*ক্ষয়কুমার বড়াল-গ্রন্থাবলী
তোমার মুখের লাগি, শত শত নিশি জাগি”
কিছু যদি আনি,— ফুলের সুগন্ধ মত, নদীর তরঙ্গ মত,
আদরে কি ধরিবে না বুকে—
তুমি শোভা-রাণী? প্রত্যহ প্রভাতে উপবন ফুলরাশি দেয় উপহার; বায়ু দেয় পরিমল-ভার;
মধ্যাহ্নে নিকুঞ্জ দেয় ছায়া, সন্ধ্যায় জলদ কত মায়া —
আমি আঁধারের তরে দিলাম এ ক্ষুদ্র দীপ— দীন-উপহার। গাঢ় ধুম, ক্ষীণ শিখ, কত-ন অস্পষ্ট লিখা,
কত ছত্র অর্থ-হীন, ব্যর্থ হাহাকার।
তবু, সখী, দেখে একবার।
প্রভাতে মধ্যাহ্নে সাঝে মুখে কিংবা দুঃখে যাহ।
দেখ নাই—পারি নি দেখাতে, হয় ত অলক্ষ্যে তাহ আলোকে আঁধারে মিশে’, ফুটিলে ফুটিতে পারে কোন বর্ষা-রাতে।
ক্ষণ তরে জীবন চঞ্চল, ক্ষণ তরে শূন্ত ধরাতল— হয় ত সরিতে পারে সেই রেখা-পাতে। তার পর—অদৃষ্ট আমার! নিন্দ করো’, ঘৃণা করো’, ক্রুদ্ধ বা বিরক্ত হ’য়ে,
যা ইচ্ছ। তোমার! কিন্তু, সখী, আবার–আবার— এই নিন্দ ঘৃণা যেন সম্মুখে ভেঙ্গে না কারে, পুজারে ভেবে না খেলা করি’ অবিচার। শুনিয়। এ মৰ্ম্মব্যথা বলি সবে উপকথা—
করে। না প্রাণাস্ত অত্যাচার। প্রাণাধিকা, শপথ আমার!
সমাপ্ত
পাতা:অক্ষয়কুমার বড়াল গ্রন্থাবলী.djvu/৮২
পরিভ্রমণে ঝাঁপ দিন
অনুসন্ধানে ঝাঁপ দিন
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
