পাতা:অক্ষয়-সুধা - অক্ষয়কুমার দত্ত.pdf/১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হঃখী করিয়া, ভোগাসক্ত করিয়া বিষয়বিরক্ত করিয়া, আমাদের বাস্তব জীবন, মানসজীবন ও ভাবজীবনের উপর চেষ্টা,কল্পনাঅমুভূতি ও বিচারণার সাহায্যে অসীম-প্রসারী প্রবাহবৎ বহিয়া যাইতেছে। ইহার ভিতর হইতে কোন কোন বিষয় ও ব্যাপার নির্বাচিত। করিয়া তাহার সহিত মানবের বিশেষ প্রকারের পরিচয় সাধন করাইতে হইবে, তাহার ভিতরের রস, আবিষ্কার করিয়া, মানবকে আস্বাদন করাইতে হইবে, সাহিত্যশিল্পীকে তাহাই নিৰ্ধারণ করিতে হইবে। এই নির্বাচনের দ্বারা সাহিত্যশিল্পীর। মানসিক প্রকৃতির পরিচয় পাওয়া যায়। নিৰ্বাচন ও রসসৃষ্টি, সাহিত্য শিল্পীর পন্থা। কোনও সাত্তিাগুশিল্পীকে যথার্থরূপে বুঝিতে হইলে তাহার লক্ষ্য ও পস্থা—এই দুইটি বিষয় আলোচনা করা দরকার। প্রকৃতির সৌন্দর্য্য। একটি অতি সুবৃহৎ ব্যাপার। প্রকৃতির দৌন্দর্য্যের সীমা নাই। একজন সাহিত্যশিল্পীপ্রকৃতির এই সৌন্দর্য্য স্বয়ং উপভোগ করিতেছেন—এই উপভোগের আনন্দ যেন ৰ্তাহার হৃদয়ে ধরিতেছে না, তিনি সকল মানবকে এই আনন্দ যেন আস্বাদন করাই বার জ্য আকুল হইয়া সাহিত্যের সাহায্যে, সেই সৌন্দর্য ও সেই সৌন্দর্য্যের উপভোগকে মূর্ত্তিদান করিয়া বিতরণ করিতেছেন। অসংখ্য কবি ও সাহিত্যশিল্পী এই কার্য্য করিয়াছেন। কিন্তু সকলেই একই প্রকারের সুন্দর বস্তু নির্বাচন করেন নাই, এবং সকলের উপভোগের প্রণালীও ঠিক একরূপ নহে। প্রকৃতি একজন। ভাবুকের নিকট এক এক মূর্ত্তিতে প্রকাশিত হইয়াছেন। শ্মশান, ভাঙ্গ৷ বাড়ী, পরিত্যক্ত জনপ্রদ প্রভৃতি কাহারও উপভোগের বিষয়। জলপ্রপাত, ভীষণ বনভূমি, মরুদেশ কাহারও হৃদম্রবৃত্তির অনুকুল; ক্ষুদ্র গ্রাম, গ্রাম্য- সমাজের মুথ:থ, গাহস্থ্যজীবনের হাসিকান্না কাহারও প্রীতিপ্রদ। কেবল সাহিত্যশিল্পীর মানসপ্রকৃতির আলোচনা করিতে হইলে, গভীর ভাকে