্রিয়া সম্পন্ন হয় এবং রাজার তরবারি তাঁহাকে দেওয়া হয়। অভিষেকক্রিয়া সম্পন্ন হইলে উচ্চ বিচিত্র বর্ণের পতাকাশোভিত কাঠের রথে বসাইয়া তাঁহাকে পাটনে আনা হয়। আসিবার সময় পথে বিস্তর জনসমাগম হয় এবং পথে এক একদিন এক একস্থানে মৎসেন্দ্রনাথের অবস্থিতি হয়। সেই দিন সেই স্থানের লোকেরা মৎসেন্দ্রনাথের সেবকদিগের সেবা করেন। এই প্রকারে প্রায় ৭ দিন ধরিয়া মৎসেন্দ্রনাথের যাত্রাকার্যয় সম্পন্ন হয়। পাটনে এক মাস অবস্থিতি করিয়া পুনরায় শুভদিন দেখিয়া মৎসেন্দ্রনাথ ভোগমতিতে প্রত্যাবর্ত্তন করেন। এই মহেন্দ্রনাথের যাত্রা বৌদ্ধ নেওয়ারদিগের উৎসব। এখন ইহাতে সর্ব্বসাধারণে যোগ দিয়া থাকে।

 ২। ৩রা বৈশাখ হইতে ব্রজযোগিনী যাত্রা আরম্ভ হয়। কাটমণ্ডুর সন্নিকটে মুনিচর পর্ব্বতে এই ব্রজযোগিনী দেবীর মন্দির অবস্থিত। প্রায় এক সপ্তাহ ধরিয়া এই উৎসব সম্পন্ন হইয়া থাকে। দেবীকে এই সময় ক্ষুদ্র কাষ্ঠমন্দিরে স্থাপন করিয়া সকলে তাহাকে স্কন্ধে করিয়া সহর প্রদক্ষিণ করিয়া থাকে। ইহাও নেওয়ারদিগের উৎসব।

 ২১শে জ্যৈষ্ঠ সিবি যাত্রা—এই দিবসে কাটমণ্ডু সহরের পশ্চিমাংশে বিষ্ণুমতী নদীর তীরে বালকেরা দুই ভাগে বিভক্ত হইয়া নদীর উভয় পারে থাকিয়া পরস্পরকে প্রস্তরখণ্ড মারিতে থাকে। পূর্ব্বে এই পর্ব্বোপলক্ষে জীবননাশ, অঙ্গহানি পর্য্যন্ত ঘটিত। একবার ইংরাজ-রেসিডেণ্ট এই উৎসব দেখিতে আসিয়া দৈবাৎ গুরুতর আহত হন। তখন হইতে জঙ্গ বাহাদুর ইহাকে সংযত করিয়া এখন বালকদিগের ক্রীড়ামাত্রে পরিণত করিয়াছেন। এখন গুরুতর দুর্ঘটনা প্রায় ঘটে না।

 ৪। ঘাটে মঙ্গল—১৪ই শ্রাবণ নেপালের বালকগণ ঘাটাসুরের কুশপুত্তলিকা নির্ম্মাণ করিয়া তাহাকে বাজারে প্রদক্ষিণ করে। সকলে পড়িয়া তাহাকে উত্তমরূপ প্রহার করে এবং সকলের নিকট ধান্য ভিক্ষা করে। সন্ধ্যার পর মহাসমারোহে উক্ত অসুরের দাহকার্য্য সমাধা হয়। এই প্রকারে দেশ হইতে ঘাটাসুরের বিদূরণ ব্যাপার সমাধা হয়। ইহা বালকদিগেরই উৎসব।

 ৫। বাঁহরাযাত্রা—ইহা একেবারে নেওয়ারদিগের উৎসব এবং নেওয়ারগণ কর্ত্তৃক বৎসরে দুইবার সম্পন্ন হইয়া থাকে; যথা—৮ই শ্রাবণ এবং ১৩ই ভাদ্র। বৌদ্ধমার্গী নেওয়ারদিগের মধ্যে পুরোহিত অর্থাৎ ভিক্ষুক সম্প্রদায় বর্ত্তমান সময়ে বাঁহরা নামে অভিহিত হইয়া থাকে। এখন বৌদ্ধধর্ম্মের দুর্গতির আর বাকী কিছু নাই। ভিক্ষুদিগের ভিক্ষাব্রত আর নাই। কিন্তু এই দুই দিবস তাহাদিগের পূর্ব্বব্রত স্মরণের দিন। এই দুই বিশেষ দিনে নেওয়ারগণ তাহাদিগের গৃহ বিপণি উত্তম রূপে সজ্জিত করে। নারীগণ গৃহদ্বারে ভাণ্ডপূর্ণ চাউল লইয়া বসিয়া থাকে। বাঁহরাগণ পূর্ব্বপুরুষদিগের ভিক্ষাব্রত স্মরণ করিয়া দ্বারে দ্বারে ভিক্ষার্থ উপস্থিত হয়। নারীগণ সকলকে ভিক্ষা দিয়া কৃতার্থ হয়। নেওয়ারগণ সময়ে সময়ে এই উৎসবে রাজাকে নিমন্ত্রণ করিয়া তাঁহাকে রৌপ্যময় সিংহাসন সুবর্ণ-ছত্র প্রভৃতি উপহার দিয়া থাকে। বর্ত্তমান সময়ে বৌদ্ধ নেওয়ারদিগের ইহা এক মহা উৎসব।

 ৬। রাখীপূর্ণিমা——শ্রাবণের সংক্রান্তিতে এখানে রাখিপূর্ণিমার উৎসব হয়। এই উৎসবে হিন্দু বৌদ্ধ সকলেই যোগ দিয়া থাকেন। বৌদ্ধগণ এই দিবসে নদীতে স্নান এবং দেবতা দর্শন করেন। ব্রাহ্মণগণ সকলের হস্তে রাখী বন্ধন করে। এবং প্রতি দানে বিস্তর দক্ষিণা লাভ করে। অনেকে এই সময়ে গোঁসাইথান নামক হিমালয়ের উন্নত শিখরে ভ্রমণ করে।

 ৭। নাগপঞ্চমী—৫ই শ্রাবণ নাগপঞ্চমীর পূজা সম্পন্ন হয়। এই দিবস নাগযুদ্ধে গরুড় জয়লাভ করিয়াছিল। পাটনে চন্দ্রনারায়ণ নামে গরুড়ের যে প্রস্তর মূর্ত্তি আছে এই দিবসে তাহা ঘর্ম্মাক্ত হয়। পুরোহিতগণ একখণ্ড কাপড়ে সেই ঘর্ম্ম মুছিয়া রাজার নিকট প্রেরণ করে। লোকের বিশ্বাস সর্পাঘাতগ্রস্ত রোগীকে এই কাপড়ের একটী সূতা জলে ডুবাইয়া পান করাইলে সর্পবিষ স্খালিত হয়।

 ৮। জন্মাষ্টমী—ভাদ্রমাসে শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিনে এই উৎসব হইয়া থাকে। জনসাধারণ এই দিবসে আপন আপন গৃহ সুসজ্জিত করে।

 ৯। গাইযাত্রা-ভাদ্রমাসের প্রথম দিবসে এই পার্ব্বণ হয়। ইহা নেওয়ারদিগের মধ্যেই প্রচলিত। বৎসরের মধ্যে যাহাদিগের গৃহে কাহারও মৃত্যু হইয়াছে তাহারাই এই পার্ব্বণে যোগ দিয়া থাকে। এই দিবসে কোন ব্যক্তিকে সেই মৃত ব্যক্তির ন্যায় সজ্জিত করিয়া তাহাকে চতুষ্পদ বিশিষ্ট করিয়া রাজার বাড়ীতে লইয়া নৃত্য করে। ইহা এক অপূর্ব্ব উৎসব। স্বয়ং মহারাণীর মৃত্যু হইলেও তাঁহার এক গাভীমূর্ত্তি এই দিবসে করা হয়। এই মূর্ত্তিকে রাজ্ঞীর ন্যায় সুসজ্জিত করিয়া চতুষ্পদবিশিষ্ট করে।

 ১০। বাঘযাত্রা—ইহাও ভাদ্রমাসে হইয়া থাকে। ব্যাঘ্রমূর্ত্তি গ্রহণ করিয়া লোকের বাড়ী বাড়ী নৃত্য করিয়া আমোদ করিয়া বেড়ায়।

 ১১। ইন্দ্রযাত্রা—২৬শে ভাদ্র নেওয়ারদিগের মধ্যে এই মহোৎসব সম্পন্ন হইয়া থাকে। এই দিবসে একটী উচ্চ কাঠের স্তম্ভ রাজার বাটীর সম্মুখে রোপণ করা হয়। তখন সকলে নানাপ্রকার মুখোস পরিয়া ইহার চারিদিকে নৃত্য করে। তৃতীয় দিবসে কয়েকটী কুমারীকে রাজার সম্মুখে আনিয়া পূজা করা হয়। কুমারীগণ পূজিত হইলে তাহাদিগকে রথে বসাইয়া সহর প্রদক্ষিণ করা হয়। সহর প্রদক্ষিণানন্তর রাজবাটীর সম্মুখে রথ উপনীত হইলে রাজার গদি কুমারীদিগের সম্মুখে বিস্তৃত করা হয়। কখন কখন রাজ তদুপরি স্বয়ং উপবেশন করেন। রাজার অবর্ত্তমানে তাঁহার তরবারি তদুপরি রক্ষিত হয়। ইন্দ্রযাত্রা নেওয়ারদিগের চিরস্মরণীয় হইয়া আছে। এই দিবস পৃথ্বীনারায়ণ গুপ্তভাবে কাঠমণ্ডু সহরে কতিপয় সহচর সমভিব্যাহারে প্রবেশ করিয়াছিলেন। নেওয়ারগণ এই উৎসবে এত মত্ত ছিল যে, তাহারা কিছুই জানিতে পারে নাই। কুমারীগণ সহর প্রদক্ষিণ করিয়া রাজবাটীর সম্মুখে উপস্থিত হইলে যখন রাজার গদি বিস্তৃত হইল, তখন পৃথ্বীনারায়ণ স্বয়ং তাহাতে উপবেশন করিয়া আপনাকে রাজা বলিয়া ঘোষণা করিলেন।

 ১২। দশমী বা দুর্গোৎসব- বঙ্গদেশে যেমন দুর্গোৎসব হইয়া থাকে সেরূপ এখানেও হইয়া থাকে। বর্ত্তমান সময়ে ইহাই নেপালের জাতীয় উৎসব। নেপালের সমুদায় জনসাধারণ মনপ্রাণের সহিত এই উৎসব-কার্য্যে যোগ দিয়া থাকে। বঙ্গদেশের ন্যায় এখানে দেবীর প্রতিমা নির্ম্মিত হয় না। সপ্তমীর দিনে সমুদয় সৈন্য ব্যূহাকারে টুনিখেলে সজ্জিত হয়। স্বয়ং রাজা, মন্ত্রী ও সমুদায় গণ্য মান্য ব্যক্তি উপস্থিত হন। রাণী-পখরীর মন্দিরে যেমন নারীগণ ঘটস্থাপন করেন অমনি দিগ্‌দিগন্ত কম্পিত করিয়া ভীমগর্জ্জনে সমুদায় বন্দুক, কামান ধ্বনিত হইয়া উঠে এবং দশমীর উৎসব আরম্ভ হয়। দরিদ্র ধনী সকলের গৃহে গৃহে ছাগ মহিষ বলি দেওয়া হয়। নেপালে দশমীর উৎসবের এই প্রধান অঙ্গ। এই সময়ে গৃহে গৃহে পথে হাটে ঘাটে সর্ব্বত্রই বলি, সর্ব্বত্রই রুধিরোৎসব; স্বয়ং রাজা মহারাজা প্রভৃতি স্বহস্তে বলি দিয়া থাকেন। অষ্টমী ও নবমীতে সহস্র সহস্র ছাগ এবং মহিষ দেবোদ্দেশে উৎসর্গীকৃত হয়। এই সকল পশু অধিকাংশই বহুদিন পূর্ব্ব হইতে ভারতবর্ষ হইতে সংগৃহীত হয়। দশমীর দিন উৎসবের অবসান। সেই দিন সকলে নববস্ত্র পরিধান করিয়া আত্মীয় স্বজনের গৃহে সমাগত হয় এবং গৃহস্বামী সকলের কপালে টীকা দেন। সেই দিন রাজকর্ম্মচারিগণ রাজগৃহে সমাগত হয়, তাঁহাকে অর্থ দিয়া দর্শন করে এবং তিনি সকলের কপালে টীকা দিয়া আপ্যায়িত করেন।

 ৩। বঙ্গদেশের ন্যায় এখানেও শ্যামাপূজার সময় গৃহসকল আলোকমালায় সজ্জিত হয়; কিন্তু শ্যামা পূজা হয় না, লোকে লক্ষ্মী পূজা করে এবং সমস্ত রাত্রি জুয়া খেলে। এই সময় তিনদিন নেপালীগণ উন্মত্তের ন্যায় পথে ঘাটে জুয়া খেলিয়া বেড়ায়।

 ১৪। ১৬ই কার্ত্তিক নেপালীদিগের কুকুরপূজার দিন। সে দিন পথে ঘাটে দেখি কুকুরের গলায় মাল্য, কপালে টীকা। ৩৬৪ দিন তাহারা সর্ব্বত্র প্রহারদ্বারা অভ্যর্থিত হয়; কিন্তু এই একটী দিবস তাহারা সমাদর, আহার, পূজা সকলই লাভ করে। বোধ হয় “অহিংসা পরমোধর্ম্মবাদী” বৌদ্ধগণ জীবগণের প্রতি প্রীতির নিদর্শনস্বরূপ এই উৎসবের প্রবর্ত্তন করিয়াছিলেন।

 ১৫। ভাইপূজা—আমাদের দেশে যেদিন ভগিনীগণ ভাইএর কপালে ফোঁটা দেন সেই দিনই নেপালী-সুন্দরীগণ ভাইপূজায় প্রবৃত্ত হন। ইহা রীতিমত ভাইপূজার ব্যাপার—জ্যেষ্ঠা ভগিনী কনিষ্ঠ ভ্রাতাকেও এই দিবস পূজা করেন এবং নানাবিধ মিষ্টান্ন আহার করাইয়া পরিতৃপ্ত করেন।

 ১৬। বালচতুর্দ্দশী—এই দিবসে বানরদিগের উৎসব। পশুপতিনাথের নিকটস্থ মৃগস্থলী নামক বনে গিয়া সকলে চাউল প্রভৃতি খাদ্য দ্রব্য চতুর্দ্দিকে নিক্ষেপ করে। বানরেরা আসিয়া আনন্দে আহার করে।

 ১৭। কার্ত্তিক পূর্ণিমা-—এই দিবস নেপালের সধবা সুন্দরীগণ উপবাস করেন এবং সকলে পশুপতিনাথ দর্শন করিতে আসেন। পরদিন প্রাতে স্বামীর চরণ পূজা করিয়া জলগ্রহণ করেন। ইহার অপর নাম তীজব্রত।

 ১৮। শণেশ চৌথ—৪ঠা মাঘ উপবাসান্তে সকলে উত্তম আহার করিয়া থাকে।

 ১৯। বসন্ত শ্রীপঞ্চমীর উৎসব।

 ২০। মাঘীপূর্ণিমা—যাঁহারা সমুদায় মাঘমাস বাঘমতীর জলে অবগাহন করিয়া স্নান করেন, তাঁহাদিগকে সংক্রান্তির দিন ডুলিতে করিয়া দেব মন্দিরে লইয়া যাওয়া হয় এবং তাঁহাদের বক্ষে, হস্তে, চরণে প্রজ্বলিত প্রদীপ দেওয়া হয়। নেপালের দুরন্ত শীতে বাঘমতীর হিম জলে অবগাহন বড় সহজ ব্যাপার নহে।

 ২১। হোলি বা বসন্ত উৎসব—ফাল্গুনের সংক্রান্তির দিনে রাজবাটীর সম্মুখে একটা কাষ্ঠের স্তম্ভে নানাবিধ পতাকা প্রোথিত করিয়া রাখা হয়। নেপালে হোলি রাজবাটীরই উৎসব। সকলে শুভ্র বসন পরিধান করিয়া রাজবাটীতে গমন করেন। সেখানে সকলে সকলকে ফাগ দিয়া রঞ্জিত করে। স্বয়ং রাজাধিরাজ মন্ত্রী প্রভৃতির সহিত মহোৎসাহে ফাগ খেলা করেন। সাধারণ লোকে ফাগ খেলা করে না। রাজবাটীতেই ফাগখেলার স্থান।

 ২২। ১৫ই চৈত্র ঘোড়াযাত্রা—এই দিবস রাজা মন্ত্রী ও প্রধান প্রধান রাজকর্ম্মচারীগণ টুনিখেলে সমবেত হন এবং তাঁহাদের সম্মুখে ঘোড়দৌড় হয় এবং নানাবিং ব্যায়াম কৌশল প্রদর্শিত হয়। ঘোড়াযাত্রার পর নেপালীগণ দুই দিন জুয়া খেলায় মত্ত হয়। এই সময়ও দীপান্বিতা ভিন্ন অন্য সময় জুয়া খেলিলে দণ্ডার্হ হইতে হয়।