পত্রাবলী (১৯১২-১৯৩২)/১১৪

উইকিসংকলন থেকে

যতীন্দ্রমােহন সেনগুপ্তকে লিখিত

১১৪
রেঙ্গুন সেণ্ট্রাল জেল
২৩. ৩. ২৭
(ঠিকানা:—কেয়ার অব ডি, আই, জি
আই, বি, সি, আই, ডি
১৩, এলিসিয়াম রো
কলিকাতা)
 শ্রীযুক্ত জে এম সেনগুপ্ত

 বি-এ, এল-এল-বি (ক্যাণ্টাব),
 এম-এল-সি
 মেয়র, কলিকাতা কর্পোরেশন

 ১০।৪, এলগিন রােড, কলিকাতা

সবিনয় নিবেদন,

 আপনার অবগতির জন্য লিখিতেছি যে, ২১শে মার্চ্চ সোমবার রেঙ্গুনের আই জি অব প্রিজন্‌স্-এর নিকট আপনাকে লিখিত নিম্নলিখিত তারটি পাঠাইয়াছিলাম। উহা সরাসরি অথবা কলিকাতায় সি, আই, ডি মারফৎ আপনার নিকট পৌঁছিবার কথা। আশা করি, এতদিনে উহা আপনি পাইয়াছেন।

টেলিগ্রাম

 কলিকাতার মেয়র সেনগুপ্ত।

 সুপারিণ্টেণ্ডেণ্টের অসৌজন্যমূলক আচরণের দরুন আমাকে রেঙ্গুন জেল হইতে সত্বর বদলি করিবার জন্য অনুগ্রহপূর্ব্বক বাংলা সরকারকে বলিবেন। যদি প্রয়ােজন মনে করেন দিল্লীতেও তার করিবেন।

—বসু। চীফ এক্সিকিউটিভ অফিসার

 এখানে জেলে আমার প্রতি যেরূপ আচরণ করা হইয়াছে উহা জানাইয়া আমি মহামান্য বর্ম্মার গভর্নরকেও দুইটি পত্র দিয়াছি। আপনাকে লিখিবার উদ্দেশ্য এই যে যদি বর্ম্মা সরকার বাঙ্গলা সরকারের নির্দ্দেশ ব্যতীত কিছু করিতে অসমর্থ হন তবে আপনি মিঃ মোবার্লীর সহিত সাক্ষাতে অথবা পত্র লিখিয়া এ সম্বন্ধে আলাপ করিতে পারেন। এখানে আর এক মুহূর্ত্ত থাকা অপেক্ষা আমি ইনসিন অথবা মান্দালয়—অন্য কোনও জেলে যাইতে রাজী আছি।

 আমার মুক্তির সর্ত্ত সম্বন্ধে ২১শে মার্চ্চ তারিখে বঙ্গীয় আইন সভায় প্রদত্ত মিঃ মোবার্লীর বিবৃতি রেঙ্গুনের পত্রিকাগুলিতে বাহির হইয়াছে। উহা আমি পড়িয়াছি।

 এখানকার জেল কর্ত্তৃপক্ষের সহিত অনেকদিন হইতেই বনিবনা হইতেছিল না। এ মাসের উনিশে শনিবার উহা চরমে পৌঁছে।

ইতি—

আপনার একান্ত অনুগত
এস সি বোস

(চীফ এক্সিকিউটিভ অফিসার)

(ইংরাজী হইতে অনূদিত)