পাতা:অক্ষয়-সুধা - অক্ষয়কুমার দত্ত.pdf/১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অক্ষয়কুমার দত্ত ও বঙ্গসাহিত্য ( ১ ) মানুষের ন্যায় সাহিত্যেরও দেহ ও আত্মা আছে—এই উভয়েরই আলোচনা করিতে হইবে। ভাষা বা রচনারীতি—এই দেহ; আর ভাব, অর্থ ও আলোচ্য বিষয়-—এই আত্মা। ভাবের সহিত ভাষার ব্যবধান যত কম, সাহিত্য ততই প্রাণময়। ভাষা এমন স্বচ্ছ ও সুনির্ম্মল হওয়া চাই যে, ভাবের প্রতিবিম্ব, সেই ভাষার দর্পণে অক্ষুন্নভাবে দেখিতে পাওয়া যাইবে। ভাষাএমন কমনীয় হ ওয়া চাই যে ভাবের অনুমাত্র স্পনান-বৈচিত্র্য, ভাষার মধ্যে প্রতিফলিত হইবে। ইহাই আদর্শ রচনা-রীতি। কিন্তু কোনও সাহিত্যের রচনারীতি হঠাৎ একদিনে, এই আদর্শ অবস্থায় আসিয়া। উপস্থিত হয় ন!। সাহিত্যশিল্পিগণ পরিশ্রম করিয়া, সাহিত্যকে ক্রমে। ক্রমে এই আদর্শ অবস্থায় পরিচালিত করিতেছেন। সাহিত্যের সমালোচনায় ইহাই প্রথম স্বত্র। জাতীয় সাহিত্য প্রতিষ্ঠা করিতে হইলে, জাতির প্রতিষ্ঠা হওয়া চাই। অনেক গুলি নরনারী যে সময়ে তাহাদের পরস্পরের মধ্যে বিবিধ প্রকারের বৈষম্য সত্ত্বেওএকটি সাধারণ ভাবের দ্বারা অনুপ্রাণিত হইয়া একতাবদ্ধ হয়, সেই সময়ে ঐ মানব সমষ্টিকে জাতি বলা যায়। যে সাহিত্য, ঐ জাতীয়-চিত্তের ও জাতীয়কল্পনার দর্পণস্বরূপ, অর্থাৎ জাতির জীবনের যাবতীয় আশাআকাক্ষাকল্পনা, চিন্তা, চেষ্টা ০ রসাস্বাদন সাহিত্যের মধ্যে সর্বতোভাবে প্রতিবিম্বিত হস্র, তখন ঐ সাহিত্যকে জাতীয় -সাহিত্য বলা যায়॥ প্রত্যেক মানুষেরই জীবনের কেবল যে একটা মূল্য আছে তাহ৷ নহে-সৌন্দর্য্য, মাধুর্য ও মহত্ব আছে। এই মহত্ব, নানারপ। আচরণের দ্বারা সকল সময়ে সুপরিস্ট নহে। কিন্তু মানব যখন সচ্চিদাননের