পাতা:অক্ষয়-সুধা - অক্ষয়কুমার দত্ত.pdf/১০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪৮ অক্ষয়-সুধা অবশেষে এক সরোবর-তীরস্থ অতি নিবিড় নিৰ্জন নিস্তব্ধ বন-থণ্ডৈ, এক অপূর্ব মূর্ত্তি দৰ্শন করিয়া, পরম আনন্দ প্রাপ্ত হইলাম। তাহার। অতুৰ্মল প্রসন্ন বদন ও অলৌকিক শান্ত স্বভাব অবলোকনে, তাহাকে। বনদেবতা জ্ঞান করিয়া, বিহিতবিধানে নমস্কার করিলাম ও তাহার পুনঃ পুনঃ দর্শন-লাভ দ্বারা নয়ন-যুগল চরিতার্থ করিবার নিমিত্ত কৃতাঞ্জলি-পুটে দণ্ডায়মান থাকিলাম। দেথিলাম, তিনি আপনার কপোল-প্রদেশে হস্তার্পণ। করিয়া, গগনমণ্ডস নিরীক্ষণ করিতেছেন। আমি র্তাহাকে কোন কথা জিজ্ঞাসার মানস করিয়াছিলাম; কিন্তু আমার বাক-ঘূরণ না হইতেই, তিনি গাত্রোথান করিয়া, সাতিশয় আগ্রহ-প্রকাশ-পূৰ্বক কহিলেন,—“আমি তোমার মানস জানিয়াছি; আমার নাম,–বিতা; তুমি যে স্থানে যাইবার। প্রার্থনা করিয়াছিলে, তাহার এই পথই সর্বাপেক্ষ। প্রশস্ত। যাহারা এই রম্য কানন ভ্রমণ করিতে আইসেন, আমিই র্তাহাদিগকে পথ প্রদর্শন করি; চল, তোমাকেও সঙ্গে লইয়া যাই। আমি র্তাহার এই আশ্বাস-বাক্যে বিশ্বাস করিয়া, হৃষ্টমনে তৎক্ষণাৎ পশ্চাৎ পশ্চাৎ গমন করিতে লাগিলাম। উভয়-পাশ্ববর্তী বৃক্ষশ্রেণীর মধ্যদেশ দিয়া কিয়দ,র গমন করিতে করিতে, অরণ্যের শৈত্যশোভা ও পবিত্রতা প্রত্যক্ষ করিয়া, অতুলানন্দ প্রাপ্ত হইলাম, এবং অত্যন্ত কৌতুহলাবিষ্ট হইয়া, তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলাম, -‘দেবি! এ স্থানের নাম কি এবং এখানে কি কি অপূৰ্ব ব্যাপারই বা সম্পন্ন হইয়া থাকে?” তাহাতে তিনি সত্বর হইয়। উত্তর: করিলেন, —“ এ বিদারণ্য, অরণ্যে সুন্দর সুন্দর। বৃক্ষ আছে, অতি ভাগ্যবান ব্যক্তিরাই এখানে আগমন করেন; কিন্তু ইহার ফল ভোগ করা অতিশয় আয়াস-সাধ্য, সকলের ভাগ্যে ঘটে না। কেহ কেহ দূর হইতে কোন বৃক্ষের উচ্চত৷ দর্শনমাতে পরাস্মথ হইয়া প্রতিগমন করেনকেহ কেহ বা ফল আহরণের প্রত্যাশায় কতক দুর